বরগুনার দর্শনীয় স্থান- BORGUNA, BANGLADESH TOUR

বরগুনার দর্শনীয় স্থান
হরিণঘাটার জঙ্গল আর সৈকত(ফাতরার বন)
 প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ বন নানান গাছপালায় সমৃদ্ধ। কেওড়া, গরাণ, গেওয়া,কক ওড়া প্রভৃতি শ্বাসমূলীয় গাছ বনের প্রধান বৃক্ষ। এ ছাড়া বনে দেখা মেলে চিত্রা হরিণ, বানর, বন বিড়াল, বন্যশুকরসহ নানান বন্যপ্রাণী। নানান জাতের পাখিরও দেখা মেলে এ বনে। আরও আছে গুঁইসাপ আর বিভিন্ন প্রকার সাপ। তবে এ বনে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন পর্যটকরা। সুন্দরবনের খুব কাছে হলেও এ বনে এখন পর্যন্ত বাঘের মতো হিংস্র কোনো প্রাণীর সন্ধান মেলেনি।
পুরো বনের ভেতরেই জালের মতো ছড়ানো আছে বেশ কিছু ছোট ছোট খাল। জোয়ারে খালগুলো জলে পরিপূর্ণ হলেও ভাটায় একেবারে শুকিয়ে যায়। এসব খাল জলে ভরা থাকলে ছোট নৌকা নিয়ে জঙ্গলের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এ বনাঞ্চলের পাশেই আছে সুন্দর একটি সমুদ্রসৈকত। লালদিয়ার চর নামেই এটি বেশি পরিচিত। বঙ্গোপসাগর আর বিষখালী নদীর মিলনস্থলে জেগে ওঠা এ সৈকত। হরিণঘাটার বন শেষ হয়েই শুরু হয়েছে এ সৈকতের। এ সৈকতে মানুষের আনাগোনা খুবই কম বলে সামুদ্রিক পাখিদের দল প্রায়ই দখল করে নেয়। কখনও কখনও সৈকতের বেলাভূমি লাল করে ঘুরে বেড়ায় কাঁকড়ার দল। শীতে এ সৈকতের কাছাকাছি এসে আস্তানা গড়েন ভ্রাম্যমান জেলেদের দল। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে তারা শুঁটকি তৈরি করেন এখানেই।
বিষখালী ও পায়রা নদীর মোহনায় জেগে উঠেছে ছোট্ট অথচ সুন্দর একটি দ্বীপÑহরিণবাড়িয়ার চর। এ এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণের দেখা মেলে। ঠাকুরপাড়ায় রয়েছে রাখাইন সম্প্রদায় অধ্যুষিত রাখাইনপাড়া। আনুমানিক দু”শ বছর আগে রাখাইনরা এখানে এসে আবাসন গড়ে তোলে। বরগুনায় আরও রয়েছে তালতলীর বৌদ্ধমন্দির,বেতাগীর বিবিচিনি মসজিদ, ছাতনাপাড়ার বৌদ্ধমঠ ও প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তি।
বিখ্যাত খাবারের নাম
নদী সমূহ পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর
কীভাবে যাবেন : নদীপথ এবং সড়কপথÑউভয়ভাবেই বরগুনা যাওয়া যায়। নদীপথে যাওয়ার সুবিধা হচ্ছেÑনদী এবং বিভিন্ন নৌযানের চলাচল দেখতে পাওয়া যায়। সড়কপথে যাওয়ার জন্য রয়েছেÑঈগল পরিবহন, দ্রুতি ও বিআরটিসির বাস।
কোথায় থাকবেন : রাবরগুনা শহরে সবচেয়ে ভালো হোটেল হলো সদর রোডে বে অব বেঙ্গল(০১৭১২২৩৪৩৩২, এসি কক্ষ ১৫০০-২০০০ টাকা,নন এসি কক্ষ ১০০০ টাকা)। এ ছাড়া শহরের সাধারণ মানের হোটেল হলো নজরুল ইসলাম সড়কে হোটেল মৌমিতা (০৪৪৮-৬২৮৪২, দ্বৈত কক্ষ ২০০ টাকা,একক কক্ষ ১০০ টাকা)। সদর রোডে হোটেল তাজবিন (০৪৪৮-৬২৫০৩, দ্বৈত কক্ষ ২৫০ টাকা, একক কক্ষ ১৮০ টাকা)। সদর রোডে হোটেল আলম (০৪৪৮-৬২২৩৪, দ্বৈত কক্ষ ১৮০ টাকা, একক কক্ষ ১০০ টাকা)

0 মন্তব্য(গুলি):