স্বপ্নবাজ তো প্রায় সবই বলে দিল। আমি প্যাকেজ ব্যতিত সম্ভাব্য খরচ দিলাম।
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার জন্য মাইক্রোই একমাত্র ব্যবস্থা (আমার জানামতে)। জনপ্রতি ভাড়া জানা নেই তবে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নিলে ১৫০০-১৭০০ টাকার মত লাগবে।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য তিনটি উপায় আছে।
১। ট্রলার
২। জাহাজ
৩। সী-ট্রাক
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার জন্য মাইক্রোই একমাত্র ব্যবস্থা (আমার জানামতে)। জনপ্রতি ভাড়া জানা নেই তবে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নিলে ১৫০০-১৭০০ টাকার মত লাগবে।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য তিনটি উপায় আছে।
১। ট্রলার
২। জাহাজ
৩। সী-ট্রাক
ট্রলারে ১৫০-২০০টাকার মত লাগে। তবে কিছু টাকা সাশ্রয়ের জন্য সাগরে ট্রলারে না চড়াই শ্রেয়।
জাহাজে আপ-ডাউন ৩৫০-৮০০ টাকা ভাড়া। ৩৫০ টাকায় সাধারণ, ৪০০টাকায় চেয়ার, ৮০০টাকায় কেবিন ভাড়া পাওয়া যাবে।
যদি ৩-৩.৩০ ঘন্টা জাহাজে বসে থাকতে না চান তবে সী-ট্রাকে যেতে পারেন। স্পীড বোটের মত স্পীডে যেতে পারবেন। আনন্দও খারাপ হবে না। শুধু খরচটা একটু বেশি গুনতে হবে। খরচ জনপ্রতি ১০০০-১২০০ টাকার মত।
জাহাজে আপ-ডাউন ৩৫০-৮০০ টাকা ভাড়া। ৩৫০ টাকায় সাধারণ, ৪০০টাকায় চেয়ার, ৮০০টাকায় কেবিন ভাড়া পাওয়া যাবে।
যদি ৩-৩.৩০ ঘন্টা জাহাজে বসে থাকতে না চান তবে সী-ট্রাকে যেতে পারেন। স্পীড বোটের মত স্পীডে যেতে পারবেন। আনন্দও খারাপ হবে না। শুধু খরচটা একটু বেশি গুনতে হবে। খরচ জনপ্রতি ১০০০-১২০০ টাকার মত।
সেন্টমার্টিন পৌছানোর পর
ভ্যানে মোটেল বা কর্টেজ এ যেতে হবে। ভ্যান ভাড়া করতে গিয়ে মেজাজ খারাপ হবে
একটা নিশ্চিত বলা যায়। ভ্যানওয়ালাদের ব্যবহার দেখলে মনে হবে ওখানে গিয়ে
আমরা পাপ করে ফেলেছি। যাইহোক মাথা ঠান্ডা করে একটু তৈল মর্দন করলেই প্রতি
ভ্যান ৫০টাকায় ভাড়া করতে পারবেন।
খাবারের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হবে এ ব্যাপারেও নিশ্চিত। ছোট হোটেল দেখে ভাববেন না কম খরচে খাবার ঝামেলা শেষ করতে পারবেন।
থাকার
জন্য কর্টেজ ভাড়া করুন। শুয়ে শুয়ে সমুদ্রের গর্জন শুনতে পারবেন। কর্টেজ
খোজার জন্য অনেক দূর পর্যন্ত হাঁটতে হবে। হাঁটার ভয় থাকলে সেন্টমার্টিন
থাকার আসল মজাই মিস করবেন। সুতরাং কর্টেজ খুজতে একটু বেশি সময় নিন। পছন্দসই
যায়গায় থাকুন।
সেন্টমার্টিনের বিচে একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
ভাল করে যেনে নিন বিচের পানির নিচে শৈবালের পাথর আছে কি না। পাঁ একবার
কাঁটলে সাগরের পানিতে নামার সাধ মিটে যাবে। কারণ পাঁ কাঁটলে নোনা পানির
কারলে কাঁটা স্থানে প্রচুর জ্বালা-পোড়া করবে।
ছেঁড়া দ্বীপে যেতে
চাইলে ট্রলারে যেতে হবে। যদি অতি মাত্রায় এডভেঞ্চার প্রিয় হোন তবে হেঁটে
যাওয়ার দুঃসাহস করতে পারেন। ট্রলারে যেতে চাইলে ৬-৮ জনের জন্য ছোট ট্রলার
ভাড়া করতে পারেন ৬০০-৮০০ টাকার মধ্যে।
ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়ার সময়
অবশ্যই বার্মিজ স্যান্ডেল বা স্পন্চ স্যান্ডেল পড়ে যাবেন। না হলে ছেঁড়া
দ্বীপে গিয়ে নড়তে পারবেন না। চাইলে গোসল করার প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারেন।
আর বেশি সময় থাকার ইচ্ছা থাকলে বিশুদ্ধ পানির বোতল নিয়ে যেতে পারেন।
১ নং স্থানে জাহাজ এসে থামবে।
২ নং স্থান থেকে ভ্যানে ৩নং স্থানে যেতে হবে।
৩ নং স্থানে খাওয়ার দাওয়ার কাজ সারতে পারেন।
৩ নং স্থান থেকে পায়ে হেঁটে বা ভ্যানে ৫নং স্থানে যেতে হবে। অবশ্য ভ্যানে গেলেও পাঁয়ে হাঁটতে হবে বেশ কিছুদূর পর্যন্ত।
৪ অথবা ৫ নং স্থানে কর্টেজ ভাড়া করতে পারেন। আমরা অবশ্য ৫নং স্থানে ভাড়া ছিলাম।
মনোরোম পরিবেশে খাওয়াদাওয়ার জন্য ৬নং স্থানে যেতে পারেন।
(নাম্বার দিয়ে স্থান চিহ্নিত করলাম। অনেকেদিন আগে যাওয়ার কারণে স্থানগুলোর নাম ঠিক মনে নেই।)
নিচের ছবিতে আমরা যে কর্টেজে ভাড়া তার ছবি জুম করে দেওয়া হলো।
জোবায়ের সুমন
রক্তের গ্রুপ: B(-)
রক্তের গ্রুপ: B(-)
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment