বান্দরবান ভ্রমন- কি ভাবে যাবেন, কি দেখবেন? কোথাই থাকবেন? কত খরচ?
বান্দরবান:
যান্ত্রিক জীবনের নানা কর্মব্যস্ততার ফাঁকে অবকাশ যাপনে কিছুটা প্রশান্তি
পেতে ঘুরে আসুন পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে। বান্দরবানের পাহাড়ে, কত রং আহা রে-
ছন্দটির সঙ্গে বান্দরবানের অপার সৌন্দর্যের কতটা মিল তা শুধু গিয়েই
উপলব্ধি করা সম্ভব।
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে
একটি বান্দরবান। যেখানে রয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। প্রকৃতি যেন
সাজিয়েছে আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে। তাই সবুজে মোড়ানো প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয,
অবারিত সবুজের সমারোহ এবং মেঘ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে হলেই ঘুরে আসুন পাহাড়ি
কন্যা বান্দরবানে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক অপার সমাহার
বান্দরবান। যেখানে প্রকৃতি নিজ ঐশ্বর্যকে ঢেলে দিতে কৃপণতা করেনি। পাহাড়ি এ
জেলায় রয়েছে অসংখ্য হ্রদ, ঝরনা, নদী। এখানকার জীববৈচিত্র্য এবং তাদের
ঐতিহ্যপূর্ণ বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি যেকোন সংস্কৃতি মনা ও ভ্রমণপিয়াসু মানুষকে
কাছে টানে সহজেই। তাই আজই ঘুরে আসুন পর্যটন স্পটগুলোতে …
মেঘলা
বান্দরবান শহর থেকে ৪ কি. মি. দূরে অবস্থিত সুন্দর মনোরম পরিবেশে এ পর্যটন অবস্থিত। সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেকটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এ স্পটটি। চারিদিকে ঘন সবুজ বৃক্ষরাজি আর প্রাকৃতিক লেকের স্বচ্ছ পানি যে কাউকেই প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয়।
বান্দরবান শহর থেকে ৪ কি. মি. দূরে অবস্থিত সুন্দর মনোরম পরিবেশে এ পর্যটন অবস্থিত। সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেকটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এ স্পটটি। চারিদিকে ঘন সবুজ বৃক্ষরাজি আর প্রাকৃতিক লেকের স্বচ্ছ পানি যে কাউকেই প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয়।
লেকে ভ্রমণ করতে রয়েছে ভাড়ায় চালিত
প্যাডেল বোট আর নৌকা। এছাড়া মিনি চিড়িয়াখানা, শিশু পার্ক, সাফারী পার্ক,
ঝুলন্ত ব্রিজ, পিকনিক স্পট এবং আকাশে ঝুলে আছে রোপওয়ে কার। যেখানে সবুজ
প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ের চুঁড়ায় চড়ে দেখা যাবে পাহাড়ি
বান্দরবানের নজরকাড়া দৃশ্য।
অবকাশ যাপনের জন্য রয়েছে জেলা প্রশাসনের
একটি সুন্দর রেস্ট হাউজ। রাত্রিযাপনের জন্য ৪টি কক্ষ রয়েছে। প্রতি কক্ষ
দৈনিক ২০০০/- টাকা ভাড়ায় পাওয়া যাবে।
নীলাচল
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬শ’ ফুট উঁচু এই জায়গায় বর্ষা, শরৎ কি হেমন্ত— তিন ঋতুতে ছোঁয়া যায় মেঘ।এছাড়া এখানে দাঁড়িয়ে দূর থেকে দেখা যায় বান্দরবান শহর আর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাঙ্গু নদী। বান্দরবান জেলা পরিষদের উদ্যোগে গড়ে তোলা মনোরম এই পর্যটন কেন্দ্রে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন যোগ করা হয়েছে একটি রিসোর্ট। এখন থেকে তাই এখানে বেড়ানোর পাশাপাশি পর্যটকরা রাত যাপনের সুযোগ পাবেন।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬শ’ ফুট উঁচু এই জায়গায় বর্ষা, শরৎ কি হেমন্ত— তিন ঋতুতে ছোঁয়া যায় মেঘ।এছাড়া এখানে দাঁড়িয়ে দূর থেকে দেখা যায় বান্দরবান শহর আর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাঙ্গু নদী। বান্দরবান জেলা পরিষদের উদ্যোগে গড়ে তোলা মনোরম এই পর্যটন কেন্দ্রে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন যোগ করা হয়েছে একটি রিসোর্ট। এখন থেকে তাই এখানে বেড়ানোর পাশাপাশি পর্যটকরা রাত যাপনের সুযোগ পাবেন।
বান্দরবান শহরের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র সম্ভবত নীলাচল।
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার
দূরে টাইগারপাড়া এলাকা। সেখানকার পাহাড়ের চূড়ায় বান্দরবান জেলা পরিষদ গড়ে
তোলে আকর্ষণীয় এই পর্যটন কেন্দ্র। নাম দেয় নীলাচল পর্যটক কমপ্লেক্স। এখানে
পাহাড়ের গায়ে গায়ে পর্যটকদের জন্য আছে নানান ধরনের ব্যবস্থা।
শহর ছেড়ে চট্টগ্রামের পথে প্রায় তিন
কিলোমিটার চলার পরেই হাতের বাঁ দিকে ছোট একটি সড়ক এঁকেবেঁকে চলে গেছে
নীলাচলে। এ পথে প্রায় তিন কিলোমিটার পাহাড় বেয়ে তাই পৌঁছুতে হয়। মাঝে পথের
দুই পাশে ছোট একটি পাড়ায় দেখা যাবে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস।
নীলাচলে
সম্প্রতি নতুন কয়েকটি জায়গা তৈরি করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। এখানকার টিকেট
ঘরের পাশে ‘ঝুলন্ত নীলা’ থেকে শুরু করে ক্রমশ নীচের দিকে আরও কয়েকটি
বিশ্রামাগার তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘নীহারিকা’ এবং
‘ভ্যালেন্টাইন’ পয়েন্ট।
পাহাড়ের ঢালে ঢালে সাজানো হয়েছে এ জায়গাগুলো। একটি থেকে আরেকটি একেবারেই আলাদা। একেক জায়গা থেকে সামনের পাহাড়ের দৃশ্যও একেক রকম।
তবে মূল নীলাচলের সৌন্দর্য অনেক বেশি। এখান থেকে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় আরও ভালোভাবে।
ঢাকা থেকে সপরিবার বেড়াতে আসা আকরাম কবীর
জানালেন, একদিন আগেই তিনি বেড়াতে গিয়েছিলেন নীলগিরি। আজ এলেন নীলাচলে। তার
কাছে এই জায়গা বেশি ভালো লেগেছে। তার মতে এখান থেকে বেশ ভালোভাবে চারপাশের
পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের একেবারে চূড়ায়
পর্যটকদের জন্য আছে বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। নীলাচলের মূল পাহাড়ের
শিখরের চারপাশেই মনোরম স্থাপনা শৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে এসব কেন্দ্র। একটি
থেকে আরেকটি একেবারেই আলাদা। আর একেক দিক থেকে পাহাড়ের দৃশ্যও একেক রকম।
বর্ষা এবং বর্ষা পরবর্তী সময়ে এখানে চলে মেঘের খেলা। কিছুক্ষণ পর পরই দূর
পাহাড় থেকে মেঘের ভেলা ভেসে আসে নীলাচলের চূড়ায়। চারপাশ ঢেকে ফেলে শীতল নরম
পরশে।
নীলাচলে বাড়তি আকর্ষণ হল এখানকার রিসোর্ট।
নাম নীলাচল স্কেপ রিসোর্ট। সাধারণ পর্যটকদের জন্য এ জায়গায় সূর্যাস্ত
পর্যন্ত অনুমতি আছে। তবে রিসোর্টের অতিথিদের জন্য সর্বক্ষণই খোলা এ জায়গা।
রিসোর্টের পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার
জাকির হোসেন জানালেন, নীলাচল স্কেপ রিসোর্টে তিনটি কটেজে ছয়টি কক্ষ আছে।
প্রতিটি কক্ষের ভাড়া ৩ হাজার টাকা। এছাড়া রিসোর্টের অতিথিদের জন্য ভালো
মানের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন কর্তৃপক্ষ।
বান্দরবান
শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট হল নীলাচল। শহর থেকে ৫ কি.মি. দূরে
সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এটি। যেখান থেকে উপভোগ করা
যায় মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব দৃশ্য। যে দিকে দুচোখ
যায় অবারিত সবুজ ও নীল আকাশের হাতছানি। যেন আকাশের নীল আচল ছড়িয়ে দিয়েছে
সবুজের জমিনে। মুহুর্তেই উঠে মন প্রাণ ভরে উঠে মুগ্ধতায়।
বিশেষ করে নীলাচলে সূর্যাস্তের দৃশ্য
ভ্রমণ পিয়াসুদের মনে আনে স্বর্গীয় অনুভূতি। কথিত আছে নীলাচলের নির্মল বাতাস
যেকোন পুরোনো রোগ নিরাময়ের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও নীলাচলে
রয়েছে নীল রঙের ৫টি কটেজ, যেগুলো ভাড়ায় পাওয়া যায়।
আলীর
সুড়ঙ্গ
পার্বত্য আলীকদম উপজেলার প্রাচীন নিদর্শন ও অন্যতম পুরাকীর্তি হল ‘আলীর
সুড়ঙ্গ’। রহস্যময় এ সুড়ঙ্গকে ঘিরে নানা কিংবদন্তি ও রূপকথা প্রচলিত আছে।
স্থানীয়দের নিকট এটি ‘আলীর সুরঙ’ বা ‘আলীর সুরম’ নামে সমধিক পরিচিত।
উপজেলার সরকারী পরিসংখ্যান অফিস আলীর সুড়ঙ্গকে ‘ঐতিহাসিক স্থান’ মর্যাদা
দিয়ে নথিভূক্ত করেছে। নানা উপকথা ও রূপকাহিনীর ভিড়ে ইতিহাসের সঠিক
তথ্য-উপাত্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও কিংবদন্তির এই ‘আলীর সুড়ঙ্গ’ অন্যতম
পুরাকীর্তি হিসাবেই এ উপজেলায় পরিগণিত।
আলীকদম উপজেলা সদর থেকে প্রায় তিন
কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ দিকের পাহাড়ের নাম ‘আলীর পাহাড়’। এই আলীর পাহাড়েই
রহস্যজনক ৪টি সুড়ঙ্গের অবস্থান। এসব সুড়ঙ্গ নিয়ে প্রচলিত আছে নানা রূপকথা ও
ভৌতিক কল্পকাহিনী। একই সাথে আছে সত্য কাহিনীও। এ সুড়ঙ্গ দেখতে প্রতিবছর
ভিড় দেশের সবপ্রান্ত থেকে শত শত পর্যটক ও কৌতুহলি লোকজন ছুটে আসেন। বর্তমান
তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে আলীর সুড়ঙ্গ অভিযানের নানা
কাহিনী ও চিত্র।
বর্তমানে
সুড়ঙ্গগুলো বাদুড় প্রজাতির প্রমোদ নীড়। সুড়ঙ্গে যাতায়াতের রাস্তাটি
সংকীর্ণ গিরি পথ। শুষ্ক মৌসুমে অসংখ্য দর্শনার্থীরা সুড়ঙ্গ দেখতে যান। এর
সংস্কার ও উন্নয়নে কোন মহলই অদ্যাবধি উদ্যোগি হয়নি। ফলে সুড়ঙ্গের গিরিপথ
দুর্গম ও বন্ধুর। ইতোপূর্বে অসংখ্য পর্যটকের পাশাপাশি সরকারী বেসরকারী
কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও সুড়ঙ্গ পরিদর্শন করেছেন।
চীনের পরিভ্রাজক হিওয়েন সাং তার এক
গবেষণায় বলেছেন যে, ‘নদী নাব্য জলাভূমির এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক নিদর্শনসমুহ
অতি অল্প সময়েই হারিয়ে যায়’। চীনের পরিভ্রাজকের বাণীটি আলীর সুড়ঙ্গের বেলায়
দৃষ্টান্তের ইঙ্গিত দেয়। প্রাচীন আমলের নিদর্শন আলীর সুড়ঙ্গও হয়ত
রক্ষণাবেক্ষণ ও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে এক সময় কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়ে শুধু
ইতিহাস হয়ে থাকবে- এই আশংকা এলাকাবাসীর।
শুভ্র নীলা
নীলাচল এর খানিকটা নিচে চমৎকার এ পর্যটন স্পটের অবস্থান। বান্দরবান শহর থেকে ৫ কি. মি. দূরে এ পর্যটন স্পটটিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন কটেজ ও রেস্টুরেন্ট। সমুদ্র পৃষ্ট হতে ২০০০ হাজার ফুট উচুতে এ স্পটটি থেকে বান্দরবানের অপার সৌন্দর্য্য দেখার জন্য প্রতিদিন ভীড় জমায় হাজারও পর্যটক। চান্দের গাড়ি, প্রাইভেট কার, বেবি টেক্সি ভাড়া করে এখানে যাওয়া যায়।
নীলাচল এর খানিকটা নিচে চমৎকার এ পর্যটন স্পটের অবস্থান। বান্দরবান শহর থেকে ৫ কি. মি. দূরে এ পর্যটন স্পটটিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন কটেজ ও রেস্টুরেন্ট। সমুদ্র পৃষ্ট হতে ২০০০ হাজার ফুট উচুতে এ স্পটটি থেকে বান্দরবানের অপার সৌন্দর্য্য দেখার জন্য প্রতিদিন ভীড় জমায় হাজারও পর্যটক। চান্দের গাড়ি, প্রাইভেট কার, বেবি টেক্সি ভাড়া করে এখানে যাওয়া যায়।
শৈল প্রপাত
বান্দরবান শহর হতে ৮ কি.মি. দূরে চিম্বুক বা নীলগিরি যাওয়ার পথে শৈল প্রপাত। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট হিমশীতল এ ঝর্নাটিতে অবিরাম বয়ে চলেছে স্বচ্ছ পানি। যার শীতল ছোয়ায় নিমেশেই দূর হবে ভ্রমণের ক্লান্তি। যেখানে লক্ষ্য করা যায় স্থানীয় বম আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনধারা। পাওয়া যাবে হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী দ্রব্যসামগ্রী।
বান্দরবান শহর হতে ৮ কি.মি. দূরে চিম্বুক বা নীলগিরি যাওয়ার পথে শৈল প্রপাত। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট হিমশীতল এ ঝর্নাটিতে অবিরাম বয়ে চলেছে স্বচ্ছ পানি। যার শীতল ছোয়ায় নিমেশেই দূর হবে ভ্রমণের ক্লান্তি। যেখানে লক্ষ্য করা যায় স্থানীয় বম আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনধারা। পাওয়া যাবে হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী দ্রব্যসামগ্রী।
বুদ্ধ ধাতু জাদি (স্বর্ণ মন্দির)
বুদ্ধ ধাতু জাদি সু-উচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের বালাঘাটা নামক এলাকায় অবস্থিত। বান্দরবান শহর হতে ৪ কি.মি. দূরে এ উপাসনালয়টি আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের এক অনবদ্য নিদর্শন। বর্তমানে বুদ্ধ ধাতু জাদি (স্বর্ণ মন্দির) দেশের একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই বুদ্ধ ধাতু জাদী বৌদ্ধ ধর্মাম্বলীদের একটি উল্লেখযোগ্য উপাসানালয়। এটির নির্মাণশৈলী মায়ানমার, চীন ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ টেম্পল গুলোর স্থাপত্য নকশায় তৈরি। যেখানে রয়েছে একটি মিউজিয়াম, যা থেকে বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীণ ইতিহাস জানা যায়। ফোন: ০৩৬১-৬২৬৯৫ (বিহারাধ্যক্ষ)।
বুদ্ধ ধাতু জাদি সু-উচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের বালাঘাটা নামক এলাকায় অবস্থিত। বান্দরবান শহর হতে ৪ কি.মি. দূরে এ উপাসনালয়টি আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের এক অনবদ্য নিদর্শন। বর্তমানে বুদ্ধ ধাতু জাদি (স্বর্ণ মন্দির) দেশের একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই বুদ্ধ ধাতু জাদী বৌদ্ধ ধর্মাম্বলীদের একটি উল্লেখযোগ্য উপাসানালয়। এটির নির্মাণশৈলী মায়ানমার, চীন ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ টেম্পল গুলোর স্থাপত্য নকশায় তৈরি। যেখানে রয়েছে একটি মিউজিয়াম, যা থেকে বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীণ ইতিহাস জানা যায়। ফোন: ০৩৬১-৬২৬৯৫ (বিহারাধ্যক্ষ)।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও যাদুঘর
পার্বত্য এলাকার আবহমান কালের আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট। বান্দরবান শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এটি। এখানে রয়েছে একটি নৃ-তাত্ত্বিক জাতি গোষ্ঠির জাদুঘর। যেখানে সংরক্ষণ করা হয় বিলুপ্ত প্রায় পাহাড়ি জাতি গোষ্ঠির জীবন ধারার বিভিন্ন ঐতিহ্য।
পার্বত্য এলাকার আবহমান কালের আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট। বান্দরবান শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এটি। এখানে রয়েছে একটি নৃ-তাত্ত্বিক জাতি গোষ্ঠির জাদুঘর। যেখানে সংরক্ষণ করা হয় বিলুপ্ত প্রায় পাহাড়ি জাতি গোষ্ঠির জীবন ধারার বিভিন্ন ঐতিহ্য।
নীলগিরি
সমুদ্র পৃষ্ট হতে ২২০০ ফুট উচ্চতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত এ নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রটি পাহাড় এবং আকাশের মিতালীর এক অপূর্ব নিদর্শন। যেখান থেকে খালি চোখে সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বান্দরবান শহর থেকে ৫২ কি.মি. দূরে পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান।
সমুদ্র পৃষ্ট হতে ২২০০ ফুট উচ্চতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত এ নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রটি পাহাড় এবং আকাশের মিতালীর এক অপূর্ব নিদর্শন। যেখান থেকে খালি চোখে সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বান্দরবান শহর থেকে ৫২ কি.মি. দূরে পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান।
এখানে পাহাড় আর মেঘের মিতালী চলে। তবে
যারা মেঘ ছুঁয়ে দেখতে চান তারা জুন-জুলাই অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে ভ্রমণে যেতে
ভুল করবেন না। কারণ মেঘ তখন নিজেই আপনাকে ছুঁয়ে যাবে। তবে যারা রাত্রিযাপন
করতে চান তারা অবশ্যই আগে থেকে কটেজ বুকিং এবং খাবার অর্ডার দিয়ে রাখবেন।
অন্যথায় না খেয়ে পাহাড়েই রাত পোহাতে হবে। নীলগিরির মেঘের সমুদ্রে রয়েছে
কিছু দৃষ্টি নন্দন কটেজ। যেগুলোর নামকরণ করা হয়েছে গিরি মারমেট, মেঘদূত,
নীলাঞ্জনা ইত্যাদি।
জীবন নগর পাহাড়
বান্দরবান-চিম্বুক-থানছি সড়কের আঁকা বাঁকা রাস্তার ৫২ কিলোমিটার পয়েন্টে জীবননগর অবস্থিত। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এ রাস্তাটি জীবন নগর পাহাড়ের উপর দিয়ে থানছি উপজেলা স্পর্শ করেছে। জীবনগর থেকে থানছি অভিমূখে ১০ কি.মি. দূরত্বের একটি পাহাড়ি ঢাল রয়েছে। যেখানে ভ্রমণ করা খুবই রোমাঞ্চকর। যেখান থেকে বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করা যায়। জীবন নগর থেকে মাত্র ৩ কি.মি. দূরে রয়েছে একটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা। সারা বছরই হিমশীতল পানি বয়ে যায় এ ঝর্ণায়। বর্ষায় মেঘের আড়ালে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ মেলে এ পাহাড়ের চূড়ায়।
বান্দরবান-চিম্বুক-থানছি সড়কের আঁকা বাঁকা রাস্তার ৫২ কিলোমিটার পয়েন্টে জীবননগর অবস্থিত। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এ রাস্তাটি জীবন নগর পাহাড়ের উপর দিয়ে থানছি উপজেলা স্পর্শ করেছে। জীবনগর থেকে থানছি অভিমূখে ১০ কি.মি. দূরত্বের একটি পাহাড়ি ঢাল রয়েছে। যেখানে ভ্রমণ করা খুবই রোমাঞ্চকর। যেখান থেকে বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করা যায়। জীবন নগর থেকে মাত্র ৩ কি.মি. দূরে রয়েছে একটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা। সারা বছরই হিমশীতল পানি বয়ে যায় এ ঝর্ণায়। বর্ষায় মেঘের আড়ালে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ মেলে এ পাহাড়ের চূড়ায়।
চিম্বুক
বাংলার দার্জিলিং নামে খ্যাত চিম্বুক পাহাড় বান্দরবনের সবচেয়ে পুরনো পর্যটন স্পট। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ৩৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এ পাহাড়ের পাশেই রয়েছে আদিবাসী ম্রো সম্প্রদায়ের বসবাস। বান্দরবান শহর হতে ২৬ কি.মি. দূরে মিলনছড়ি এবং শৈল প্রপাতের পরেই চিম্বুক। যেখানে পাহাড়ের চুড়ায় রেস্টুরেন্ট এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে। বান্দরবান জেলার সবকটি উপজেলার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষার জন্য এখানে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড একটি বেইজ স্টেশন ও টাওয়ার স্থাপন করেছে। পর্যটকদের দৃষ্টিতে যা খুবই আকর্ষণীয়। এছাড়া পাহাড়ের চুড়া থেকে চারদিকের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য্য প্রকৃতি প্রেমীদের টেনে আনে সহজেই।
বাংলার দার্জিলিং নামে খ্যাত চিম্বুক পাহাড় বান্দরবনের সবচেয়ে পুরনো পর্যটন স্পট। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ৩৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এ পাহাড়ের পাশেই রয়েছে আদিবাসী ম্রো সম্প্রদায়ের বসবাস। বান্দরবান শহর হতে ২৬ কি.মি. দূরে মিলনছড়ি এবং শৈল প্রপাতের পরেই চিম্বুক। যেখানে পাহাড়ের চুড়ায় রেস্টুরেন্ট এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে। বান্দরবান জেলার সবকটি উপজেলার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষার জন্য এখানে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড একটি বেইজ স্টেশন ও টাওয়ার স্থাপন করেছে। পর্যটকদের দৃষ্টিতে যা খুবই আকর্ষণীয়। এছাড়া পাহাড়ের চুড়া থেকে চারদিকের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য্য প্রকৃতি প্রেমীদের টেনে আনে সহজেই।
বগালেক
পাহাড়ের চূড়ায় প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট একটি জলাশয় বগালেক। যার পানির উচ্চতা শীত বর্ষায় কখনোই পরিবর্তন হয়না। এ লেক বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৫০০ ফুট উঁচুতে এ লেক সৃষ্টির পেছনে অনেক পুরোনো কল্প কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। পাহাড়িরা এটিকে দেবতার লেক বলেও মনে করে।
পাহাড়ের চূড়ায় প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট একটি জলাশয় বগালেক। যার পানির উচ্চতা শীত বর্ষায় কখনোই পরিবর্তন হয়না। এ লেক বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৫০০ ফুট উঁচুতে এ লেক সৃষ্টির পেছনে অনেক পুরোনো কল্প কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। পাহাড়িরা এটিকে দেবতার লেক বলেও মনে করে।
পাহাড়ের উপরে শান বাঁধানো বেষ্টনিতে প্রায়
১৫ একর জায়গা জুড়ে বগালেকের অবস্থান। তবে বর্ষা মৌসুমে বগালেক ভ্রমণ
কিছুটা কষ্টসাধ্য। তাই শীত মৌসুমেই সেখানে যাওয়ার সময় বেছে নেওয়া ভালো।
বগালেক ভ্রমণের সময় সঙ্গে শুকনো খাবার, পানি, টর্চলাইট ও জরুরি ওষুধ রাখা
জরুরি। পর্যটকদের রাতযাপনের সুবিধার্থে বগালেকে জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজ
এবং স্থানীয়ভাবে কিছু গেস্ট হাউজ রয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীরা পর্যটকদের
খাবার ও আবাসন সুবিধা দিয়ে থাকে।
এ ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি গড়িয়ে মিশে যায়
সরাসরি সাঙ্গু নদীতে। নদীপথে রুমা থেকে থানছি যেতে রুমা জলপ্রপাতের (রিজুক
ঝর্ণা) এ দৃশ্য চোখে পড়বে। রিজুক, রেমাক্রি এবং তেছরী প্রপাত-এ তিন অপরূপা
অরণ্য কন্যাকে দেখতে প্রতি বছর পাড়ি জমান হাজারও পর্যটক। রুমা থেকে ইঞ্জিন
চালিত নৌকায় সহজেই জলপ্রপাত এবং ঝর্ণায় যাওয়া যায়। যেতে সময় লাগে ২/৩
ঘণ্টা।
এ ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি গড়িয়ে মিশে যায়
সরাসরি সাঙ্গু নদীতে। নদীপথে রুমা থেকে থানছি যেতে রুমা জলপ্রপাতের (রিজুক
ঝর্ণা) এ দৃশ্য চোখে পড়বে। রিজুক, রেমাক্রি এবং তেছরী প্রপাত-এ তিন অপরূপা
অরণ্য কন্যাকে দেখতে প্রতি বছর পাড়ি জমান হাজারও পর্যটক। রুমা থেকে ইঞ্জিন
চালিত নৌকায় সহজেই জলপ্রপাত এবং ঝর্ণায় যাওয়া যায়। যেতে সময় লাগে ২/৩
ঘণ্টা।
জাদিপাই ঝর্ণা
কেওক্রাডংয়ের খুব কাছের জনবসতি পাসিং পাড়া। প্রায় ৩ হাজার ২০০ ফুট উচ্চতার কেওক্রাডং এর পরেই ৩০৬৫ ফুট উচ্চতায় এ পাসিং। দেশের অন্য কোন পাহাড়ে এত উঁচুতে কোন জনবসতি নেই। তাই এ পাড়াকে বিবেচনা করা হয় দেশের সবচেয়ে উঁচু গ্রাম হিসেবে। প্রায় সারা বছরই মেঘের ভেতরে থাকে এ পাড়ার লোকজন। পাসিং পাড়া থেকে নিচের দিকে নেমে গেলে জাদিপাই পাড়া। এখান থেকে ঘণ্টা খানেক নিচের দিকে নামলেই দেখা মিলবে জাদিপাই ঝর্ণার।
জাদিপাই ঝর্ণার কোথাও কোন কৃত্রিমতা স্পর্শ করেনি। ঝর্ণার শীতল জল
যেখানে পড়ছে সেখানে তৈরি হয়েছে জলপ্রপাত। পাহাড়ের সবুজের আড়ালে এমন
সৌন্দর্য্য থাকতে পারে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাই মুশকিল। যারা
কেওক্রাডং যাবেন তারা অবশ্যই একবার হলেও জাদিপাই দেখে আসবেন। নয়তো থেকে
যাবে ভ্রমণে অপূর্ণতা।কেওক্রাডংয়ের খুব কাছের জনবসতি পাসিং পাড়া। প্রায় ৩ হাজার ২০০ ফুট উচ্চতার কেওক্রাডং এর পরেই ৩০৬৫ ফুট উচ্চতায় এ পাসিং। দেশের অন্য কোন পাহাড়ে এত উঁচুতে কোন জনবসতি নেই। তাই এ পাড়াকে বিবেচনা করা হয় দেশের সবচেয়ে উঁচু গ্রাম হিসেবে। প্রায় সারা বছরই মেঘের ভেতরে থাকে এ পাড়ার লোকজন। পাসিং পাড়া থেকে নিচের দিকে নেমে গেলে জাদিপাই পাড়া। এখান থেকে ঘণ্টা খানেক নিচের দিকে নামলেই দেখা মিলবে জাদিপাই ঝর্ণার।
নাফাখুম
বাংলার নায়াগ্রা হিসেবে খ্যাত নাফাখুম। মারমা ভাষায় নাফা অর্থ মাছ আর খুম অর্থ জলপ্রপাত। বান্দরবানের থানছি উপজেলা হতে গাইড নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা রিজার্ভ করে যাওয়া যায় নাফাখুম। নাফাখুম যেতে হলে একরাত কাটাতে হবে সেখানে। যেতে হবে ছবির মতো সুন্দর সাঙ্গু নদী বেয়ে। এই নদীটিই একমাত্র বাংলাদেশে উৎপত্তি।
বাংলার নায়াগ্রা হিসেবে খ্যাত নাফাখুম। মারমা ভাষায় নাফা অর্থ মাছ আর খুম অর্থ জলপ্রপাত। বান্দরবানের থানছি উপজেলা হতে গাইড নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা রিজার্ভ করে যাওয়া যায় নাফাখুম। নাফাখুম যেতে হলে একরাত কাটাতে হবে সেখানে। যেতে হবে ছবির মতো সুন্দর সাঙ্গু নদী বেয়ে। এই নদীটিই একমাত্র বাংলাদেশে উৎপত্তি।
পানির তীব্র গতি, স্বচ্ছ জলের নদীতে
পাথরের তলদেশ, দু’পাশে দিগন্ত ছোঁয়া পাহাড় যেন প্রাচীর হয়ে আছে। দূর থেকে
দেখা যায় রাজাপাথর (বিশালাকৃতির পাথর)।
মনে হবে সত্যিই রাজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
পাথরের রাজ্যে। কখনও নদী-খাল কখনও ঝিরি কখনও বা পাহাড়-টিলা ডিঙ্গিয়ে থানছি
হতে প্রায় চার ঘণ্টা হেঁটে নাফাখুম জলপ্রপাতের দেখা পাওয়া যাবে। সেখানে
রেমাক্রিতে স্থানীয় আদিবাসীদের তৈরি কটেজ এ স্বল্প খরচে রাতযাপনের সুবিধা
রয়েছে। তবে অবশ্যই মশা ও জোঁক প্রতিরোধক ক্রিম সঙ্গে নিবেন। সঙ্গে রাখতে
হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার স্যালাইন ও শুকনো খাবার।
কেওক্রাডং, তাজিংডং বা বিজয় পর্বতশৃঙ্গ
এটি দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে এটির উচ্চতা ৪ হাজার ৫শত ফুট। যার পাশাপাশি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৩৩০ ফুট। দুটি পর্বত শৃঙ্গই রুমা উপজেলায় অবস্থিত। বান্দরবান সদর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৭০ কি.মি এবং রুমা হতে তাজিংডং (বিজয়) চূড়ার দূরত্ব প্রায় ২৫ কি.মি.।
এটি দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে এটির উচ্চতা ৪ হাজার ৫শত ফুট। যার পাশাপাশি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৩৩০ ফুট। দুটি পর্বত শৃঙ্গই রুমা উপজেলায় অবস্থিত। বান্দরবান সদর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৭০ কি.মি এবং রুমা হতে তাজিংডং (বিজয়) চূড়ার দূরত্ব প্রায় ২৫ কি.মি.।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ
কেওক্রাডং পাহাড়ের দূরত্ব রুমা উপজেলা হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার। বগালেক হতে
১৫ কি. মি. পায়ে হেটেও কেওক্রাডং এ যাওয়া যায়। তবে শুষ্ক মৌসুমে জীপ এ করে
কেওক্রাডং চূড়ার কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব। সেখানে রয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদের
তত্ত্বাবধানে রেস্ট হাউজ এবং স্থানীয়দের কটেজ এ রাত্রিযাপনের সুবিধা।
বান্দরবান যাওয়া খুবই সহজ
ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে ২/৩টি রুট ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান।
ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে ২/৩টি রুট ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান।
ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান যাওয়ার
ক্ষেত্রে আপনি বেছে নিতে পারেন ডলফিন, এস.আলম, সৌদিয়া, বিআরটিসি, সেন্ট
মার্টিন ব্লু, ইউনিক, শ্যামলী পরিবহনের যে কোনটি। এসব পরিবহনের ভাড়া
জনপ্রতি ৮৫০-৯০০ (এসি), ৬০০-৬৫০ (নন এসি)। এছাড়া ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে
বাসে করে বান্দরবান আসতে চাইলে জনপ্রতি ভাড়া ৪৮০ (নন এসি) এবং ৮৫০-১২০০
(এসি) টাকা।
এরপর চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের দূরত্ব
মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার। বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে বিআরটিসি, পূরবী,
পূর্বাণী পরিবহনে সরাসরি এসি/নন এসি বাসে চড়ে বান্দরবান পৌঁছতে পারেন।
প্রতি ৩০ মিনিট পরপর বাসগুলো বান্দরবানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ভাড়া জনপ্রতি
১১০-১৩০ টার মধ্যে।
কোথায় থাকবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক অপার সমাহার
বান্দরবান। যেখানে প্রকৃতি নিজ ঐশ্বর্যকে ঢেলে দিতে কৃপণতা করেনি। পাহাড়ি এ
জেলায় রয়েছে অসংখ্য হ্রদ, ঝরনা, নদী। এখানকার জীববৈচিত্র্য এবং তাদের
ঐতিহ্যপূর্ণ বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি যেকোন সংস্কৃতি মনা ও ভ্রমণপিয়াসু মানুষকে
কাছে টানে সহজেই। পর্যটন স্পটগুলোতে আসলে কোথায় থাকবেন বিস্তারিত জেনে নিন……..
হোটেল হিল ভিউ:
বান্দরবানে প্রবেশ করতেই দেখতে পাবেন শহরের সবচেয়ে বড় আবাসিক হোটেল হিল
ভিউ। শহরের কাছেই এ হোটেলের ভাড়া রুমপ্রতি ১০০০-৪০০০ টাকা। ফোন:
০৩৬১-৬৩০৪৫।
পর্যটন মোটেল: পর্যটন
স্পট মেঘলার পাশেই পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত পর্যটন মোটেল। যার
ভাড়া রুম প্রতি ৮৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। ফোন: ০৩৬১-৬২৭৪১ এবং
০৩৬১-৬২৭৪২।
হলি ডে ইন: চারিদিকে
পাহাড় আর প্রাকৃতিক লেকের কাছাকাছি থাকতে চাইলে যেতে পারেন মেঘলার কাছেই
অবস্থিত হলি ডে ইন এ। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ফোন:
০৩৬১-৬২৮৯৬
ভেনাস রিসোর্ট:
বান্দরবানের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত ভেনাস রিসোর্ট। যেখানে রয়েছে পাহাড়ের
চূড়ায় ৫টি আধুনিক কটেজ। এছাড়াও রয়েছে ভেনাস চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, যেখানে
দেশি-বিদেশি মজাদার সব রকমের খাবার পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে
শৈল্পিক ছোঁয়া এবং একাধিক ছোটবড় ভাস্কর্যে সাজানো হয়েছে ভেনাস রিসোর্ট।
ফোন- ০৩৬১-৬৩৪০০, ০১৫৫২৮০৮০৬০।
হোটেল প্লাজা: এটি
বান্দরবানের অন্যতম আধুনিক আবাসিক হোটেল। বান্দরবান শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে
অবস্থিত এ হোটেলে রাত্রিযাপন করতে পারবেন ১০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে। ফোন:
০৩৬১-৬৩২৫২।
হিলসাইড রিসোর্ট:
চিম্বুক যাওয়ার পথে মিলনছড়ি এলাকায় পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা এ রিসোর্ট
বান্দরবানের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট হিসেবে পরিচিত। যেখানে বসে পাহাড়,
নদী আর মেঘের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন সহজেই। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৪০০০
টাকার মধ্যেই। ফোন: ০১৫৫৬৫৩৯০২২, ০১৭৩০০৪৫০৮৩।
সাকুরা হিল রিসোর্ট:
চিম্বুক রোডের মিলনছড়ি এলাকার কাছাকাছি এ রিসোর্ট অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন।
প্রাকৃতিক ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে থাকতে চাইলে এ রিসোর্ট এর কোন বিকল্প নেই।
যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত।
হোটেল ফোর স্টার: এটি বান্দরবান বাজারে অবস্থিত। রুম প্রতি ভাড়া ৩০০-১২০০ টাকা। ফোন:-০৩৬১-৬৩৫৬৬, ০১৮১৩২৭৮৭৩১,০১৫৫৩৪২১০৮৯।
হোটেল থ্রী স্টার : এটি
বান্দরবান বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত। এটি ৮/১০ জন থাকার মতো ৪ বেডের এমন
একটি ফ্ল্যাট। প্রতি নন এসি ফ্ল্যাট-২৫০০ টাকা, এসি-৩০০০ টাকা। ফোন:-
০১৫৫৩৪২১০৮৯।
পর্যটকদের জন্য জরুরী এবং প্রয়োজনীয় কিছু
ফোন নাম্বার: ওসি, বান্দরবান সদর থানা ০১৭৩০-৩৩৬১৬৬, ০৩৬১-৬২২৩৩, ওসি, রুমা
থানা ০১৮২০-৪২৫৬৪৩, ওসি, থানছি থানা ০১৫৫৭-২৫৬৯৫৮, ওসি, লামা থানা
০১৮২০-৪২৫৬৪৪, বান্দরবান সদর হাসপাতাল ০৩৬১-৬২৫৪৪, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল
ডিফেন্স ০৩৬১-৬২২২২, বান্দরবান প্রেসক্লাব -০৩৬১-৬২৫৪৯।
বিশেষ সতর্কতা
সবশেষে কিছু বিষয় ভ্রমণকারীদের অবশ্যই মেনে চলা জরুরি। বান্দরবানের সবুজে ঘেরা পাহাড়, নদী, হ্রদ, ঝর্ণার নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের টানে সেখানে সারা বছর, বিশেষ করে বর্ষা ও শীত মৌসুমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। পাহাড়ি এলাকা, ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা, নদী, ঝর্ণা। সেখানে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে সামান্য অবহেলায় পুরো ভ্রমণের আনন্দ মাটিতে মিশে না যায়। তাই বান্দরবানে আসার আগেই কিছু জরুরি মোবাইল/ফোন নাম্বার সংরক্ষণ করুন এবং দূর্গম পর্যটন স্পটগুলোতে অবশ্যই গাইড সঙ্গে নিতে ভুল করবেন না।
সবশেষে কিছু বিষয় ভ্রমণকারীদের অবশ্যই মেনে চলা জরুরি। বান্দরবানের সবুজে ঘেরা পাহাড়, নদী, হ্রদ, ঝর্ণার নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের টানে সেখানে সারা বছর, বিশেষ করে বর্ষা ও শীত মৌসুমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। পাহাড়ি এলাকা, ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা, নদী, ঝর্ণা। সেখানে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে সামান্য অবহেলায় পুরো ভ্রমণের আনন্দ মাটিতে মিশে না যায়। তাই বান্দরবানে আসার আগেই কিছু জরুরি মোবাইল/ফোন নাম্বার সংরক্ষণ করুন এবং দূর্গম পর্যটন স্পটগুলোতে অবশ্যই গাইড সঙ্গে নিতে ভুল করবেন না।
সুত্রঃ ওয়েব সাইট
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment