Pabna-পাবনা

পাবনা জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

পরিচ্ছেদসমূহ

  • ভৌগোলিক সীমানা
  • প্রশাসন
  • প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
  • ইতিহাস
  • জনসংখ্যা
  • অর্থনীতি
  • যাতায়াত ও যোগযোগ ব্যবস্থা
  • চিত্তাকর্ষক স্থান
  • স্বাস্থ্য সেবা
  • ১০ ধর্ম
  • ১১ নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
  • ১২ পত্রিকা
  • ১৩ আরো দেখুন
  • ১৪ তথ্যসূত্র

ভৌগোলিক সীমানা

বাংলাদেশে অবস্থিত পাবনা জেলা রাজশাহী বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ সৃষ্টি করেছে। এটি ২৩°৪৮′ হতে ২৪°৪৭′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০২′ হতে ৮৯°৫০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর উত্তর দিক ঘিরে আছে সিরাজগঞ্জ জেলা আর দক্ষিণে পদ্মা নদী একে ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া জেলা হতে পৃথক করেছে। এর পূর্ব প্রান্তদিয়ে যমুনা নদী বয়ে গেছে এবং পশ্চিমে নাটোর জেলা। পাবনার কাজীরহাট নামক স্থানে পদ্মা ও যমুনা নদী পরস্পর মিলিত হয়েছে।

প্রশাসন

জেলা পরিষদের প্রশাসক: সাইদুল হক (চুন্নু)
জেলা প্রশাসক (ডিসি): কাজী আশরাফ উদ্দীন

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

পাবনা জেলা নিম্নলিখিত উপজেলায় বিভক্ত:
  1. আটঘরিয়া উপজেলা
  2. ঈশ্বরদী উপজেলা
  3. চাটমোহর উপজেলা
  4. পাবনা সদর উপজেলা
  5. ফরিদপুর উপজেলা
  6. বেড়া উপজেলা
  7. ভাঙ্গুরা উপজেলা
  8. সুজানগর উপজেলা
  9. সাঁথিয়া উপজেলা

পাবনা জেলার মানচিত্র

ইতিহাস

জনসংখ্যা

মোট জনসংখ্যা ২১,৫৩,৯২১ জন;
  • পুরুষ ৫১.১৭%,
  • মহিলা ৪৮.৮৩%;
  • মুসলিম ৯৫.১২%,
  • হিন্দু ৪.৫০%,
  • খ্রীষ্টান ০.২২%,
  • অন্যান্য ০.১৬%।

অর্থনীতি

প্রধান বৃত্তিসমূহ: কৃষি ৩৪%, কৃষি শ্রমিক ২২.৭৭%, দিন মজুর ৪.৪৬%, পরিবহন ২.১৮%, তাঁতি ২.৮৫%, বাণিজ্য ১৩.২৮%, চাকুরী ৭.২৬% এবং অন্যান্য ১৩.২১%।
ভূমি ব্যাবস্থাপনা: ভূমিহীন ২৯%, ক্ষুদ্র ভূমি মালিক ৪৯%, মধ্যম ভূমি মালিক ১৮% এবং ধনী ভূমি মালিক ৪%।
ভুমি মূল্য প্রথম শ্রেনীর ভূমির বাজার মূল্য ০.০১ হেক্টর প্রতি ৭৫০০ টাকা।
প্রধান কৃষি পণ্য: ধান, পাট, গম, ইক্ষু, বাদাম, পেঁয়াজ, রসুন, পান, ডাল।
প্রধান ফল: আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, নারিকেল, পেয়ারা এবং পেঁপে।
মৎস ও গবাদি পশু-পাখি: দুগ্ধ খামার ১০৬৯, মাছের খামার ৮৮, হাঁস-মুরগীর খামার ৭১৪, হ্যাচারী ৩৭।
শিল্প-কারখানা: কাগজ কল, চিনি কল, সুতাকল, পাটকল, তেল, ঔষধ কারখানা, বিস্কুট ফ্যাক্টোরী, চাল ও আটা কল, বরফ কল, ঝালাই, স’মিল, হিমাগার ইত্যাদি।
কুটির শিল্প: সুচিকর্ম, বাঁস ও বেত শিল্প, কামার, কুমার, স্বর্ণকার, দারুশিল্প, দর্জিকাজ ইত্যাদি।
হাট, বাজার ও মেলা: মোট হাট-বাজারের সংখ্যা ১৮২টি এবং মেলা ১৭টি।
প্রধান রপ্তানী পণ্য: ধান, পাট, পান, সুতা, কাপড় ইত্যাদি।
এনজিও কর্মকান্ডে জড়িত প্রধান এনজিও গুলো হলো লাইট হাউস, প্রত্যাশা, পাবনা সবুজ সংঘ, ব্র্যাক, কেয়ার, আশা, গ্রামীন ব্যাংক, প্রশিকা, সমতা, এইটিসিএল ইত্যাদি।

যাতায়াত ও যোগযোগ ব্যবস্থা

রাস্তা: পাকা ৩,৬৯৮কিমি , আধা-পাকা ১০০ কিমি এবং কাঁচা রাস্তা ১৮১ কিমি;
জলপথ ১৮৪ নটিক্যাল মাইল;
রেলপথ ৬৭ কিমি;
বিমান বন্দর ১টি (কার্যকর)।
ঐতিহ্যবাহী যানবাহনের মধ্যে আছে- পালকি, ঘোড়ার গাড়ি ও গরু গাড়ী, যদিও বর্তমানে (প্রেক্ষিত ২০১১) এদের সিংহভাগ বিলুপ্তপ্রায় বা বিলুপ্তপ্রাপ্ত।

চিত্তাকর্ষক স্থান

লালন শাহ্ সেতু, হার্ডিঞ্জ সেতু, পাকশী

স্বাস্থ্য সেবা

বাংলাদেশের একমাত্র পূর্ণাংগ মানসিক হাসপাতাল টি পাবনা জেলায় অবস্থিত।
  • জেনারেল হাসপাতাল ৪টি,
  • মানসিক হাসপাতাল ১টি,
  • জেলা সদর হাসপাতাল এখন পরিবর্তন হয়ে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নাম দেওয়া হয়েছে,
  • উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৯টি,
  • স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ২৫টি,
  • যক্ষা হাসপাতাল ১টি,
  • ডায়াবেটিক হাসপাতাল ১টি,
  • চক্ষু হাসপাতাল ১টি,
  • কমিউনিটি হাসপাতাল ১টি,
  • মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১টি,
  • পুলিশ হাসপাতাল ১টি,
  • রেলওয়ে হাসপাতাল ১টি,
  • বেসরকারী ক্লিনিক ১৫টি।

ধর্ম

ধর্মীয় স্থাপনাসমূহ:
  • মসজিদ ২৩৫৩টি,
  • মন্দির ৪২০টি,
  • গির্জা ১১টি,
  • মাজার ৫টি,
  • তীর্থস্থান ২টি।
  • এএনজিও- লাইট হাউস

নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  • পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • পাবনা এডোয়ার্ড কলেজ
পাবনা জিলা স্কুল পাবনা জেলার সবচেয়ে পুরাতন উচ্চ বিদ্যালয় এবং এটি বাংলাদেশের অন্যতম পুরানো বিদ্যালয়। বাংলাদেশের সেরা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। পাবনা জিলা স্কুল এংলো-ভার্নিকুলার টাইপের স্কুল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩৬-১৮৪০ সালের মধ্যে।
পাবনা ইসলামিয়া মাদ্রাসা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠতম একটি বিদ্যাপিঠ। প্রতিবছরের জাতীয় মেধায় এটি প্রথম দিকে থাকে।
পাবনা ক্যাডেট কলেজ : পাবনা ক্যাডেট কলেজ পাবনার একটি অন্যতম বিদ্যাপিঠ। এটি ১৯৮১ সালের ৭ই আগষ্ট পাবনা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে ক্যাডেট কলেজে রূপান্তরিত হয়।

পত্রিকা

দৈনিক ইছামতি
দৈনিক পাবনা বার্তা
দৈনিক জীবন কথা
দৈনিক বিবৃতি
দৈনিক সিনসা

0 মন্তব্য(গুলি):