বরিশালের দর্শনীয় স্থান- BARISAL, BANGLADESH TOUR

বরিশালের দর্শনীয় স্থান
গুঠিয়ার মসজিদ
বরিশাল-বানারীপাড়া সড়ক ধরে উজিরপুর উপজেলা। গুঠিয়ার চাংগুরিয়া গ্রামটিও সড়কের পাশে। এই গ্রামেই মসজিদটি। ২০০৩ সালে প্রায় ১৪ একর জমির ওপর বায়তুল আমান জামে মসজিদ ঈদগাহ কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শুরু হয়। লোকজন গুঠিয়ার মসজিদ নামেই বেশি চেনে। তিন বছর পর ২০০৬ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়। মূল প্রবেশপথের ডান দিকে রয়েছে পুকুর। মসজিদের ওপরে ৯টি,বাইরে ৪টি, ভেতরে ছোট ছোট ৭টি এবং মূল প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আরো দুটি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের মিনার ১৯৩ ফুট উঁচু। শহরের নথুল্লাবাদ থেকে বানারীপাড়ার উদ্দেশে ১৫ মিনিট পর পর বাস ছাড়ে। ওই বাসে ১৪ টাকা ভাড়ায় মসজিদে যাওয়া যায়।
শেরে বাংলার রেস্টহাউস
বরিশাল জেলা শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে বানারীপাড়া উপজেলা। সেখান থেকে আরো ছয় কিলোমিটার দূরে সন্ধ্যা নদীর তীরের গ্রাম চাখার। এই গ্রামেই জন্মেছিলেন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা ফজলুল হক। হক সাহেব বাড়ি এলে রেস্টহাউসেই থাকতেন বেশি। এখানে এখন সংরক্ষিত আছে ২৬টি চিঠি, তাঁর একুশটি আলোকচিত্র, চারটি মানপত্র, বংশলতিকা, বইপত্র ইত্যাদি। তাঁর সংগ্রহের একটি কালো পাথরের বুদ্ধমূর্তি এবং শিবলিঙ্গও আছে এখানে। শহরের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে ১৫ মিনিট পর পর বানারীপাড়ার উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। ওই বাসযোগে গুয়াচিত্রা নামের স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে রিকশা ও টেম্পোযোগে ফজলুল হকের বাড়ি যাওয়া যায়।
এখানে দেখতে পাবেন প্রাচীন বাংলার খ্যাতিমান চারণকবি মুকুন্দ দাশের স্মরণে নির্মিত একটি কালীমন্দির। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের বাড়ি, শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মহিমাময় স্মৃতি এবং কীর্তিকে ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত শেরেবাংলা স্মৃতি জাদুঘর, সব শ্রেণীর মানুষের নয়নমন কাড়া দুর্গাসাগর দীঘি। এগুলো ছাড়াও শহর এবং আশপাশে বেড়ানোর মতো বেশ কিছু স্পট রয়েছে। যেমনÑকালিজিরা ব্রিজ, ক্যাডেট কলেজ, লিচু শাহের মাজার, বিমানবন্দর, পদ্মপুকুর, অমৃত লাল দে কলেজ ইত্যাদি। এছাড়া অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ব্রজমোহন কলেজ, বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর, গৌরনদীর কসবা মসজিদ, আগৈলঝড়ার মনসামন্দির, বাকেরগঞ্জের ১৪টি জমিদারবাড়ি
বিখ্যাত খাবারের নাম নিতাইয়ের কাঁচা গোল্লা (বরিশাল)বরিশালের নারকেল নাড়ু,আমড়া,বরিশালের শশী মিষ্টি
নদী সমূহ: মেঘনা. কীর্তনখোলা, আড়িয়ালখাঁ,কালাবদর, পায়রা, সন্ধ্যা ও সুগন্ধা
কিভাবে যাবেন : কসদরঘাট থেকে সুরভী, সুন্দরবন,পারাবতসহ বেশ কিছু লঞ্চে বরিশাল যাওয়া যায়। ছাড়ে রাত ৮টায়। কেবিন ভাড়া ৮৫০ থেকে ১৮০০ টাকা। ডেকের ভাড়া ১৫০ টাকা।
এ ছাড়া ঢাকার সায়েদাবাদ বা গাবতলী থেকে সাকুরা,হানিফ, জিএমসহ বেশ কিছু পরিবহনের বাসে বরিশাল যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন : রাত কাটানোর জন্য বরিশালে বেশকিছু হোটেল রয়েছে। যেমন হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল পুনম, হোটেল দিদার, হোটেল গুলবাগ, হোটেল নূপুর, হোটেল ইম্পেরিয়াল ইত্যাদি।

0 মন্তব্য(গুলি):