চট্টগ্রাম ভ্রমন- কি ভাবে যাবেন, কি দেখবেন? কোথাই থাকবেন? কত খরচ?
বাংলাদেশঃ
বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম ও ১২ আউলিয়ার শহর চট্টগ্রামে (পূর্ব নাম ইসলামাবাদ)
অনেক বার আসা হলেও কেবল আত্মীয় স্বজনদের বাসায় দাওয়াত খেয়ে বা পার্বত্য
অঞ্চলে ট্যুরের ট্রানজিট হিসেবে কিছুদিন থেকে ঢাকায় ফিরে এসেছি। তাই এবার
রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি ট্যুর শেষে চট্টগ্রাম এলাম ভ্রমনের উদ্দেশ্য নিয়েই।
চট্টগ্রাম জেলার পর্যটন অঞ্চল/দর্শনীয় স্থান সমূহ :
সীতাকুণ্ড : চট্টগ্রামের
মূল শহরে প্রবেশের আগেই সীতাকুণ্ড। বাসে বসেই দেখা যায় সুন্দর কিছু পাহাড়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এ জায়গাটির গুরুত্ব অনেক। রামায়ণে বর্ণিত
কাহিনীর অন্যতম পটভূমি সীতাকুণ্ড। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এ স্থান কম
গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখানে রয়েছে একটি বৌদ্ধমন্দির। বৌদ্ধমন্দিরে গৌতম বৌদ্ধের
পায়ের ছাপ রয়েছে। চন্দ্রনাথ মন্দিরটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সব মানুষের
পছন্দের জায়গা। এটি অবস্থিত পাহাড়চূড়ায়। বছরের ফেব্র“য়ারি মাসে সিভা
চতুর্দশী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বারো আউলিয়ার মাজার :
প্রাচীন বাংলায় এ অঞ্চলে ধর্মপ্রচারক হিসেবে আগমন ঘটে বারো ভূঁইয়ার। বারো
আউলিয়ার মৃত্যুর পর তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে গড়ে ওঠে বারো আউলিয়া মাজার।
মাজারটি রাস্তার পাশেই।
মিলিটারি একাডেমি : বিএমএ বা বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি অবস্থিত ভাটিয়ারিতে। সারাদেশ থেকে আসা নবীন মিলিটারি সদস্যদের এখানেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
কৈবল্যধাম : চট্টগ্রাম শহরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে পুরনো ও সুবিশাল তীর্থস্থান হচ্ছে কৈবল্যধাম। এটি পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত।
রানী রাসমণি বিচ : প্রায়
বছর তিনেক ধরে এটি জমে উঠেছে। পর্যটকরা এ স্পটটির কথা এখনও তেমন একটা
জানেন না। মূলত স্থানীয় জনগণ এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষজনই এখানে
অবকাশযাপন করতে আসে। কর্ণফুলী নদীর তীরে বিশাল এরিয়া নিয়ে গড়ে উঠেছে এটি।
এছাড়া এখানে রয়েছে সুন্দর একটি ঝাউবন।
পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত :
সমুদ্রপ্রেমীদের কাছে দ্বিতীয় কক্সবাজার হচ্ছে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। এটি
শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে পৌঁছার আগে চোখে পড়বে
আনুমানিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার দুই পাশে ঝাউগাছের সারি।
জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর :
এশিয়া মহাদেশের দুটি জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের একটি অবস্থিত চট্টগ্রামে। এটি
নগরীর আগ্রাবাদে অবস্থিত। নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ
করতে হয়। এতে সংরক্ষিত রয়েছে বিভিন্ন উপজাতি জনগোষ্ঠীর জীবনধারা, নানা
কৃষ্টি-আচার। আরও রয়েছে ভিনদেশী সংস্কৃতির কিছু নমুনা।
ইকোপার্ক : সীতাকুণ্ড
থানার চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত ইকোপার্ক। ৯৯৬ একরের এ উঁচু-নিচু পাহাড়ে
রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং নানা ধরনের পশুপাখি।
ফয়েসলেকঃ
চট্টগ্রাম:: ফয়’স
লেক। পর্যটন নগরী চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পাহাড়তলীতে অবস্থিত। এই পর্যটন
এলাকাটি বলতে গেলে বিশ্বনন্দিত। প্রায় ৩২০ একর জমির উপর এটি স্থাপিত।
পাহাড়ে ঘেরা এই লেকটি আগে ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। বর্তমানে এই লেকটিকে
কনকর্ড নামক বাংলাদেশের এক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আরো আধুনিক ও মনোমুগ্ধকরভাবে
পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য এটিকে সাজিয়েছেন এবং এর নামকরণ করা হয়েছে ফয়’স
লেক কনকর্ড (এমিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড)।
এই ফয়’স লেকের কোলে ঘেষে রয়েছে ছোট্ট একটি
চিড়িয়াখানা। আর এই চিড়িয়াখানা ফয়’স লেকের সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফয়’স লেকের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ যেকোন পর্যটকের মন কেড়ে নেই নিমেষেই।
পাহাড়
আর অরুণাময়ী, গোধূলি, আকাশমণি, মন্দাকিনী, দক্ষিণী ও অলকানন্দা নামের
হ্রদ। পার্ক পার হয়ে হ্রদের পাড়ে যেতেই দেখা মিলবে সারি সারি বাধা নৌকা।
এখান থেকে নৌকায় যেতে মিনিট দশেক লাগবে। তার পরই দেখা মিলবে চমৎকার
রিসোর্ট। নৌকায় করে মিনিট দুয়েক যেতেই বাঁক। তারপর দুই দিকে সবুজ পাহাড়।
স্বচ্ছ পানির ওপর ছুটে চলা বিভিন্ন রকমের ইঞ্জিনবোটের শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়ে
এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ের গায়ে এসে যেন আছড়ে পড়ে। মাঝেমধ্যে দু-একটি করে
বক এবং নাম না-জানা হরেক রকম পাখি । রয়েছে উন্মুক্তভাবে হরিণ বিচরণের
স্থান। সে সময় যদি আকাশ থাকে মেঘলা, কার না ইচ্ছা করবে একটা-দুইটা কবিতার
লাইন আওড়াতে? দূরে পরিপাটি কটেজ। হতে পারে রাতযাপন । দোতলা এই কটেজগুলো
বাইরে বেশ ছিমছাম, ভেতরটা বিলাসবহুল ও মানসম্মত। আপনার প্রয়োজনের সবকিছুই
চাওয়ামাত্র পেয়ে যাবেন। এভাবেই পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে কয়েকটি কটেজ। নৌকায়
চড়ে পাহাড়ের গা ঘেঁষে পথচলা। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সৌন্দর্য-দুটোকেই
অনায়াসে উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যাবেন ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড কনকর্ডে।
পাশেই রয়েছে বিলাসবহুল ভাবে থাকার বন্দোবস্ত। নবদম্পতিদের জন্য রয়েছে
হানিমুন কটেজ।
পাহাড়ে ঘেরা আঁকা বাকা মেঠো পথ ধরে যতই
সামনের দিকে যায় ততই যেতে ইচ্ছে করে। পিছনে ফিরতে মন চায় না। এই আধুনিক
কনকর্ড ফয়’স লেক এ রয়েছে ওয়াটার থিম পার্ক, রিসোর্ট, সি-ওয়ার্ল্ড এবং আরো
অনেক আয়োজন। ভ্রমণ প্রেমী যেকেউ একবার এই ফয়’স লেক বেড়াতে আসলে তার বার বার
আসতে ইচ্ছে করবেই। পর্যটকরা সাথে করে বাইনাকুলার নিয়ে আসলে পাহাড়ের চূড়া
হতে পুরো চট্টগ্রামকে দেখতে পারে এক জায়গায় দাঁড়িয়েই। সাথে তো প্রাকৃতিক
দৃশ্য এবং প্রাকৃতিক লেক আছেই। এই লেকটি আসলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ
নির্মাণ করেন ১৯২৪ সালে। আর তৎকালীন রেলওয়ে প্রকৌশলী জনাব ফয় এর নামে
নামকরণ করা হয়। সেই থেকে আজ অবধি চট্টগ্রামের এই প্রাণকেন্দ্র ফয়’স লেক
সার্বক্ষণিক পর্যটকদের পদচারনায় বিকশিত হচ্ছে দিন দিন। বাংলাদেশী যারা
ভ্রমণ পিয়াসু আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে
না গিয়ে দেশটাকে দেখুন, দেশের সৌন্দর্য্য অনুধাবন করুন, আমাদের এই ক্ষুদ্র
দেশটিকে বিশ্ব দরবারে পর্যটনের দেশ হিসেবে পরিচিত করুন।
বিনোদনের
জন্য থিম পার্ক ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডে আছে বিভিন্ন
ধরনের আন্তর্জাতিক মানের রাইডস যেমন—সার্কাস ট্রেন, ফ্যামিলি কোস্টার,
ফেরিস হুইল, রেডড্রাই স্লাইড, বাম্পার কার, সার্কাস সুইং, স্পিডবোট, ওয়াটার
বি। লেকের ওপর ঝুলন্ত সেতু, পাহাড়ের বনাঞ্চলে ট্রাকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা, সুউচ্চ টাওয়ার।
অবস্থান
পাহারতলি, নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম
কিভাবে যাবেন সেখানে
পাহারতলি, নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম
কিভাবে যাবেন সেখানে
ফয়’স লেক, খুজে পাবেন চট্টগ্রাম শহরের
মাঝে পাহাড়তলী এলাকায় । নিজস্ব গাড়ী না থাকলে অটো রিক্সা কিংবা সিএনজি করে
৩০ মিনিটেই চলে যেতে পারেন ফয়’স লেকে।
কোথায় থাকবেন
কোথায় থাকবেন
রয়েছে
ফয়’স লেকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আপনার জন্য আছে বিলাসবহুল থাকার
বন্দোবস্ত। পাহাড়ের ধারে লেকের পাড়ে রয়েছে দারুন সব কটেজ ও রিসোর্ট।
নবদম্পতিদের জন্য রয়েছে হানিমুন কটেজ। রিসোর্টে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জন্য
রয়েছে বিভিন্ন রকমের সুবিধা, যেমন-প্রতিদিনের সকালের নাশতা, থিম পার্ক ফয়’স
লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড রাইডসগুলো উপভোগ করার সুযোগ এবং দিনভর
জলে ভিজে আনন্দ করার জন্য ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড কনকর্ড। তা ছাড়া
করপোরেট গ্রাহকদের জন্য সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা এবং বিভিন্ন রকম ইভেন্টের
সুবিধা রয়েছে। অবশ্য ইচ্ছা করলে অন্য আবাসিক হোটেলে থেকেও আপনি ফয়’স লেক
ঘুরে দেখতে পারেন।যাঁরা চট্টগ্রামে এসে ফয়’স লেকে থাকতে চান, তাঁদের ঢাকা
অফিস থেকে যোগাযোগ করে ফয়’স লেক রিসোর্টে বুকিং দিয়ে আসাই ভালো। ফোন:
০১৯১৩৫৩১৪৮৩, ০১৯১৩৫৩১৪৮০, (০৩১) ২৫৬৬০৮০, ফ্যাক্স: (০৩১) ৬৫৯৪০৬।
প্রবেশমূল্য
খরচটা হাতের নাগালেই। থিম পার্ক ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামাউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডে প্রবেশসহ সব রাইড ২০০ টাকা, ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড কনকর্ড প্রবেশসহ সব রাইড ৩৫০ টাকা। ফয়’স লেক রিসোর্টে প্রতিদিন রাত যাপন ২৫০০ থেকে ৭০০০ টাকা এবং রিসোর্ট বাংলোয় প্রতিদিন রাত যাপন ২৫০০ থেকে ৬০০০ টাকা।
খরচটা হাতের নাগালেই। থিম পার্ক ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামাউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডে প্রবেশসহ সব রাইড ২০০ টাকা, ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড কনকর্ড প্রবেশসহ সব রাইড ৩৫০ টাকা। ফয়’স লেক রিসোর্টে প্রতিদিন রাত যাপন ২৫০০ থেকে ৭০০০ টাকা এবং রিসোর্ট বাংলোয় প্রতিদিন রাত যাপন ২৫০০ থেকে ৬০০০ টাকা।
পরিবার নিয়ে অন্যরকম একটি রাত কাটাতে
চাইলে উঠতে পারেন রিসোর্ট কিংবা বাংলোতে। ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ডের
লাগোয়া রিসোর্টে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হ্রদমুখী ও পাহাড়মুখী কক্ষ। যেখান
থেকে উপভোগ করা যাবে হ্রদ ও পাহাড়ের অপার সৌন্দর্য। আবার প্রকৃতি ও
আধুনিকতার সমন্বয়ে পাহাড়ের কোলে গড়ে তোলা ফয়’স লেকের বাংলোও মনোরম এক
স্থান।
রিসোর্ট ও বাংলোয় আগত পর্যটকদের
খাওয়া-দাওয়ার জন্য দিন-রাত চবি্বশ ঘণ্টা খোলা থাকে রেস্টুরেন্ট। এখানে
দিনের বেলায় শুনতে পাওয়া যায় পাখির ডাক। আর রাতের সৌন্দর্য সে তো চোখে না
দেখলে বোঝানোর নয়। এ সৌন্দর্য পাগল করে তোলে আগতদের।
বাঁশখালী ইকোপার্ক, শীতের পাখি
চট্টগ্রাম:
বাংলাদেশের সর্বত্র ইতিহাস-ঐতিহ্য সংবলিত ও পর্যটক আকর্ষণ করার মতো বহু
নিদর্শন রয়েছে। কিন্তু একই উপজেলায় একসঙ্গে অনেক কিছু-এরকম উপজেলা হাতেগোনা
কয়েকটি। সেসব উপজেলার মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের বাঁশখালী। আরণ্যক
সৌন্দর্যমণ্ডিত বাঁশখালীতে কী নেই। পাহাড়, সাগর, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য,
ঝাউবন, মিনি সমুদ্রবন্দর—সবই আছে বাঁশখালীতে। তারপরও আশানুরূপ পর্যটক টানতে
পারে না। বাঁশখালীর নানা সম্ভাবনা নিয়ে চারিদিকে দেখচাহি’র আমাদের আজকের
আয়োজন।
আঁকাবাঁকা পাহাড়ি সড়ক, চারপাশে ঘন সবুজের
সমারোহ, বন্যহাতির বিচরণ, চেনা-অচেনা পাখির মন-মাতানো কিচিরমিচির শব্দ,
দেশের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু, সুউচ্চ টাওয়ার—কী নেই এখানে। হ্যাঁ, বলছিলাম
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কথা। বহুমুখী আরণ্যক সৌন্দর্য ও নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক
দৃশ্যাবলী পর্যটকদের কাছে টানে। বাংলাদেশে এমন উপজেলা হাতেগোনা দু’একটি,
যেখানে পর্যটক আকর্ষণের অসংখ্য নিদর্শনে ভরপুর।
পাহাড়,
সমুদ্র, নদী, খাল ও সমতলভূমি বেষ্টিত এ উপজেলায় রয়েছে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ
বালুচরসমৃদ্ধ সমুদ্র সৈকত, ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পাহাড়ি হ্রদ ও প্রাকৃতিক
চিড়িয়াখানা সংবলিত নানা জীববৈচিত্র্যের হৃদয়ছোঁয়া ইকোপার্ক, ৩৬৬২ একরজুড়ে
চাঁনপুর-বৈলগাঁও চা বাগান, সমুদ্র মোহনায় খাটখালী মিনি সমুদ্রবন্দর,
সামুদ্রিক মত্স্য আহরণ ও চিংড়ি চাষের দৃশ্য, পানি থেকে লবণ চাষের দৃশ্য,
নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন, পুরাকীর্তি, ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির, কেয়াং এবং
আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, দরবেশ-আউলিয়া ও সাধু-সন্ন্যাসীদের তীর্থভূমি এই
বাঁশখালী। এই উপজেলাটি কক্সবাজার জেলার সঙ্গে লাগোয়া।
অদূর ভবিষ্যতে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে
বাঁশখালীর ওপর দিয়ে কক্সবাজার দেশ-বিদেশের পর্যটকরা যাতায়াত করবে। সে জন্য
চট্টগ্রাম থেকে বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার মহাসড়কের কাজ প্রায় শেষের পথে।
এদিকে, শীত মৌসুমকে সামনে রেখে পর্যটন
স্পট বাঁশখালী ইকোপার্কে আসেন দর্শনার্থীর । দক্ষিণ চট্টগ্রামের এই পর্যটন
স্পটটিতে ২০০৩ সাল থেকে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়।
প্রকৃতির
নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত উঁচু-নিচু পাহাড়, লেকের স্বচ্ছ পানি, বনাঞ্চল ও
বঙ্গোপসাগরের বিতৃত তটরেখা নিয়ে গঠিত হয়েছে বাঁশখালী ইকোপার্ক। বাঁশখালী
উপজেলা সদরের মনছুরিয়া বাজারের ৪ কিলোমিটার পূর্বে এই ইকোপার্কের অবস্থান।
প্রকৃতি এখানে বিছিয়ে দিয়েছে তার সৌন্দর্য্যরে চাদর। কোলাহল মুক্ত
পরিবেশে বণ্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে মাঝে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে
হারিয়ে ফেলার অপূর্ব স্থান বাঁশখালী ইকোপার্ক।
এটি যেন প্রকৃতির একখন্ড স্বর্গ ভূমি।
চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার সাথে এ পার্কের যাতায়াতের জন্য উন্নত
যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে না উঠলেও মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকদের ঢল নামে
বাঁশখালী ইকোপার্কে। এখানে মিলবে সবুজ ঘনবন আর নানারকম পশু-পাখি ও বন্য
প্রাণীর রোমাঞ্চকর সব দৃশ্য। যেন সে এক রহস্যময় জগৎ।
পার্কে এখন শোভা পাচ্ছে ৮৫ প্রজাতির পাখি,
৪৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৭ প্রজাতির উভচর
প্রাণী। ১৯৯৭ সালের উদ্ভিদ জরিপ মতে এখানে আরো পাওয়া যাবে ৩১০ প্রজাতির
উদ্ভিদ। এর মধ্যে ১৮ প্রজাতির দীর্ঘ বৃক্ষ, ১২ প্রজাতির মাঝারি বৃক্ষ, ১৬
প্রজাতির বেতসহ অসংখ্য অর্কিড, ইপিফাইট ও ঘাস জাতীয় গাছ।
এসব
ছাড়াও পার্কের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন ভিড়
জমাচ্ছেন নানা শ্রেণীর পর্যটকরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ইকোপার্ককে নিয়ে
বিতৃত পরিকল্পনা নিলে পর্যটন কেন্দ্রটি জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্বশীল হয়ে
উঠতে পারবে।
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, চিরসবুজ বনাঞ্চল ও
প্রাণীকূলের এসব অপরূপ সৌন্দর্য পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করার সুবিধার্থে
দর্শনার্থীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দুটি সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।
টাওয়ারের চূড়ায় উঠলে অনায়াসে দেখতে পাবেন কুতুবদিয়া চ্যানেল,
বঙ্গোপসাগর ও চুনতি অভয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল।
প্রতি বছরের শীত মৌসুমে এখানে প্রচুর
দর্শনার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। একই সাথে সমুদ্র উপকূলীয় বাহারছড়া ও
খানখানবাদ ঝাউবাগানেও পর্যটক আগমন শুরু হয়েছে। ইকোপার্কের সবুজ বনে পাখির
কিচিমিচি শব্দ, পশু-পাখির বিচরণ, এলোমেলো অসংখ্য লেক, আঁকাবাকা রাস্তা,
ঝুলন্ত ব্রীজ আর টাওয়ার হতে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছে।
২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে পার্কের বামের
ছড়ার বাঁধ ভেঙে বেশ কিছু স্থাপনা ও হাইড্রোইলেক্ট্রনিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি
তছনছ হয়ে যায়। এ সময় ইকোপার্কের বেশ কিছু স্থাপনা ভেঙে গেলে পর্যটকের
সংখ্যা কিছুতা হ্রাস পায়। তবে শীত মৌসুম ও বিভিন্ন উৎসবে পর্যটকের আনোগোনা
থাকে চোখে পড়ার মতো।
পর্যটকরা জানান, বাঁশখালী এলাকায় পরিবার
সদস্যদের নিয়ে বিনোদনের তেমন কোন স্থান নেই। খোলামেলা পরিবেশের এই
ইকোপার্কটি ঘুরে ফিরে সময় কাটানো যায়। শিশুরাও দোলনায় চড়ে ও ঝুলন্ত সেতু
দেখে খুব খুশি। পাখির কিচির-মিচির শব্দে ভ্রমণ পিপাসুদের মন উৎফুল্ল হয়।
প্রতি বছর ঈদে ও শীত মৌসুমে সমুদ্র সৈকতে
পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে পর্যটকদের আগমন আরো
বাড়বে বলে মনে করে দর্শনার্থীরা।
বাঁশখালী ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা
কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন জানান, শীত মৌসুম ও অতিথি পাখি আসায় বর্তমানে
পর্যটকরা আসা শুরু করেছেন। ফলে আগের চেয়ে উৎসব মুখর পর্যটন স্পটটি।
সুশৃংখলাভাবে পর্যটকরা যাতে ঘুরে বেড়াতে পারে সে জন্য বন বিভাগ থেকে সব
ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এদিকে ইকোপার্কে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি সরু
এবং জ্বরাজীর্ণ হওয়ায় পর্যটক সহ সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ইকোপার্কেটিতে নেই উন্নত কোন খাবর হোটেল।
অবস্থানঃ
বাঁশখালী ইকোপার্কটির অবস্থান উপজেলা সদর জলদি নেমে মনছুরিয়া বাজার থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে।
যেভাবে যেতে হবেঃ
চট্টগ্রাম থেকে এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা
সহজ। চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশখালীর দূরুত্ব মাত্র ৪৫ কিলোমিটার। বাসে যেতে
প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। বাস ভাড়া জনপ্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা। সিএনজি
ভাড়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
রাঙ্গুনীয়ায় দেশের একমাত্র পক্ষীশালা
চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের জঙ্গল নিচিন্তাপুর
পাহাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের প্রথম ও একমাত্র অ্যাভিয়ারি অ্যান্ড
রিক্রিয়েশন পার্ক (পক্ষীশালা ও বিনোদন কেন্দ্র) । দেশে দীর্ঘতম ২ কিলোমিটার
পাহাড় বিস্তৃতি ক্যাবল কার স্থাপন হল এ পার্কে।
পার্কটির নামকরণ হয়েছে ‘শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি অ্যান্ড রিক্রিয়েশন পার্ক’।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কোদালা বন
বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৫৫০ একর বনভূমিতে অ্যাভিয়ারি অ্যান্ড রিক্রিয়েশন
পার্ক গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। সারা বিশ্বের
মধ্যে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় রয়েছে এ ধরনের পার্ক।
এটি এমন একটি পার্ক যেখানে শুধু পাখি ও
জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য একটি অভয়ারণ্যভিত্তিক বৃক্ষ আচ্ছাদিত সবুজ
পাহাড়ি বন আছে। এখানে হাজার হাজার বুনো পাখি উড়ে বেড়ায়। তাদের কলতানে
মুখরিত হবে সবুজ বন। আর বুনোপথে ঘুরে বেড়াবে বিনোদনপ্রেমী মানুষ। আকাশ পথে
ক্যাবল কারে চড়ে দেখেেব নিচের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।’
পার্কের অভ্যন্তরে অন্যান্য বৃক্ষের
পাশাপাশি বট, অশ্বথ, পাকুর, আমলকী, ডুমুর, ইত্যাদি পাখি খাদ্য ও বিভিন্ন
ফল-ফলাদির বৃক্ষ চারা বনায়নে বাগান সৃজন এবং পাখিকুলের প্রাকৃতিক খাদ্যের
ব্যবস্থার মাধ্যমে পাখিদের অভয়ারণ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম
দক্ষিণ বন বিভাগ সুত্র জানায়, পার্কের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং পাখিদের জন্য
প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা করতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেগুন বাগান
এলাকায় বন বিভাগের জমিতে খনন করা হয়েছে কৃত্রিম লেক।
পাখিকুলের পানীয়, স্নান এবং আহার-বিহারে পানির ব্যবহারসহ প্রকৃতি ও পাখিদের জীবনধারার অপরূপ দৃশ্যের অবতারণা হয় এই লেকে।
সড়ক আর বনাঞ্চলের মাঝখানে দ্বীপ সমেত
কৃত্রিম লেকের দারুণ উপভোগ্য এই দৃশ্য আকর্ষণ করবে পর্যটকদের। লেকের
মাঝখানে গড়ে তোলা দ্বীপ থেকে তীরে আসা-যাওয়া করার জন্য রয়েচ্ছে আকর্ষণীয়
ব্রীজ।
পাখিশালার সদর দরজায় বিশালাকারের লেক এবং
লেকের মাঝে দ্বীপের আকর্ষণ ছাড়াও এর অভ্যন্তরে একাধিক স্থানে বাঁধ দিয়ে
তৈরি করা হয় কৃত্রিম হ্রদ।
এসব হ্রদ পাখিশালার বাসিন্দা হরেক
প্রজাতির পাখি ও পশুর পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দারুণ শোভা ছড়াচ্ছে।
লেক খনন ও ব্রীজ নির্মাণের পাশাপাশি হরেক জাতের পশুখাদ্যের বিভিন্ন
প্রজাতির বৃক্ষের চারা রোপণ করা হল এই পার্কে ।
পাখিশালা এলাকার বাগানের শূন্যস্থানে এসব বৃক্ষের চারা রোপণ করে পাখিকুলের প্রাকৃতিক খাদ্যের সংস্থান করা হচ্ছে।
শহীদ জিয়া জাদুঘর :
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বিপরীত দিকে একটি শিশুপার্ক। শিশুপার্ক ছাড়িয়ে
লালখান বাজার যাওয়ার পথ ধরে সামান্য হাঁটলেই রাস্তার ডানদিকে শহীদ জিয়া
জাদুঘর। টিকিট কেটে জাদুঘরে ঢুকতে হয়। সার্কিট হাউসের যে ঘরটিতে সাবেক
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হন। সেই ঘরের স্মৃতিচিহ্নসহ জিয়াউর রহমান
ব্যবহƒত নানা জিনিসপত্র এবং তার বেশকিছু দুর্লভ ছবি রয়েছে এখানে। রয়েছে
চট্টগ্রাম কালুরঘাটে খালকাটা কর্মসূচিতে নেতৃত্বদানরত অবস্থায় শহীদ জিয়ার
একটি ভাস্কর্য।
বাটালি পাহাড় : টাইগার
পাস এবং লালখান বাজারের মাঝামাঝি অবস্থান বাটালি পাহাড়ের। বোদ্ধা ব্যক্তিরা
বলে থাকেন, চট্টগ্রামের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে অবশ্যই টাইগার পাস
আসতে হবে এবং বাটালি পাহাড়ে উঠতে হবে। বাটালি পাহাড়ে রয়েছে হরেক রকম
গাছপালা। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য পাহাড় কেটে সুবিন্যস্তভাবে তৈরি করা সিঁড়ি।
বাটালি পাহাড় থেকে পুরো চট্টগ্রাম দেখা যায়। মনে হবে, পাহাড়ের কোলে গা
ঘেঁষে ঘুমাচ্ছে চট্টগ্রাম।
চেরাগী পাহাড় :
চেরাগী পাহাড় পত্রিকাপাড়া নামেও পরিচিত। এখানে প্রায় সব জাতীয় পত্রিকা,
টিভি চ্যানেল, রেডিও চ্যানেল, ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের অফিস রয়েছে।
রয়েছে স্থানীয় পত্রিকার অফিসও। চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং প্রাচীন
পত্রিকা প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে প্রকাশিত দৈনিক আজাদীর অফিস এখানেই।
তারপরই আন্দরকিল্লা। আন্দরকিল্লায় রয়েছে
শাহী মসজিদ, জেএম সেন হলে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের
পুরোধাপুরুষ মাস্টারদা সূর্যসেনের আবক্ষমূর্তি।
এর একটু দুরেই চকবাজার। যেখানে দুটি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে সুপ্রাচীন অলি খাঁ মসজিদ ও নানক গুরুদুয়ার।
লালদীঘি : লালদীঘির
ময়দান নানা কারণে মানুষের কাছে বহুল পরিচিত। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড়
রাজনৈতিক সমাবেশ স্থল এটি। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যে পরিমাণ মানুষ জমায়েত হয়
তা বিস্ময়কর। এছাড়া সংগ্রাম-আন্দোলনের অন্যতম, প্রধানতম বললেও ভুল হবে না,
সূতিকাগার এটি। ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা এখানেই হয়।
ওয়ার সিমেট্টি :
নগরীর প্রবর্তক মোড় পেরিয়ে বাদশা মিয়া রোডে এর অবস্থান। দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের একাংশ এখানে সমাহিত করা হয়েছে। ফুলের বাগান
বেষ্টিত মনোরম এ স্থান স্মরণ করিয়ে দেয় সেইসব সৈন্যদের শৌর্যবীর্য ও
বীরত্বগাথা। ছোট ছোট সমাধিফলক সারিবদ্ধভাবে সাজানো।
কর্ণফুলী নদীঃ এটি
ভারতের মিজোরামের লুসাই পাহাড়ে শুরু হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও
চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাছে
বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। এই নদীর মোহনাতে বাংলাদেশের প্রধান সমূদ্র বন্দর
চট্টগ্রাম বন্দর অবস্থিত। এই নদীর দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার।
** কর্ণফুলী নদীর নামের উৎস সম্পর্কে
বিভিন্ন কাহিনী প্রচলিত আছে। কথিত আছে যে, আরাকানের এক রাজকন্যা
চট্টগ্রামের এক আদিবাসী রাজপুত্রের প্রেমে পড়েন। এক জ্যোৎস্নাস্নাত রাতে
তাঁরা দুই জন এই নদীতে নৌভ্রমণ উপভোগ করছিলেন। নদীর পানিতে চাঁদের প্রতিফলন
দেখার সময় রাজকন্যার কানে গোঁজা একটি ফুল পানিতে পড়ে যায়। ফুলটি
হারিয়ে কাতর রাজকন্যা সেটা উদ্ধারের জন্য পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু
প্রবল স্রোতে রাজকন্যা ভেসে যান, তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায় নি। রাজপুত্র
রাজকন্যাকে বাঁচাতে পানিতে লাফ দেন, কিন্তু সফল হন নি। রাজকন্যার শোকে
রাজপুত্র পানিতে ডুবে আত্মাহুতি দেন। এই করুণ কাহিনী থেকেই নদীটির নাম হয়
‘কর্ণফুলী। মার্মা আদিবাসীদের কাছে নদীটির নাম কান্সা খিওং।
বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার :
মাতৃভক্তি এবং ধর্মীয় কারণে স্মরণীয় হয়ে আছেন বায়েজিদ বোস্তামী। মাজার
পুকুরে রয়েছে দানবাকৃতির অনেকগুলো কাছিম। জনশ্রতি আছে, কাছিমগুলোর বয়স কয়েক
শত বছর। এছাড়াও স্থাপত্যশৈলীর অনুপম নিদর্শন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
সিরাজউদ্দৌলা রোডের চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদ। প্রায় তিনশ’ বছর আগে
নির্মিত এ মসজিদটির সৌন্দর্য এখনও মানুষকে বিমোহিত করে।
পারকি সমুদ্রসৈকত :
চট্টগ্রাম শহর থেকে বেশ দূরেই এটির অবস্থান। আনোয়ারা থানায় গড়ে ওঠা এ
নয়নজুড়ানো সমুদ্রসৈকত তেমন একটা পরিচিতি পায়নি। সৈকতের পাড় ঘেঁষে
পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে একটি ঝাউবন। জায়গাটা সবসময় চিকচিক বালিতে ভরে
থাকে বলে রসিকজনেরা বলে থাকেন বালুবনে ঝাউবন! সমুদ্রের কথা বাদ দিলেও শুধু
ঝাউবনের আকর্ষণে অনেকেই ছুটে যান পারকিতে। সৈকতে সামুদ্রিক কাঁকড়ার অবাধ
বিচরণ নির্মল আনন্দদান করে। রয়েছে নোঙ্গর করা জাহাজ সারি।
সন্দ্বীপ : অনেকেই ভুল
করে সন্দ্বীপকে নোয়াখালী জেলার অংশ ভাবেন। আসলে এটা চট্টগ্রামেরই একটি
থানা। যদিও ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি অনেকটা নোয়াখালীর মতোই। জলবেষ্টিত এ
সুন্দর দ্বীপের আয়তন খুব একটা বেশি নয়, তুলনামূলক জনসংখ্যাও কম। দুইভাবেই
সন্দ্বীপ যাওয়া যায়।
বিপ্লব উদ্যান : ষোলশহর
দুই নম্বর গেটের আকারে ছোট কিন্তু ছিমছাম পার্ক বিপ্লব উদ্যানের অবস্থান।
এটি দর্শনার্থীদের জন্য উš§ুক্ত করে দেয়া হয় বিকাল চারটার পর। নগরবাসীর এবং
পর্যটকদের একটুখানি নিঃশ্বাস ফেলার এবং নেয়ার বিশ্বস্ত জায়গা এটি।
ফুলবাগান, কয়েক ধরনের গাছের পাশাপাশি প্রধানতম আকর্ষণ স্বাধীনতা ভাস্কর্য।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
: সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
অবস্থান। শিক্ষার কথা বাদ দিলে সৌন্দর্যের দিক দিয়ে এটি অদ্বিতীয়। এ
সৌন্দর্যের তুলনা নেই। নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পাহাড়ের উপরে স্থাপিত এ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় চারদিকেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়।
পাহাড় কেটে কেটে যে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে তা যে কাউকেই মুগ্ধ করবে।
দুইপাশে সগর্বে দাঁড়িয়ে থাকা যমজ পাহাড়, মাঝখানে পাহাড়ের বুক চিরে চলে গেছে
সরু রাস্তা। মনোমুগ্ধকর দৃশ্যই বটে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এবং
আকর্ষণ শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে
শাটল ট্রেন ব্যবস্থাটি। একমাত্র চট্টগাম ছাড়া দেশের আর কোন পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা নেই। এ শাটল ট্রেনের আড্ডা
কিংবদন্তির পর্যায়ে চলে গেছে। সুযোগ হলে শাটল ট্রেনে চড়ে বিরল অভিজ্ঞতা
অর্জন করা যেতে পারে। অবশ্য অছাত্রদের জন্য শাটল ট্রেনে চড়ার বিধিসম্মত কোন
ব্যবস্থা নেই!
কিভাবে যাবেনঃ
>> বিমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ২০ মিনিটের মত লাগে, জি এম জি, ইউনাইটেড এয়ার সহ বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ও ট্রানজিট ফ্লাইট আছে।
>> বিমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ২০ মিনিটের মত লাগে, জি এম জি, ইউনাইটেড এয়ার সহ বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ও ট্রানজিট ফ্লাইট আছে।
UNITED AIRWAYS FARE CHART
REGENT AIRWAYS
REGENT AIRWAYS
>> ট্রেনে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে
অনেক গুলো ট্রেন ছেড়ে যায় , সুবর্ণ, মহানগর প্রভাতি , মহানগর গোধূলি, তুরনা
নিশিতা , চট্টগ্রাম মেইল, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস ।
>> গ্রীন লাইন, সাউদিয়া এস আলম,
হানিফ এন্টারপ্রাইজসহ অনেক এসি / নন এসি বাস যাতায়াত করে থাকে। আরামবাগ,
সায়েদাবাদ হতে চট্টগ্রামগামী বাস পাওয়া যায়। এসি – ৯০০/- টাকা হতে শুরু,
নন এসি – ৫০০/- টাকা হতে শুরু।
সৌদিয়া পরিবহন ০১৯১৯৬৫৪৯২৯ , এস. আলম পরিবহন ০১৯১৭৭২০৩৯৫ , ইউনিক সার্ভিস ০১১৯১৬২১১২৭
চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতঃ
চট্টগ্রাম শহরে রিক্সা ভাড়া একটু বেশি,
বেশির ভাগ রাস্তাই ঢালু রিক্সা চালানো বেশ কষ্টকর। সিএনজি ভাড়া ঢাকার চেয়ে
একটু কম। তবে বাস সার্ভিস খুব ভালো। যে কোন জায়গায় বাসে যেতে পারবেন।
পর্যাপ্ত পরিমানে আছে। ভাড়াও কম। বিশেষ করে দর্শনীয় স্থান সব গুলোই বাসে
যেতে পারেন সিংহ ভাগ রাস্তা। পরে কিছু পথ রিক্সা লাগতে পারে। শহরতলী বাস
গুলো মূলত বহদ্দার হাট বা নতুন ব্রিজ থেকে শুরু হয়।
১ নং বাস:
নিউ মার্কেট – লালদীঘি – আন্দরকিল্লা – চন্দনপুরা – চকবাজার – বাদুড়তলা – বহদ্দারহাট ।
নিউ মার্কেট – লালদীঘি – আন্দরকিল্লা – চন্দনপুরা – চকবাজার – বাদুড়তলা – বহদ্দারহাট ।
২ নং বাস:
নিউ মার্কেট – লালদীঘি – আন্দরকিল্লা – গণি বেকারী – চকবাজার – প্রবর্তক – ২ নং গেট – মুরাদপুর – বহদ্দারহাট – কালুরঘাট ।
নিউ মার্কেট – লালদীঘি – আন্দরকিল্লা – গণি বেকারী – চকবাজার – প্রবর্তক – ২ নং গেট – মুরাদপুর – বহদ্দারহাট – কালুরঘাট ।
৩ নং বাস:
নিউ মার্কেট – কাজীর দেউরী – গোলপাহাড় – প্রবর্তক – ২ নং গেট – বিবিরহাট – অক্সিজেন – চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।
নিউ মার্কেট – কাজীর দেউরী – গোলপাহাড় – প্রবর্তক – ২ নং গেট – বিবিরহাট – অক্সিজেন – চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।
৪ নং বাস:
নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – লালখান বাজার – দামপাড়া/জিইসি – ঝাউতলা – একে খান – ভাটিয়ারী ।
নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – লালখান বাজার – দামপাড়া/জিইসি – ঝাউতলা – একে খান – ভাটিয়ারী ।
৫ নং বাস :
লালদীঘি – নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – দেওয়ান হাট – আগ্রাবাদ – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – মেরিন একাডেমী – বিমানবন্দর ।
লালদীঘি – নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – দেওয়ান হাট – আগ্রাবাদ – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – মেরিন একাডেমী – বিমানবন্দর ।
৬ নং বাস :
লালদীঘি – নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – দেওয়ান হাট – আগ্রাবাদ – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – কাঠগড় – সী বিচ ।
লালদীঘি – নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – দেওয়ান হাট – আগ্রাবাদ – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – কাঠগড় – সী বিচ ।
৭ নং বাস:
লালদীঘি – নিউ মার্কেট – দেওয়ানহাট – বাদামতলী মোড় (আগ্রাবাদ) – বড়পুল – অলংকার – ভাটিয়ারী ।
লালদীঘি – নিউ মার্কেট – দেওয়ানহাট – বাদামতলী মোড় (আগ্রাবাদ) – বড়পুল – অলংকার – ভাটিয়ারী ।
৮ নং বাস:
লালদীঘি – নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – লালখান বাজার – জিইসি – ২ নং গেট – বায়েজিদ বোস্তামী – অক্সিজেন ।
লালদীঘি – নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – লালখান বাজার – জিইসি – ২ নং গেট – বায়েজিদ বোস্তামী – অক্সিজেন ।
১০ নং বাস:
নতুন ব্রীজ – বহদ্দারহাট – মুরাদপুর – ২ নং গেট – জিইসি – লালখান বাজার – টাইগার পাস – দেওয়ানহাট – আগ্রাবাদ – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – কাঠগড় ।
নতুন ব্রীজ – বহদ্দারহাট – মুরাদপুর – ২ নং গেট – জিইসি – লালখান বাজার – টাইগার পাস – দেওয়ানহাট – আগ্রাবাদ – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – কাঠগড় ।
১০/এ নং বাস:
কালুরঘাট – বহদ্দারহাট – মুরাদপুর – ২ নং গেট – জিইসি – লালখান বাজার – টাইগার পাস – দেওয়ানহাট – আগ্রাবাদ – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – কাঠগড় ।
কালুরঘাট – বহদ্দারহাট – মুরাদপুর – ২ নং গেট – জিইসি – লালখান বাজার – টাইগার পাস – দেওয়ানহাট – আগ্রাবাদ – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – কাঠগড় ।
(উপরোক্ত রুট লিস্ট ৯৫% নির্ভুল । এর বাইরেও ২-১ টি রুট থাকতে পারে, যেমন ১১ নং বাস । তবে মূল শহরে এগুলোই প্রধান)
কোথায় থাকবেনঃ
হোটেল আগ্রাবাদ(৫ তারকা)
পেনিনসুলা (৩ তারকা)
হোটেল এশিয়ান
এছাড়াও ষ্টেশন রোডে এবং বহদ্দার হাটে মধ্যম মানের অনেক গুলো আবাসিক হোটেল আছে।
হোটেল আগ্রাবাদ(৫ তারকা)
পেনিনসুলা (৩ তারকা)
হোটেল এশিয়ান
এছাড়াও ষ্টেশন রোডে এবং বহদ্দার হাটে মধ্যম মানের অনেক গুলো আবাসিক হোটেল আছে।
খাবারদাবারঃ
মেজবানের গোশত ও আখনি বেশ নামকরা। আখনি হলো তেহেরির মত। জিএসসি মোড়ে, লাল খান বাজারে ভালো ভালো অনেক চাইনিজ, বুফে, ফাস্টফুড ও পেস্ট্রি দোকান আছে। নাসিরা বাদে সানমার মার্কেটের উপরে ফুড কোর্ট রয়েছে। হাইওয়ে এর কেক খেতে ভুলবেন। ঢাকাতেও এত টেস্টি কেক পাবেন না। নিউমার্কেটের ২য় তলায় ডায়মন্ড অনেক পুরানো ও নামকরা রেস্টুরেন্ট। বুফে খেতে যেতে পারেন অ্যামব্রোসিয়া । আমি বলবো এক কথায় অসাধারণ। তবে মেরিডিয়ানেরতাও খারাপ না।
মেজবানের গোশত ও আখনি বেশ নামকরা। আখনি হলো তেহেরির মত। জিএসসি মোড়ে, লাল খান বাজারে ভালো ভালো অনেক চাইনিজ, বুফে, ফাস্টফুড ও পেস্ট্রি দোকান আছে। নাসিরা বাদে সানমার মার্কেটের উপরে ফুড কোর্ট রয়েছে। হাইওয়ে এর কেক খেতে ভুলবেন। ঢাকাতেও এত টেস্টি কেক পাবেন না। নিউমার্কেটের ২য় তলায় ডায়মন্ড অনেক পুরানো ও নামকরা রেস্টুরেন্ট। বুফে খেতে যেতে পারেন অ্যামব্রোসিয়া । আমি বলবো এক কথায় অসাধারণ। তবে মেরিডিয়ানেরতাও খারাপ না।
চট্টগ্রামের ট্যুরিস্ট স্পট গুলো সহজে খুঁজে নিনঃ
বহদ্দার হাটকে কেন্দ্র ধরে নিলে ,
> বহদ্দার হাট বাস টার্মিনালের উল্টা দিকে স্বাধীনতা কমপ্লেক্স (২৪ তলার উঁচুতে রেস্টুরেন্ট ও মিনি বাংলাদেশ) ,
> বহদ্দার হাট বাস টার্মিনালের উল্টা দিকে স্বাধীনতা কমপ্লেক্স (২৪ তলার উঁচুতে রেস্টুরেন্ট ও মিনি বাংলাদেশ) ,
> বহদ্দার হাট থেকে সোজা মুরাদপুর
মুরাদপুরের ডানের রাস্তা হাটহাজারি তথা রাঙ্গামাটির বাস টার্মিনাল তথা
অক্সিজেন মোড় , বামের রাস্তা দিয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্ক এবং আরও বেশ
কিছু দুর গেলে চেরাগি পাহাড়, ডিসি হিল।
> মুরাদপুর থেকে সোজা ২ নম্বর গেট। ২
নম্বর গেট থেকে ডানে বায়োজিদ বোস্তামি (র) মাজার। মাজার থেকে সোজা
অক্সিজেনের মোড়। অক্সিজেন হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
> ২ নম্বর গেট থেকে সোজা জিইসি মোড়।
জিএসসি মোড় থেকে বামে গোল পাহাড় এখানে বাদশা মিয়া রোডের মাথায় ওয়ার
সিমেট্রি। ডানের রাস্তা চলে গেলো ফয়েস লেক ও চিড়িয়াখানা হয়ে ভাটিয়ারী
সীতাকুণ্ড।
> জিইসি মোড় থেকে সোজা যেতে থাকলে হাতের ডানে পরবে গরীবুল্লাহ শাহ (র) মাজার।
> জিইসি মোড় ছাড়িয়ে ওয়াসার মোড়ে পরবে জামাতুল ফালাহ মসজিদ। মসজিদ থেকে সোজা ডানে আলমাস ও ঝুমুর সিনেমা হল।
> ওয়াসা মোড় থেকে সোজা ইস্পাহানি
সার্কেল । এটাই লাল খান বাজার। এই মোড় থেকে বামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, শিশু
পার্ক ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম।
> লাল খান বাজার থেকে সোজা টাইগার পাস।
টাইগার পাসের বামের রাস্তা রেলওয়ে শত বছর পুরানো সিআরবি ভবন। ভবন থেকে
সোজা কদমতলি ছাড়িয়ে রেল ষ্টেশন। ষ্টেশন থেকে সোজা নিউমার্কেট। নিউমার্কেট
থেকে সোজা কোতয়ালি মোড় থেকে বামের রাস্তায় লাল দিঘি। লাল দিঘির কাছেই শাহ
আমানত (র) মাজার।
> টাইগার পাস থেকে সোজা আগ্রাবাদ বাদামতলি মোড় গিয়ে বামের রাস্তায় এগুলে জাতিসত্ত জাদুঘর।
> আগ্রাবাদ থেকে সোজা পোর্ট , পতেঙ্গা সি বীচ।
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment