গোপালগঞ্জ দর্শনীয় স্থান- Gopalgong, bangladesh Tour

গোপালগঞ্জ দর্শনীয় স্থান
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ
শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদর। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে সমাহিতও করা হয় এখানেই। আধুনিক স্থাপত্যরীতির বর্গাকার
একটি সৌধ গড়ে তোলা হয়েছে তাঁর সমাধির ওপর।
শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজ স্ট্যান্ড থেকে বাসে টুঙ্গিপাড়া যেতে ভাড়া লাগে ২৫ টাকা।
উলপুরের রায়চৌধুরীবাড়ি
শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে উলপুর গ্রাম। সে গ্রামের প্রীতীশচন্দ্র বসু রায়চৌধুরী ছিলেন রাজ কর্মচারী। চৌধুরীরা গ্রামটি রাজার কাছ থেকে তালুক পান। তাঁদের জমিদারি স্থায়ী ছিল ১৫৮ বছর। এ গাঁয়ে তাঁরা প্রায় ২০০ একর জমির ওপর বাগানবাড়ি,কৈলাশধাম, নাটমহল, আনন্দধাম, মেজবাবুর বাড়ি,জলবাড়ি, শ্মশানবাড়ি, ছোট বাবুর বাড়িসহ ৪৭টি স্থাপনা গড়ে তোলেন। শহর থেকে চৌধুরীবাড়ি যেতে অটোরিকশায় ভাড়া লাগে ২০ টাকা।
কোর্ট মসজিদ
শহরের প্রধান মসজিদ।
১৯৪৯ সালে নির্মিত হয়। সদর দরজাটি বেশ বড়। চারদিকে ছোট চারটি আর মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ। পাশেই সুউচ্চ একটি মিনার। মসজিদের পূর্ব ও উত্তর পাশে দুটি বহুতল ছাত্রাবাস। শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশায় মসজিদে যেতে ভাড়া লাগে ১০ টাকা।
বিলরুট ক্যানেল: মধুমতির মানিকদাহ বন্দরের নিকট থেকে উত্তর এবং উত্তর পূর্ব দিকে উরফি,ভেড়ারহাট, উলপুর, বৌলতলী, সাতপাড়, টেকেরহাট হয়ে আড়িয়াল খাঁর শাখা নদী উতরাইল বন্দরের কাছাকাছি পর্যন্ত ৬০/৬৫ কিলোমিটার র্দীঘ ক্যানেল খনন করা হয়
৭১ এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ) :মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সংলগ্ন ৭১ এর বধ্যভূমি (জয়বাংলা পুকর)
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
কোটাল দুর্গ, বহলতলী মসজিদ, ধর্মরায়ের বাড়ি,
শ্রীহরি মন্দির ইত্যাদি
নদী সমূহ গড়াই, মধুমতী, কালীগঙ্গা, হুন্দা, ঘাঘর,পুরাতন কুমার ইত্যাদি
কিভাবে যাবেন :ঢাকার গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী ও গাবতলী থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার বাস আছে

0 মন্তব্য(গুলি):