কূটনৈতিক প্রতিবেদক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, বুধবার, ৭:৫৪
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, বুধবার, ৭:৫৪
সব দলের অংশগ্রহণে দ্রুত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক
চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ‘গভীর ক্রটিপূর্ণ’ হিসাবে
চিহ্নিত করেছে। সংলাপ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তারা জাতিসঙ্ঘসহ
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছে। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে একটি
অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে জার্মানি। কানাডা
নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হিসাবে আখ্যায়িত করে নতুন করে তাদের
উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরী পোশাকের বাজার ধরে রাখতে পশ্চিমা দেশগুলোকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করছে সরকার। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও কানাডার রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সাথে বৈঠক করবেন পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের তিন সচিব। এছাড়া আগামী রোববার পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ৫ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। সেখানে সন্ত্রাসদমন সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের যোগ দেয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সাথে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক যে স্বাভাবিক নয় - এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এর ফলে বাংলাদেশ সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আগের মত স্ব^াভাবিক থাকবে না। তবে জনগণের স্বার্থে এবং গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আব্যাহত থাকবে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে জার্মান রাষ্ট্রদূত আলব্রাখেট কনসে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় না পৌঁছা বড় দুই দলের ব্যর্থতা। ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি অস্বস্থিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাংলাদেশীরা যেমন অখুশি, বহির্বিশ্বও তেমনি হতাশ। স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে গ্রহণযোগ্য নতুন নির্বাচন আয়োজনে দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছানো জরুরি।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে পর গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে কানাডার হাইকশিনার হিদার ক্রুডেন বলেছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল না। নির্বাচনের পরপরই কানাডা এ জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে জানান, বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র অনড় অবস্থান নিয়েছে। প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে তারা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য মনে করছে না। এ কারণে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি, সংবাদ ব্রিফিং এবং সিনেট কমিটির শুনানিতে বারবার নির্বাচন নিয়ে তাদের অসন্তোষের কথা জানাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র বিষয়ক মার্কিন সিনেট কমিটিতে এক শুনানিতে বিসওয়াল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও শ্রম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনটি ছিল গভীরভাবে ক্রটিপূর্ণ যাতে বাংলাদেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। এতে বাংলাদেশের জনগনের ইচ্ছার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিফলন ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া কি - সেনেটর মেনেন্দিজের এমন প্রশ্নের জবাবে বিসওয়াল বলেছেন, বিষয়টি কোন দিকে যাচ্ছে তা পরিষ্কার নয়। সংলাপ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পাশাপাশি মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও নাগরিক সমাজকে যথেষ্ট সুযোগ দেয়ার জন্যও চাপ সৃষ্টি করেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরাসরি সংসদ সদস্যদের সস্পৃক্ততা রয়েছে, এমন কর্মসূচিগুলোতে সহায়তা যুক্তরাষ্ট্র কমাবে। এর পরিবর্তে গণতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার মতো বড় কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরী পোশাকের বাজার ধরে রাখতে পশ্চিমা দেশগুলোকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করছে সরকার। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও কানাডার রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সাথে বৈঠক করবেন পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের তিন সচিব। এছাড়া আগামী রোববার পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ৫ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। সেখানে সন্ত্রাসদমন সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের যোগ দেয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সাথে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক যে স্বাভাবিক নয় - এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এর ফলে বাংলাদেশ সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আগের মত স্ব^াভাবিক থাকবে না। তবে জনগণের স্বার্থে এবং গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আব্যাহত থাকবে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে জার্মান রাষ্ট্রদূত আলব্রাখেট কনসে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় না পৌঁছা বড় দুই দলের ব্যর্থতা। ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি অস্বস্থিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাংলাদেশীরা যেমন অখুশি, বহির্বিশ্বও তেমনি হতাশ। স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে গ্রহণযোগ্য নতুন নির্বাচন আয়োজনে দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছানো জরুরি।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে পর গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে কানাডার হাইকশিনার হিদার ক্রুডেন বলেছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল না। নির্বাচনের পরপরই কানাডা এ জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে জানান, বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র অনড় অবস্থান নিয়েছে। প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে তারা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য মনে করছে না। এ কারণে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি, সংবাদ ব্রিফিং এবং সিনেট কমিটির শুনানিতে বারবার নির্বাচন নিয়ে তাদের অসন্তোষের কথা জানাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র বিষয়ক মার্কিন সিনেট কমিটিতে এক শুনানিতে বিসওয়াল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও শ্রম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনটি ছিল গভীরভাবে ক্রটিপূর্ণ যাতে বাংলাদেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। এতে বাংলাদেশের জনগনের ইচ্ছার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিফলন ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া কি - সেনেটর মেনেন্দিজের এমন প্রশ্নের জবাবে বিসওয়াল বলেছেন, বিষয়টি কোন দিকে যাচ্ছে তা পরিষ্কার নয়। সংলাপ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পাশাপাশি মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও নাগরিক সমাজকে যথেষ্ট সুযোগ দেয়ার জন্যও চাপ সৃষ্টি করেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরাসরি সংসদ সদস্যদের সস্পৃক্ততা রয়েছে, এমন কর্মসূচিগুলোতে সহায়তা যুক্তরাষ্ট্র কমাবে। এর পরিবর্তে গণতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার মতো বড় কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment