কুমিলার দর্শনীয় স্থান
কুটিলা মুড়া: এই স্থানটি শালবন বিহার থেকে উত্তরে তিন মাইল দূরে ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে অবস্থিত। খননেরফলে এখানে প্রাচীনকালের তিনটি ‘স্তূপ নিদর্শন’আবিষ্কৃত হয়েছে।
চারপত্র মুড়া: এই স্থানটি কুটিলা মুড়া থেকে প্রায় ১.৫০মাইল উত্তর পশ্চিমে ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে অবস্থিত। এই পাহাড়ের শীর্ষ দেশ সমতল, আকারে ছোট এবং আশপাশের ভূমি থেকে ৩৫ ফুট উঁচু। ১৯৫৬ সালে সামরিক ঠিকাদারদের বুলডোজার ব্যবহারের ফলে পূর্ব পশ্চিমে ১০০ ফুট দীর্ঘ ও উত্তর দক্ষিণে ৫৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট একটি ছোট চতুষ্কোণ বৌদ্ধ মন্দির আবিষ্কৃত হয়।
যাদুঘর: শালবন বিহারের পাশেই রয়েছে যাদুঘর। এই যাদুঘরে রয়েছে দর্শনীয় সব পুরাকীর্তি এবং বিভিন্ন রাজবংশীয় ইতিহাস, ব্যবহূত তৈজসপত্র, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের ছোট ছোট বুদ্ধ মুর্তি, দেব-দেবির মূর্তি,পোড়া মাটির ফলকচিত্র, অলংকৃত ইট, পাথরের মূর্তি,মাটি ও তামার পাত্র, দৈনন্দিন ব্যবহার সামগ্রী- দা,কাস্তে, খুন্তি, কুঠার, ঘটি, বাটি, বিছানাপত্র ইত্যাদি।যাদুঘরের পাশে বন বিভাগ নতুন ২টি পিকনিক স্পট করেছে।
রূপবান মুড়া:কোটবাড়ি বার্ডের প্রধান ফটকের অদূরে (পশ্চিমে) এই স্থানটি অবস্থিত। প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের পর এখানে একটি বিহার, একটি মন্দির,একটি ক্ষুদ্র স্তূপ ও একটি উচ্চ মঞ্চের স্থাপত্য নিদর্শন উন্মোচিত হয়। এখানকার কারুকাজ খচিত প্রাচীন মন্দিরটি সত্যিই দেখার মতো। মন্দিরের অলংকৃত ইট,বিশেষ মাটির ফলকসহ নানারকম প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণাদিতে বোঝা যায়, মন্দিরটি খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর আগে নির্মিত।
ইটাখোলা মুড়া: কোটবাড়ি থেকে অল্প পশ্চিমে বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ক্যাম্প বরাবর উত্তর টিলায় ইটাখোলা মুড়া অবস্থিত। আঁকাবাঁকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উপরে উঠতে হয়। এখানে একটি বৌদ্ধ মূর্তি আছে। মূর্তিটির উর্ধাংশ যাদুঘরে স্থানান্তরিত হয়েছে।প্রায় সর্বদাই দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে এস্থানটি।
ময়নামতি পাহাড়: কুমিল্লা-সিলেট সড়কের বুড়িচং এলাকায় ময়নামতি পাহাড় অবস্থিত। চতুষ্কোণ এই পাহাড়টির উপরিভাগ সমতল, উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট।এখানকার আবিষ্কৃত স্থাপত্য নিদর্শনগুলো আনুমানিক ১২শ’ থেকে ১৩শ’ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।
আনন্দ বিহার: ময়নামতি লালমাই পাহাড়ের অসংখ্য বৌদ্ধ স্থাপত্য কীর্তির মধ্যে আনন্দ বিহারই সর্ববৃহত্।অষ্টম শতকের দেব বংশীয় প্রভাবশালী রাজা আনন্দ দেব কর্তৃক এখানে শালবন বিহারের অনুরূপ একটি বিশাল বৌদ্ধ বিহার স্থাপিত হয়েছিল। এখানে আবিষ্কৃত সম্পদের মধ্যে মুদ্রালিপি সম্বলিত ফলক, মৃম্ময় দীপ,বৌদ্ধ দেব-দেবীর বিভিন্ন ব্রোঞ্জের মূর্তি, মৃত্ পাত্র ও গুটিকা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
চিড়িয়াখানা: জেলা প্রশাসকের বাংলোর পাশে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান।প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভিড় জমান সেখানে।
চণ্ডিমুড়া মন্দির: কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে জেলার লাকসাম-বরুড়া-সদর উপজেলার ত্রিমুখী মিলনস্থলে পাহাড়চূড়ায় ২ একর ৬৮ শতক জায়গাজুড়ে চণ্ডি ও শিব নামক দুটি মন্দির অবস্থিত। চণ্ডিমন্দিরের নামানুসারে এলাকাটিচণ্ডিমুড়া হিসেবে পরিচিত। এর অদূরেই রয়েছে দুতিয়া দিঘী। মন্দিরকে ঘিরে প্রতি বছর তিনটি উত্সবঅনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারতসহ বিভিন্ন স্থানের অসংখ্যভক্ত-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি: কুমিল্লা নগর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছায়াঘেরা স্নিগ্ধ নৈসর্গিক পরিবেশে অবস্থিত ‘ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি’। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত ব্রিটিশ, কানাডিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান, আফ্রিকান,জাপানী, আমেরিকান, ভারতীয় ও নিউজিল্যান্ডের ৭৩৭ জন সৈন্যের সমাধিস্থল এটি। সকাল ৭টা-১২টা এবং ১টা-৫টা পর্যন্ত এখানে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
দীঘির জেলা কুমিল্লা: ছোট-বড় অসংখ্য দীঘি রয়েছে কুমিল্লায়। এর মধ্যে নানুয়ার দীঘি, উজির দীঘি,লাউয়ার দীঘি, রাণীর দীঘি, আনন্দ রাজার দীঘি,ভোজ রাজার দীঘি, ধর্মসাগর, কৃষ্ণসাগর, কাজির দীঘি, দুতিয়ার দীঘি, শিবের দীঘি ও জগন্নাথ দীঘির নাম উল্লেখযোগ্য।
ধর্মসাগর: নগরীর বাদুরতলায় ধর্মসাগর দীঘি অবস্থিত। এর আয়তন ২৩.১৮ একর। ত্রিপুরা রাজ্যেররাজা ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ খ্রিস্টাব্দে দীঘিটি খনন করেন। এর উত্তরপাড়ে রয়েছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কুমিল্লা নগর পার্ক। ৫ একর জায়গাজুড়ে এই পার্ক বিস্তৃত। এর উত্তর পূর্ব কোণে রয়েছে রাণী কুটির এবং একটি শিশু পার্ক ও নজরুল একাডেমী। ধর্মসাগরে আপনি নৌকায়ও ভ্রমণ করতেপারবেন।
মহাত্মা গান্ধী ও রবীঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত অভয় আশ্রম: নগরীর প্রাণকেন্দ্র লাকসাম রোডে আড়াইএকর জমির উপর অভয় আশ্রমের অবস্থান। এখানে মহাত্মা গান্ধী ছাড়াও কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,সীমান্ত গান্ধী, আবদুল গাফফার খান, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ বহু গুণীজনের আগমন ঘটেছিল। এই আশ্রমে থাকা দরিদ্র মানুষেরা খাদি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো।
কবি নজরুল স্মৃতি: কুমিল্লা নগরে দেখে যেতে পারেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত অনেক দর্শনীয় স্থান। কবি নজরুলের স্মৃতিধন্য কবিতীর্থ দৌলতপুর দেখতে যেতে পারেনমুরাদনগরে। এখানে নার্গিসের সাথে তার বিয়ে হয়।কুমিল্লা ও দৌলতপুরে অনেক কবিতা ও গান রচনা করেছেন কাজী নজরুল।
শাহ সুজা মসজিদ: কুমিল্লা মহানগরীর মোগলটুলিতে অবস্থিত শাহ সুজা মসজিদ। সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভাই শাহজাদা সুজার নামানুসারে এই মসজিদের নাম রাখা হয়েছে। এতে গম্বুজের সংখ্যা ৩টি, মিনার ৬টি,দৈর্ঘ্য ৫৮ ফুট, প্রস্থ ২৮ ফুট। দেয়ালের পুরুত্ব ৫-৮ইঞ্চি।
রাজেশপুর ইকো পার্ক: জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড়কানন এলাকা থেকে সড়কপথে রাজেশপুর ইকো পার্কে যাওয়া যায়। এর আয়তন ৫৮৭ দশমিক ৮৯ একর। এই ইকো পার্কে রয়েছে নানা প্রজাতিরগাছপালা, পশু-পাখি। পিকনিক স্পট হিসাবে এ পার্ক স্বচ্ছন্দে বেছে নিতে পারেন।
নূরজাহান ইকো পার্ক: কুমিল্লা মহানগরীর ইপিজেডের পূর্বপার্শ্বে নেউরা এলাকায় ৬৪০ শতক জমিতে নূরজাহান ইকো পার্ক স্থাপন করেন মো. আবদুর রাজ্জাক। সম্পূর্ণ গ্রামীণ আর বাংলার লোকজ ঐতিহ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে নূরজাহান ইকো পার্ক। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। পার্ক অভ্যন্তরে পুকুরে জলপরির নান্দনিক মূর্তি যে কাউকে আকৃষ্ট করে।এতে প্রবেশ ফি ২০ টাকা। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা৬টা পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারেন প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে।
জামবাড়ি: কুমিল্লা নগরীর প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তরে জামবাড়ির অবস্থান। এখানে এলে প্রকৃতির নিবিড় ছায়ায় হারিয়ে যেতে চাইবে আপনার মন। পাখ-পাখালীর কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত গোটা জামবাড়িএলাকা। কয়েক বর্গমাইল বিস্তৃত এই এলাকায় রয়েছেছোট-বড় কয়েকটি উঁচু-নিচু ঢিবি। নয়নাভিরাম জামবাড়ি এলাকা নাটক ও চলচ্চিত্রের শুটিং-এর জন্য নির্মাতাদের অন্যতম পছন্দের স্থান।
কোটবাড়ি বার্ড: ১৯৫৯ সালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন ড. আখতার হামিদ খান। বার্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে ফি লাগে না,তবে অনুমতি নিতে হবে। বার্ডের ভেতরের সুন্দর রাস্তা দিয়ে সামনে এগুলেই দুই পাহাড়ের মাঝখানেদেখতে পাবেন অনিন্দ্য সুন্দর বনকুটির। কুমিল্লায় আসলে বার্ডের এই সুন্দর এলাকাটি ঘুরে দেখতে ভুল করবেন না যেন।
নীলাচল পাহাড়: বার্ডের ভিতরে রয়েছে নীলাচল পাহাড়। নির্জন প্রকৃতির এক অকৃত্রিম ভাললাগারজায়গা হচ্ছে নীলাচল।
ভাষা সৈনিকের বাড়ি: নগরীর ধর্মসাগরের পশ্চিম পাড়ে আপনি ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মৃতিবহুল বাড়িটি দেখে যেতে ভুলবেন না। ১৯৪৮ সালে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তই সর্বপ্রথম আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গণপরিষদে আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালে পাক হানাদাররা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ত্রিশ আউলিয়ার মাজার: হযরহ শাহ্ জালালেরসফরসঙ্গী শাহ্ জামালসহ মোট ৩০ জন আউলিয়ার মাজার রয়েছে দেবিদ্বারের এলাহাবাদ গ্রামে। এখানেঅবস্থিত কবরগুলো প্রায় ৭শ’ বছরের পুরানো। এখানেত্রিশটি কবর আছে।
৭০০ বছরের প্রাচীন মসজিদ: দেশের সবচেয়ে প্রাচীনমসজিদটি বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামে অবস্থিত।প্রায় ৭শ’ বছরের পুরানো এ মসজিদ। মুসল্লিরা এখনওএ মসজিদে নামাজ আদায় করেন।
রাণীর বাংলো: কুমিল্লা-সিলেট রোডের কুমিল্লারবুড়িচংয়ের সাহেববাজারে রাণীর বাংলো অবস্থিত।সেখানে এখনও খনন কাজ চলছে। এখানকার দেয়ালটি উত্তর-দক্ষিণে ৫১০ ফুট লম্বা ও ৪০০ ফুট চওড়া। সেখানে স্বর্ণ ও পিতলের দ্রবাদি পাওয়া গেছে।
নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি: লাকসামের পশ্চিমগাঁওয়ে ডাকাতিয়া নদীর তীরে দেখে আসুন নারী জাগরণের পথিকৃত্ নবাব ফয়জুন্নেছার (১৮৩৪-১৯০৩) বাড়ি।তিনি ছিলেন হোমনাবাদের জমিদার। এখানেঐতিহ্যবাহী দশ গম্বুজ মসজিদও রয়েছে। ফেরার সময়দেশের অন্যতম লাকসাম রেলওয়ে জংশন দেখে যেতে পারেন।
নদীর নাম গোমতী: কুমিল্লাবাসীর সুখ-দুঃখের সাথীগোমতী নদী। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকরেছে। নগরীর পাশে বানাশুয়া বা চাঁন্দপুর ব্রিজে গিয়ে গোমতীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
কেটিসিসি পর্যটন কেন্দ্র: কুমিল্লা সদর উপজেলাপরিষদের পাশে অবস্থিত কেটিটিসির পর্যটন কেন্দ্র।এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে চমত্কার একটি পার্ক।এছাড়া নগরীর চর্থায় দেখে যেতে পারেন উপ-মহাদেশের সঙ্গীত সম্রাট শচীন দেব বর্মণের বাড়ি।বাগিচাগাঁওয়ে রয়েছে বৃটিশ খেদাও আন্দোলনের অন্যতম নেতা অতীন রায়ের বাড়ি। দেখতে পারেন কুমিল্লা পৌর পার্ক, চিড়িয়াখানা ও শতবর্ষী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।
নদী সমূহ : মেঘনা, গোমতী ,
কীভাবে যাবেন : সড়কপথে এবং রেলপথে খুব সহজেই কুমিলা যাওয়া যায়। এশিয়ালাইন, তিশা, প্রিন্স, প্রাইম,ইত্যাদি বাস চলাচল করে।
কোথায় থাকবেন : রাতযাপন করার মতো হোটেলের অভাব কুমিলায় নেই। উলেখযোগ্য কিছু হোটেল হচ্ছেÑ আবেদীন, নূরজাহান, আশিক, মেরাজ,ময়নামতি ইত্যাদি। এছাড়াও কুমিলায় রয়েছে বেশকিছু ভালোমানের রিসোর্ট।
লালমাই পাহাড়: লালমাই পাহাড় নিয়ে একটি
গল্প প্রচলিত আছে। সেটি এরকম- লংকার রাজা রাবণ রামের স্ত্রী সীতাকে হরণ করে
নিয়ে গেলে রাম তার ভাই লক্ষণকে নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়। এতেলক্ষণ আহত
হলে কবিরাজ বিশল্যাকরণী গাছের পাতাহিমালয় পাহাড় থেকে সূর্যোদয়ের পূর্বে
এনে দেয়ার কথা বলেন। হনুমান গাছটি চিনতে না পেরে পুরো পর্বত নিয়ে আসে এবং
কাজ শেষে পাহাড়টি যথাস্থানে রাখতে যাওয়ার সময় অনেকটা আনমনা হয়ে যায়।ফলে
পাহাড়ের একাংশ লম লম সাগরে পড়ে যায়।হিমালয়ের সেই ভেঙ্গে পড়া অংশই বর্তমানের
লালমাই পাহাড়। অবশ্যই এ নেহায়েতই গল্প। সম্পূর্ণ লাল মাটির লালমাই পাহাড়টি
উত্তর-দক্ষিণে ১১ মাইল লম্বা এবংপূর্ব-পশ্চিমে ২ মাইল চওড়া। পাহাড়টির
সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫০ ফুট।
শালবন বিহার: শালবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
কুমিল্লা নগর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার অবস্থিত। সপ্তম
থেকে অষ্টম শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে বৌদ্ধ রাজাদের শাসনামলে শালবন বিহার
স্থাপিত হয়।কুটিলা মুড়া: এই স্থানটি শালবন বিহার থেকে উত্তরে তিন মাইল দূরে ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে অবস্থিত। খননেরফলে এখানে প্রাচীনকালের তিনটি ‘স্তূপ নিদর্শন’আবিষ্কৃত হয়েছে।
চারপত্র মুড়া: এই স্থানটি কুটিলা মুড়া থেকে প্রায় ১.৫০মাইল উত্তর পশ্চিমে ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে অবস্থিত। এই পাহাড়ের শীর্ষ দেশ সমতল, আকারে ছোট এবং আশপাশের ভূমি থেকে ৩৫ ফুট উঁচু। ১৯৫৬ সালে সামরিক ঠিকাদারদের বুলডোজার ব্যবহারের ফলে পূর্ব পশ্চিমে ১০০ ফুট দীর্ঘ ও উত্তর দক্ষিণে ৫৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট একটি ছোট চতুষ্কোণ বৌদ্ধ মন্দির আবিষ্কৃত হয়।
যাদুঘর: শালবন বিহারের পাশেই রয়েছে যাদুঘর। এই যাদুঘরে রয়েছে দর্শনীয় সব পুরাকীর্তি এবং বিভিন্ন রাজবংশীয় ইতিহাস, ব্যবহূত তৈজসপত্র, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের ছোট ছোট বুদ্ধ মুর্তি, দেব-দেবির মূর্তি,পোড়া মাটির ফলকচিত্র, অলংকৃত ইট, পাথরের মূর্তি,মাটি ও তামার পাত্র, দৈনন্দিন ব্যবহার সামগ্রী- দা,কাস্তে, খুন্তি, কুঠার, ঘটি, বাটি, বিছানাপত্র ইত্যাদি।যাদুঘরের পাশে বন বিভাগ নতুন ২টি পিকনিক স্পট করেছে।
রূপবান মুড়া:কোটবাড়ি বার্ডের প্রধান ফটকের অদূরে (পশ্চিমে) এই স্থানটি অবস্থিত। প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের পর এখানে একটি বিহার, একটি মন্দির,একটি ক্ষুদ্র স্তূপ ও একটি উচ্চ মঞ্চের স্থাপত্য নিদর্শন উন্মোচিত হয়। এখানকার কারুকাজ খচিত প্রাচীন মন্দিরটি সত্যিই দেখার মতো। মন্দিরের অলংকৃত ইট,বিশেষ মাটির ফলকসহ নানারকম প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণাদিতে বোঝা যায়, মন্দিরটি খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর আগে নির্মিত।
ইটাখোলা মুড়া: কোটবাড়ি থেকে অল্প পশ্চিমে বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ক্যাম্প বরাবর উত্তর টিলায় ইটাখোলা মুড়া অবস্থিত। আঁকাবাঁকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উপরে উঠতে হয়। এখানে একটি বৌদ্ধ মূর্তি আছে। মূর্তিটির উর্ধাংশ যাদুঘরে স্থানান্তরিত হয়েছে।প্রায় সর্বদাই দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে এস্থানটি।
ময়নামতি পাহাড়: কুমিল্লা-সিলেট সড়কের বুড়িচং এলাকায় ময়নামতি পাহাড় অবস্থিত। চতুষ্কোণ এই পাহাড়টির উপরিভাগ সমতল, উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট।এখানকার আবিষ্কৃত স্থাপত্য নিদর্শনগুলো আনুমানিক ১২শ’ থেকে ১৩শ’ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।
আনন্দ বিহার: ময়নামতি লালমাই পাহাড়ের অসংখ্য বৌদ্ধ স্থাপত্য কীর্তির মধ্যে আনন্দ বিহারই সর্ববৃহত্।অষ্টম শতকের দেব বংশীয় প্রভাবশালী রাজা আনন্দ দেব কর্তৃক এখানে শালবন বিহারের অনুরূপ একটি বিশাল বৌদ্ধ বিহার স্থাপিত হয়েছিল। এখানে আবিষ্কৃত সম্পদের মধ্যে মুদ্রালিপি সম্বলিত ফলক, মৃম্ময় দীপ,বৌদ্ধ দেব-দেবীর বিভিন্ন ব্রোঞ্জের মূর্তি, মৃত্ পাত্র ও গুটিকা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
চিড়িয়াখানা: জেলা প্রশাসকের বাংলোর পাশে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান।প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভিড় জমান সেখানে।
চণ্ডিমুড়া মন্দির: কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে জেলার লাকসাম-বরুড়া-সদর উপজেলার ত্রিমুখী মিলনস্থলে পাহাড়চূড়ায় ২ একর ৬৮ শতক জায়গাজুড়ে চণ্ডি ও শিব নামক দুটি মন্দির অবস্থিত। চণ্ডিমন্দিরের নামানুসারে এলাকাটিচণ্ডিমুড়া হিসেবে পরিচিত। এর অদূরেই রয়েছে দুতিয়া দিঘী। মন্দিরকে ঘিরে প্রতি বছর তিনটি উত্সবঅনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারতসহ বিভিন্ন স্থানের অসংখ্যভক্ত-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি: কুমিল্লা নগর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছায়াঘেরা স্নিগ্ধ নৈসর্গিক পরিবেশে অবস্থিত ‘ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি’। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত ব্রিটিশ, কানাডিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান, আফ্রিকান,জাপানী, আমেরিকান, ভারতীয় ও নিউজিল্যান্ডের ৭৩৭ জন সৈন্যের সমাধিস্থল এটি। সকাল ৭টা-১২টা এবং ১টা-৫টা পর্যন্ত এখানে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
দীঘির জেলা কুমিল্লা: ছোট-বড় অসংখ্য দীঘি রয়েছে কুমিল্লায়। এর মধ্যে নানুয়ার দীঘি, উজির দীঘি,লাউয়ার দীঘি, রাণীর দীঘি, আনন্দ রাজার দীঘি,ভোজ রাজার দীঘি, ধর্মসাগর, কৃষ্ণসাগর, কাজির দীঘি, দুতিয়ার দীঘি, শিবের দীঘি ও জগন্নাথ দীঘির নাম উল্লেখযোগ্য।
ধর্মসাগর: নগরীর বাদুরতলায় ধর্মসাগর দীঘি অবস্থিত। এর আয়তন ২৩.১৮ একর। ত্রিপুরা রাজ্যেররাজা ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ খ্রিস্টাব্দে দীঘিটি খনন করেন। এর উত্তরপাড়ে রয়েছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কুমিল্লা নগর পার্ক। ৫ একর জায়গাজুড়ে এই পার্ক বিস্তৃত। এর উত্তর পূর্ব কোণে রয়েছে রাণী কুটির এবং একটি শিশু পার্ক ও নজরুল একাডেমী। ধর্মসাগরে আপনি নৌকায়ও ভ্রমণ করতেপারবেন।
মহাত্মা গান্ধী ও রবীঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত অভয় আশ্রম: নগরীর প্রাণকেন্দ্র লাকসাম রোডে আড়াইএকর জমির উপর অভয় আশ্রমের অবস্থান। এখানে মহাত্মা গান্ধী ছাড়াও কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,সীমান্ত গান্ধী, আবদুল গাফফার খান, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ বহু গুণীজনের আগমন ঘটেছিল। এই আশ্রমে থাকা দরিদ্র মানুষেরা খাদি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো।
কবি নজরুল স্মৃতি: কুমিল্লা নগরে দেখে যেতে পারেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত অনেক দর্শনীয় স্থান। কবি নজরুলের স্মৃতিধন্য কবিতীর্থ দৌলতপুর দেখতে যেতে পারেনমুরাদনগরে। এখানে নার্গিসের সাথে তার বিয়ে হয়।কুমিল্লা ও দৌলতপুরে অনেক কবিতা ও গান রচনা করেছেন কাজী নজরুল।
শাহ সুজা মসজিদ: কুমিল্লা মহানগরীর মোগলটুলিতে অবস্থিত শাহ সুজা মসজিদ। সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভাই শাহজাদা সুজার নামানুসারে এই মসজিদের নাম রাখা হয়েছে। এতে গম্বুজের সংখ্যা ৩টি, মিনার ৬টি,দৈর্ঘ্য ৫৮ ফুট, প্রস্থ ২৮ ফুট। দেয়ালের পুরুত্ব ৫-৮ইঞ্চি।
রাজেশপুর ইকো পার্ক: জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড়কানন এলাকা থেকে সড়কপথে রাজেশপুর ইকো পার্কে যাওয়া যায়। এর আয়তন ৫৮৭ দশমিক ৮৯ একর। এই ইকো পার্কে রয়েছে নানা প্রজাতিরগাছপালা, পশু-পাখি। পিকনিক স্পট হিসাবে এ পার্ক স্বচ্ছন্দে বেছে নিতে পারেন।
নূরজাহান ইকো পার্ক: কুমিল্লা মহানগরীর ইপিজেডের পূর্বপার্শ্বে নেউরা এলাকায় ৬৪০ শতক জমিতে নূরজাহান ইকো পার্ক স্থাপন করেন মো. আবদুর রাজ্জাক। সম্পূর্ণ গ্রামীণ আর বাংলার লোকজ ঐতিহ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে নূরজাহান ইকো পার্ক। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। পার্ক অভ্যন্তরে পুকুরে জলপরির নান্দনিক মূর্তি যে কাউকে আকৃষ্ট করে।এতে প্রবেশ ফি ২০ টাকা। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা৬টা পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারেন প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে।
জামবাড়ি: কুমিল্লা নগরীর প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তরে জামবাড়ির অবস্থান। এখানে এলে প্রকৃতির নিবিড় ছায়ায় হারিয়ে যেতে চাইবে আপনার মন। পাখ-পাখালীর কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত গোটা জামবাড়িএলাকা। কয়েক বর্গমাইল বিস্তৃত এই এলাকায় রয়েছেছোট-বড় কয়েকটি উঁচু-নিচু ঢিবি। নয়নাভিরাম জামবাড়ি এলাকা নাটক ও চলচ্চিত্রের শুটিং-এর জন্য নির্মাতাদের অন্যতম পছন্দের স্থান।
কোটবাড়ি বার্ড: ১৯৫৯ সালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন ড. আখতার হামিদ খান। বার্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে ফি লাগে না,তবে অনুমতি নিতে হবে। বার্ডের ভেতরের সুন্দর রাস্তা দিয়ে সামনে এগুলেই দুই পাহাড়ের মাঝখানেদেখতে পাবেন অনিন্দ্য সুন্দর বনকুটির। কুমিল্লায় আসলে বার্ডের এই সুন্দর এলাকাটি ঘুরে দেখতে ভুল করবেন না যেন।
নীলাচল পাহাড়: বার্ডের ভিতরে রয়েছে নীলাচল পাহাড়। নির্জন প্রকৃতির এক অকৃত্রিম ভাললাগারজায়গা হচ্ছে নীলাচল।
ভাষা সৈনিকের বাড়ি: নগরীর ধর্মসাগরের পশ্চিম পাড়ে আপনি ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মৃতিবহুল বাড়িটি দেখে যেতে ভুলবেন না। ১৯৪৮ সালে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তই সর্বপ্রথম আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গণপরিষদে আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালে পাক হানাদাররা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ত্রিশ আউলিয়ার মাজার: হযরহ শাহ্ জালালেরসফরসঙ্গী শাহ্ জামালসহ মোট ৩০ জন আউলিয়ার মাজার রয়েছে দেবিদ্বারের এলাহাবাদ গ্রামে। এখানেঅবস্থিত কবরগুলো প্রায় ৭শ’ বছরের পুরানো। এখানেত্রিশটি কবর আছে।
৭০০ বছরের প্রাচীন মসজিদ: দেশের সবচেয়ে প্রাচীনমসজিদটি বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামে অবস্থিত।প্রায় ৭শ’ বছরের পুরানো এ মসজিদ। মুসল্লিরা এখনওএ মসজিদে নামাজ আদায় করেন।
রাণীর বাংলো: কুমিল্লা-সিলেট রোডের কুমিল্লারবুড়িচংয়ের সাহেববাজারে রাণীর বাংলো অবস্থিত।সেখানে এখনও খনন কাজ চলছে। এখানকার দেয়ালটি উত্তর-দক্ষিণে ৫১০ ফুট লম্বা ও ৪০০ ফুট চওড়া। সেখানে স্বর্ণ ও পিতলের দ্রবাদি পাওয়া গেছে।
নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি: লাকসামের পশ্চিমগাঁওয়ে ডাকাতিয়া নদীর তীরে দেখে আসুন নারী জাগরণের পথিকৃত্ নবাব ফয়জুন্নেছার (১৮৩৪-১৯০৩) বাড়ি।তিনি ছিলেন হোমনাবাদের জমিদার। এখানেঐতিহ্যবাহী দশ গম্বুজ মসজিদও রয়েছে। ফেরার সময়দেশের অন্যতম লাকসাম রেলওয়ে জংশন দেখে যেতে পারেন।
নদীর নাম গোমতী: কুমিল্লাবাসীর সুখ-দুঃখের সাথীগোমতী নদী। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকরেছে। নগরীর পাশে বানাশুয়া বা চাঁন্দপুর ব্রিজে গিয়ে গোমতীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
কেটিসিসি পর্যটন কেন্দ্র: কুমিল্লা সদর উপজেলাপরিষদের পাশে অবস্থিত কেটিটিসির পর্যটন কেন্দ্র।এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে চমত্কার একটি পার্ক।এছাড়া নগরীর চর্থায় দেখে যেতে পারেন উপ-মহাদেশের সঙ্গীত সম্রাট শচীন দেব বর্মণের বাড়ি।বাগিচাগাঁওয়ে রয়েছে বৃটিশ খেদাও আন্দোলনের অন্যতম নেতা অতীন রায়ের বাড়ি। দেখতে পারেন কুমিল্লা পৌর পার্ক, চিড়িয়াখানা ও শতবর্ষী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।
বিখ্যাত খাবারের নাম :রসমালাই: কুমিল্লার রসমালাইয়ের
খ্যাতি বিশ্বজোড়া। মনোহরপুরেরমাতৃভান্ডার এবং শীতল ভান্ডারের রসমালাই,
পেড়া ভান্ডারের সুস্বাদু পেড়া আর কান্দিরপাড়েরজলযোগের স্পঞ্জ মিষ্টি আপনার
রসনা তৃপ্ত করবে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
কুমিল্লার খদ্দর: কুমিল্লায় এসে ঐতিহ্যবাহী খদ্দর কিনতে ভুলবেন না
কিন্তু। নিজের ও প্রিয়জনের জন্য কিনে নিতে পারেন কুমিল্লার খদ্দরের রকমারি
পোশাক আর কুমিল্লা সিল্ক।নদী সমূহ : মেঘনা, গোমতী ,
কোথায় থাকবেন, কোথায় খাবেন: কুমিল্লার বিখ্যাতস্থানসমূহ দেখার জন্য
সেখানে কমপক্ষে দুই-তিন দিন থাকতে হবে। থাকার জন্য রয়েছে কুমিল্লা বার্ড
(কোটবাড়ি), হোটেল নূরজাহান (পদুয়ার বাজার),ময়নামতি (শাসনগাছা), কিউ
প্যালেস (রেইসকোর্স),আশিক (নজরুল এভিনিউ), আল রফিক, নগরীর প্রাণকেন্দ্র
কান্দিরপাড়ে হোটেল সোনালী, হোটেলমেরাজ ও হোটেল আমানিয়ায় থাকতে পারেন।
খেতে পারেন নগরীর গ্রীন ক্যাসেল, সিলভার স্পোন,ক্যাপসিকাম, হোটেল ডায়না,
বাঙলা রেস্তোরাঁ, কস্তুরী,পিসি রেস্তোরাঁ, কিং-ফিশার, হোটেল রূপসী কিংবা
ইউরোকিংয়ে। এছাড়াও খেতে পারেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজারে
হোটেল নূরজাহান,চৌদ্দগ্রামের হোটেল হাইওয়ে-ইন, হোটেল তাজমহল,হোটেল
অফবিট, ডলি রিসোর্ট, ভিটা ওয়ার্ল্ড, টাইমস্কয়ার এবং আলেখারচরের হোটেল
মিয়ামীতে।
কিভাবে যাবেন: ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট বা দেশের যে কোন জেলা থেকে
কুমিল্লা যেতে আপনি রেলপথ বা সড়কপথের যে কোনটি বেছে নিতে পারেন। কমলাপুর
রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে যেতে পারেন অথবা ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসেও
যেতে পারেন।কোথায় থাকবেন : রাতযাপন করার মতো হোটেলের অভাব কুমিলায় নেই। উলেখযোগ্য কিছু হোটেল হচ্ছেÑ আবেদীন, নূরজাহান, আশিক, মেরাজ,ময়নামতি ইত্যাদি। এছাড়াও কুমিলায় রয়েছে বেশকিছু ভালোমানের রিসোর্ট।
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment