পলাশ বনে রঙ ছড়িয়ে ফাগুনধারা

পলাশ বনে রঙ ছড়িয়ে ফাগুনধারা

শীত কুয়াশার ঘোমটা খুলে প্রকৃতিতে হাজারো ফুলে রঙ ধরিয়ে আসছে ফাগুন। আমাদের সাধারণ মানুষদের জীবনে এ ফাগুন যেন নতুন ধারার এক উৎসব। শহুরে জীবনটা প্রকৃতির খুব কাছাকাছি না থাকায় প্রকৃতির রঙ ধরার গল্পটা হয়তো আমাদেরকে দোলা দেয় না। কিন্তু ইট-কাঠ-পাথরের এ নগর জীবনেও একটি দিনের জন্য আমরা রাঙিয়ে নিই নিজেকে ফাগুনের রঙে। ফাগুনের এই আগমনকে নিয়ে আমাদের এ সপ্তাহের মূল ফিচার। লিখেছেন এমএইচ মিশু
মানুষ প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতির মাঝেই সে বেড়ে ওঠে। যে প্রকৃতির মাঝে যে বেড়ে ওঠে, সেই প্রকৃতি সে দেখবে না। তা তো হতেই পারে না। নইলে সে বড় স্বার্থপর হয়ে যাবে মানুষ। তাই কবিতায় ও সুরে প্রকৃতির প্রকাশ করে মানুষ। প্রকৃতি যেন বিভিন্ন অনুভূতির দ্বার উন্মোচন করে দেয়। প্রকৃতি দ্বারা সব সময়ই চিত্ত আলোড়িত হয়। সত্যিকার অর্থেই আমরা বাঙালিরা সৌভাগ্যের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং অন্যান্য কবি-সাহিত্যিকরা প্রকৃতির পালা বদলে যুগ যুগ ধরে যেসব গান কবিতা লিখে গেছেন, তারই ভেতর দিয়ে আমরা যেন আমাদের ঐতিহ্যকে খুঁজে পাই। কেউ কেউ সেটাকে লালন করি। বসন্তকে বরণ করে নিতে এই যে উৎসব পয়লা ফাল্গুন আমাদের উৎসাহিত করে। কেননা এর মধ্যদিয়েই আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে দিয়ে যাই তার শেকড়ের সন্ধানে। আজকাল প্রবাসেও এই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। এটা খুব ভালো দিক। কারণ নতুন প্রজন্মের যারা দেশ থেকে, নিজস্ব সংস্কৃতি থেকে দূরে আছে, ওরা জানতে পারছে নিজস্ব সংস্কৃতির কথা।
প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে মনের পরিবর্তনের বিষয়গুলো খুব ছোট মনে হলেও এর বিশাল প্রভাব আছে। কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে এই ছোট খাটো উপলব্ধিগুলোই মনে এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা। প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে পাওয়া যায় নির্মল আনন্দ। আর এ আনন্দ যদি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যায়, তবে জীবনের সৌন্দর্য সবার চোখে ধরা দেবে। ঋতুরাজ বসন্তের অনুভূতি সম্পর্কে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘বসন্ত আমার প্রিয় ঋতু। বসন্তের প্রথম দিনে তরুণ-তরুণীরাসহ সব বয়সের মানুষ সুন্দর করে সাজে, যা দেখতে ভাল লাগে। বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানে কবিতা পড়ি, গায়ে থাকে পাঞ্জাবী ও চাদর।’
বসন্তকে বরণ করতে দীর্ঘদিন থেকে আমাদের দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোতে চলে আসছে নানা আয়োজন। তারা বসন্তের উপযোগি বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করছেন। ‘তহু’স ক্রিয়েশন-এর তৌহিদা তহু বলেন, ‘অন্যান্য হাউসগুলোর মতো আমরাও বসন্তে বিভিন্ন ডিজাইন করছি। এসব পোশাকে থাকছে ঐতিহ্যবাহী কালারের সাথে লালের কম্বিনেশন। হলুদ-লাল শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি ছাড়াও থাকছে পোশাকের মানানসই মাটির গয়না ও বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ।’ নিত্য উপহার-এর চিফ ডিজাইনার বাহার রহমান বলেন, ‘বসন্ত উৎসবে বসন্তের ডিজাইনের বিশেষ পোশাক এখন একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতি, উৎসব ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা পোশাকের ডিজাইন করি। এজন্য বসন্তের বিভিন্ন রঙ প্রাধান্য পায়।’ প্রতিবছরই জাতীয় বসন্ত উৎসব পরিষদ বসন্ত উপলক্ষে আয়োজন করে নানান অনুষ্ঠান। বাঙালির জন্য বসন্ত বরণ একটি বিশেষ উৎসব। শেকড়ের টানে ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব বাঙালি মিলিত হয়ে বসন্ত বরণ উৎসব পালন করে। বসন্তে বাঙালিকে হাত হাত রেখে নিজস্ব স্বকীয়তায় উদ্ভাসিত হয়ে দেশী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার অঙ্গীকার করতে হবে। আর বসন্ত উৎসবকে ছাড়িয়ে দিতে হবে সারা দেশে, প্রতিটি মানুষের অন্তরে।
মনের ভেতর বসে থাকে যে কবি স্বত্ত্বা তার কাছে কোনো গানের স্বরলিপি নেই। তার কাছে নেই কোনো সংবিধান। তার কাছে নেই কোনো জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা। শুধুমাত্র মাতাল প্রকৃতির ইশারা তাকে উত্তাল করে তোলে। আর বাঙালির ভেতর নাকি এই কবি স্বত্ত্বা আদি অনাদিকাল থেকে বসতি গেড়েছে ভালভাবে। সভ্যতার সেই সূত্র ধরেই পাতা ঝড়ার দিন এলে বাঙালি ব্যাকুল হয়ে উঠে কবে আসবে সবুজের জনারণ্য। সবুজ হবার আগে পাতাগুলোর বরণে যে হলুদিয়া রঙ আর যে বাসন্তি ঢঙ তাতে যেন নেচে উঠে প্রতিটি বাঙালি মন। তাই বাঙালি স্বত্ত্বায় বাসন্তি দোলা ফিরে আসে প্রতি বছর রিক্ততাকে বিদায় দিয়ে কুয়াশার চাদর ছিঁড়ে আপন আদরের মহিমায়।
মাদল বাজিয়ে সবুজের সমারোহ নিয়ে আসছে সবার প্রিয় ঋতু বসন্ত, বাতাসে তারই গন্ধ। ফুলে ফুলে সাজবে ধরা। দূর থেকে ভেসে আসবে ফুলের সুঘ্রান আর কোকিলের কুহু কুহু সমধুর ডাক। বসন্ত অনেকেই প্রেমিক ঋতু বলেন। কারণ ফাল্গুনের বাতাস গায়ে লাগতেই মনে দোলা জাগায়। বসন্তকে ঘিরে বাঙালির সংস্কৃতি-উৎসব পুরনো প্রথা। এ উৎসব শুধু নাচ-গানের অনুষ্ঠান নয়; বাঙালি সংস্কৃতিকে চেনা-জানা ও নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার উৎসব। তাই বসন্তে বাঙালি জাগে নতুন প্রাণে, নতুন সুরে।
ঋতু পরিক্রমায় ফাগুন এমন একটা সময় যখন প্রকৃতি সেজে উঠে ফুলে ফুলে। যার বাজেট যেমনই থাকুন না কেন পহেলা ফাল্গুনে নতুন পোশাক পরে নিজেকে সাজিয়ে নেয়ার ইচ্ছাটা জাগে সবার মাঝে। ফাগুনের উৎসবগুলোর মধ্যে চারুকলার বকুল তলায় ফাল্গুনকে বরণ করে নেয়ার যে রীতি তাই মূলত শহুরে জীবনকে সবচেয়ে প্রভাবিত করে। এবছর বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। আর এর পরের দিনটি তো বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা দিবস। তাই পহেলা ফাগুনের তরুণ-তরুণীদের মাঝে লক্ষ্য করা যায় ভিন্ন এক আয়োজন।
পোশাকে ফাগুন
শীত শেষ না হলেও সকাল-দুপুরের সময়টাতে কিন্তু রোদের প্রকোপটা একটু বেশি থাকে। আর তাই জমকালো সাজ কিংবা মোটা কাপড়ের তৈরি পোশাক কোনোটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন না। চেষ্টা করুন নিজেকে হালকা পোশাকে ফাগুনের জন্য সাজিয়ে তুলতে। মেয়েদের জন্য সেক্ষেত্রে শাড়ি, কামিজ, জিন্স-ফতুয়া হতে পারে চমৎকার আয়োজন। শাড়ির সাথে কন্ট্রাস্ট করে ব্লাউজ ব্যবহার করতে পারে। তবে এই দিনটিতে কালো রঙ ব্যবহার না করাই ভাল। কামিজে এই সময়ের ট্রেন্ড উঠে আসতে পারে, সাথে ফাল্গুনের রঙ লাগলেই হয়ে গেল ফাল্গুনের ফ্যাশন। পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি সেরা। কিন্তু অনেকেই যারা অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে উৎসবে অংশ নেবেন কিংবা উৎসব শেষে বাড়ি ফিরবেন। এমন ব্যক্তিদের জন্য বাজারে ফাগুনের রঙে বেশ কিছু শার্ট পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো হতে পারে আদর্শ।
ফুলের সাজ
ফাগুন মানেই গাঁদা ফুলের সাজ। এর কারণ প্রথম গাঁদা ফুলের রঙটা বাসন্তি। আর দ্বিতীয়ত এ সময় গাঁদা ফুল সবচেয়ে সহজলভ্য। যারা বসন্তের সকালটাকে উৎসবমুখর করতে চান তাদের জন্য বলছি, ফুলটা পারলে আগের দিন রাতের কিনে রাখুন। নইলে পহেলা ফাল্গুন ভোর বেলায় একটু বেশিই খরচ হয়ে যাবে খোঁপাটাকে গাঁদা ফুলের মালায় সাজাতে। খুব বেশি ফুল দিয়ে নিজেকে ভারি করে তোলার দরকার নেই। খোঁপা কিংবা হাতে গাঁদা ফুলের কিঞ্চিৎ ছোঁয়ায় বলে দেবে আজ পহেলা ফাল্গুন।
যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি ফাগুন উৎসবে থাকতে চান, তারা সঙ্গে শীত কাপড় নিতে ভুলবেন না। সন্ধ্যে নাগাদ কিন্তু প্রকৃতি কিছুটা শীতল হয়ে উঠে। ফ্যাশন হাউজগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে ফাগুনের উপযোগী শাল। একটু খরচ হলেও একটু শাল দুই-তিন বছর চাইলেই ব্যবহার করতে পারবেন। শেষটায় কড়চা পাঠকদের জন্য বলছি, বসন্ত যখন অলিন্দে করছে খেলা তখন পা তুলে নাও বেয়ে যাও অচিনেয়ে।
মন্তব্য
বিপ্লব সাহা
ফ্যাশন ডিজাইনার ও স্বত্ত্বাধিকারী
রঙ
বিগত বছরগুলোতে বসন্তের রঙ হিসেবে সোনালী হলুদ রঙ প্রাধান্য পেলেও এ বছর কিন্তু রঙের দিক থেকে মানুষ নানান ধরনের উৎসবের রঙটি ব্যবহার করবে। সেক্ষেত্রে হলুদের বিভিন্ন শেড হবে প্রধান অনুষঙ্গ। এছাড়া কমলা আর লালের দিকের রঙগুলো প্রধান্য পাবে। ফাগুন মানেই কিন্তু প্রকৃতিতে ছড়িয়ে যায় নানান ফুলের বাহার। সব পোশাকই যে লাল কিংবা হলদে হবে এমনটা কিন্তু নয়। গায়ের রঙের ভেদাভেদের কারণে অনেকেই হয়তো এমন রঙগুলো ব্যবহারে অনাগ্রহী হয়ে থাকে। তাদের কথা চিন্তা করে কিছু অফহোয়াইট ধরনের পোশাকও এসেছে বাজারে। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, টি-শাট, ফতুয়া সবই তৈরি করেছে রঙ। দাম আর প্রয়োজন অনুপাতে ফ্যাশন সচেতন বাঙালিরা যেন এ দিনটিকে উদযাপন করতে পারেন তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করেছি পোশাকগুলো। এক্ষেত্রে দামটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই দামের কথা চিন্তা করে পোশাকের পাশাপাশি আরো কিছু অনুষঙ্গ যোগ করার চেষ্টা করেছি এবারের লাইআপে। যার মধ্যে আছে স্কার্ফ, ওড়না, রুমাল আর ফাগুনের জন্য বিশেষ শাল। কেউ যদি মনে করেন, পুরো পোশাকে নয়, একচিলতে শাল জড়িয়ে কিংবা মাথায় একটা স্কার্ফ বেঁধে যেকেউ পারবেন ফাগুন উৎসবে। সবাই, ছোট-বড়, গরীব-ধনী সব স্তরের মানুষের কাছেই ফাগুন নিয়ে আসুক রঙের বাহার, এমন চিন্তা ভাবনা থেকেই রঙ সাজিয়েছে তার এবারের ফাগুনের পালা।
খালিদ মাহমুদ খান
পরিচালক
ক্রে-ক্যাফট
বাসন্তি, কমলা, লাল এ সব রঙই তো ফাগুনের পরিচয় বহনকারী। আর তাই ফাগুনের পোশাকের এসব রঙেরই আনাগোনা দেখা যাবে। তবে যেহেতু ফাগুনের উৎসবগুলো হয়ে থাকে আউটডোর তাই পোশাকের কাপড়টাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত। ক্রে-ক্যাফট এবার তার বসন্তের পোশাকগুলোতে ব্যবহার করেছে সুতি। এছাড়া কিছু পোশাকে এন্ডিকটনও ব্যবহার করা হয়েছে। শীত এখনো আমাদেরকে ছেড়ে যায়নি বটে, তবে সকাল থেকে বিকেল অবদি কিন্তু সূর্যের প্রকোপটাই বেশি পরিলক্ষিত। আর তাই মোটা কাপড়ের আটসাট পোশাকের যেন ঘেমে একাকার হতে না হয় সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে ক্রে-ক্যাফট-এর সব পোশাকগুলো। এছাড়া পোশাকটাকে যেমন ভাল লাগতে হবে তেমনি যিনি পরবেন তাকেও ভাল দেখাতে হবে। এমনটা চিন্তা-ভাবনা করেই যেকোনো পোশাক নির্বাচন করা উচিত। রঙ, প্যাটার্ন, নকশা সবকিছুতে ভাললাগা ছড়িয়ে থাকবে তবেই না হবে উৎসবের যোগ্য পোশাক। পোশাকে ব্লক, বাটিক আর হাতের কাজের প্রাধান্য লক্ষ্যনীয়। পহেলা ফাল্গুনে একচিলতে পোশাক যেন কাউকে উৎসবের শামিল করে তুলতে পারে তা মাথায় রেখেই সবগুলো পোশাক ডিজাইন করা হয়েছে। শাড়ি, কামিজ, পাঞ্জাবি আর শিশুদের পোশাক নিয়ে সাজানো এবারের ক্রে-ক্যাফট-এর ফাগুন আয়োজন। যারা ফাগুন উৎসবে সন্ধ্যাটা পার করতে চান তারাও পাবেন শীত থেকে বাঁচার উপযোগী কিছু পোশাক।
শাহীন আহমেদ
প্রধান নির্বাহী
অঞ্জন’স
নগরজীবনে উৎসবের সংখ্যা খুব কম থাকায় পহেলা ফাল্গুনের মতো দিনগুলোতে আমরা এখন ব্যস্ত হয়ে উঠি তা উদ্‌যাপনে। আর ফাগুন উদযাপনের প্রভাব এসে পড়ে ফ্যাশনে তথা পোশাকে। এ বছর ঘুরে ফিরে বসন্তের হলুদেটে ভাবটাই পোশাকে বেশি দেখা যাবে। বসন্তের রঙগুলো ঘুরে ফিরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে পহেলা ফাল্গুনের পোশাকগুলোতে। যেসব পোশাক পরতে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে তার মধ্যে থাকছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি আর ফতুয়া। তবে পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগতভাবেই আমরা এমন কিছু মাধ্যম ব্যবহার করেছি যেগুলো পোশাকের দাম নির্ধারণকে প্রভাবিত করে। একটি দিনের জন্য অনেকেই ফাগুনের পোশাক কিনে থাকেন। আর তাই আমরা চেষ্টা করেছি এমন কিছু পোশাক তৈরি করতে যেগুলো তুলনামূলকভাবে দামে কম। কিন্তু তাই বলে পোশাকগুলো এমনও নয় যা পহেলা ফাল্গুন বাদে বছরের অন্য দিনগুলোতে পরা যাবে না। উৎসবের সাথে পোশাকটা ওতোপ্রতভাবে জড়িত বলে আমি মনে করি। একটা সময় যখন আমরা শুধু ঈদের দিনটাতেই নতুন পোশাকের কথা ভাবতাম। কিন্তু এখন আমাদের দেশজ ঐতিহ্যগত বিভিন্ন দিবসেও দেশী পোশাকে নিজেকে রাঙিয়ে নেয়া একটা অভ্যাস গড়ে উঠেছে। খুব কম দামে একটা দেশী পোশাক পরে কেউ যেন ফাল্গুনের প্রথম দিনটাকে নিজেকে প্রকৃতির রঙের সাথে একাত্ম করতে পারে সেটাই ছিল এবারের পহেলা ফাল্গুনে অঞ্জন’স-এর মূল্য লক্ষ্য।

0 মন্তব্য(গুলি):