রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান
রাঙ্গামাটি এবং ঝুলন্ত ব্রিজ দুটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঝুলন্ত ব্রিজের অবস্থান পর্যটন কমপেক্সে। দেখতে পারেন কাপ্তাই লেক। নানা শ্রেণীর উপজাতিরÑ মুরং, বম, পাংখো, খেয়াং, বনযোগী প্রভৃতি উপজাতির বাসস্থান কাসালং । কর্ণফুলি পেপার মিল, চাকমা উপজাতি অধ্যুষিত বরকল, কাপ্তাই লেকের দ্বীপজুড়ে চাকমা রাজার বাড়ি।
দিনে শহর ও এর আশ-পাশের দর্শনীয় জায়গাগুলোতে বেড়ানো যেতে পারে। রাঙ্গামাটি শহরের শুরুর দিকটায় রয়েছে উপজাতীয় জাদুঘর। বেবিটেক্সিওয়ালাকে বললেই আপনাকে নিয়ে যাবে জাদুঘরের দুয়ারে। এখানে রয়েছে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত নানান আদিবাসীদের ব্যবহূত বিভিন্ন সময়ের নানা সরঞ্জামাদি, পোশাক,জীবনাচরণ এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য। ছোট অথচ অত্যন্ত সমৃদ্ধ এ জাদুঘরটি খোলা থাকে সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। শনি, রবি ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতে জাদুঘর বন্ধ থাকে। জাদুঘরে প্রবেশে বড়দের জন্য পাঁচ টাকা ও ছোটদের জন্য দুই টাকা লাগে।
উপজাতীয় জাদুঘর দেখে চলে যেতে পারেন পাশ্ববর্তী রাজ বন বিহারে। এ অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি তীর্থস্থান এই রাজবন বিহার। এখানে আছে একটি প্রার্থনালয়, একটি প্যাগোডা, বনভান্তের (বৌদ্ধ ভিক্ষু) আবাসস্থল ও বনভান্তের ভোজনালয়। প্রতি শুক্রবার ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এখানে চলে প্রার্থনা। রাজ বন বিহারে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারেন কাপ্তাই লেকের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।
রাজবনবিহারের পাশেই কাপ্তাই লেকের ছোট্ট একটি দ্বীপজুড়ে রয়েছে চাকমা রাজার রাজবাড়ি। নৌকায় পার হয়ে খুব সহজেই যাওয়া যায় এই রাজবাড়িতে। আঁকাবাঁকা সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে গাছের ছায়ায় ইট বাঁধানো পথের মাথায় এ সুন্দর বাড়িটি। এখানে আরও রয়েছে চাকমা সার্কেলের প্রশাসনিক দপ্তর।
এবার লেক পাড় হয়ে বেবি টেক্সি করে চলে আসুন রিজার্ভ বাজারে। ঘুরে ফিরে দেখুন রাঙ্গামাটির ব্যস্ততম এই জায়গাটি। রিজার্ভ বাজার থেকেই রাঙ্গামাটির বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার লঞ্চ ছাড়ে।
রিজার্ভ বাজার থেকে এবার চলুন পর্যটন কমপ্লেক্সে। তবলছড়ি বাজার থেকে এখানকার দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। রাস্তা সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এই অল্প পথ নিমিষেই ফুরিয়ে যাবে। পর্যটন কমপ্লেক্সের ভেতরেই রয়েছে সবার চেনা সুন্দর ঝুলন্ত সেতুটি। দশ টাকার টিকেট কিনে এখানে ঢুকে পড়ুন। ঝুলন্ত সেতু ধরে যতই সামনে এগোবেন ততই ছবির মতো দৃশ্য আপনার দু’চোখকে হাতছানি দিবে। এখান থেকে কাপ্তাই লেকে নৌ ভ্রমণ করতে পারেন। নৌ ভ্রমণের জন্য এখানেই পেয়ে যাবেন নানা রকম বাহন। এ জায়গায় প্রথম দিনের ভ্রমণ শেষ করে হোটেলে ফিরে যান।
পরের পুরো দিনটি রাখনু কাপ্তাই লেক ভ্রমণের জন্য। শহরের রিজার্ভ বাজার ঘাটেই পাবেন কাপ্তাই লেকে ভ্রমণের নানা রকম ইঞ্জিন বোট। ঝুলন্ত সেতুর কাছেও এ রকম অনেক বোট পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে একটু বাড়তি টাকা গুনতে হবে শুধু শুধু। সারাদিনের জন্য একটি বোট ভাড়া করে সকালে সোজা চলে যান শুভলং বাজার। শুভলংয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে এবার ফিরতে শুরু করুন। ফিরতি পথের শুরুতেই হাতের বাঁয়ে পেয়ে যাবেন শুভলং ঝরনা। এখন শীত বলে ঝরনায় পানি নেই বললেই চলে। তারপরেও অল্প-স্বল্প যা আছে তাতে শরীরটা ভিজিয়ে নিতে পারেন। কাপ্তাই লেকের দুপাশের আকাশ ছোঁয়া পাহাড়গুলোর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে চলতে থাকুন। পথে দুপুরের খাবার সেরে নিতে পারেন টুকটুক ইকো ভিলেজ কিংবা পেদা টিংটিংয়ে। শুরুতেই পড়বে টুকটুক ইকো ভিলেজ। কাপ্তাই লেকের একেবারে মাঝে এই ইকো ভিলেজটির সুন্দর সুন্দর কটেজে রাতও কাটাতে পারেন। এর রেস্তোরাঁটিতে পাবেন বিভিন্ন রকম পাহাড়ি মেন্যু। সারাদিন কাপ্তাই লেকের এসব জায়গা ভ্রমণের জন্য একটি ইঞ্জিন বোটের ভাড়া পড়বে ১০০০-২৫০০ টাকা। এ ছাড়া রাঙ্গামাটি শহর থেকে এখন প্রতিদিন শুভলং ছেড়ে যায় আধুনিক ভ্রমণতরী কেয়ারী কর্ণফুলী। প্রতিদিন সকালে ছেড়ে আবার বিকেলে ফিরে আসে। ফিরতি পথে টুকটুক ইকো ভিলেজ কিংবা পেদা টিংটিংয়ে থাকে বিরতি। যাওয়া আসার ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা।
কাপ্তাই হ্রদ,
রাজা জং বসাক খানের দীঘি ও মসজিদ,
রাজা হরিশ চন্দ্র রায়ের আবাসস্থলের ধবংসাবশেষ,
ঝুলন্ত সেতু,
বুদ্ধদের প্যাগোডা,
রাজ বনবিহার,
শুভলং ঝর্ণা।
বিখ্যাত খাবারের নাম রাঙ্গামাটির জুম রেস্তোরার বাঁশের ভেতর তৈরী খাবার।
নদী সমূহ : কর্ণফুলি, থেগা, হরিনা, কাসালং, শুভলং,চিঙ্গড়ি, কাপ্তাই
কীভাবে যাবেন
ঢাকার কলাবাগান, ফকিরাপুল ও কমলাপুর থেকে সরাসরি রাঙ্গামাটির উদ্দেশে ছেড়ে যায় ডলফিন, এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী ইত্যাদি পরিবহনের বাস। ভাড়া জনপ্রতি টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য বাস, ট্রেন কিংবা বিমানে চট্টগ্রাম এসে সেখান থেকেও রাঙ্গামাটি আসতে পারেন। চট্টগ্রাম শহরের সিনেমা প্যালেস এবং বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতি বিশ মিনিট পর পর রাঙ্গামাটির উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিরতিহীন বাস। ভাড়া জনপ্রতি টাকা।
কোথায় থাকবেন
রাঙ্গামাটি শহরে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো হোটেল হলো হোটেল কাঁঠালতলীতে হোটেল সুফিয়া, ফোন :০৩৫১-৬২১৪৫। রিজার্ভ বাজারে হোটেল গ্রীন ক্যাসেল, ফোন :০৩৫১-৬৩২৮২ এবং পর্যটন কমপ্লেক্সের ভেতরে পর্যটন মোটেল, ফোন :০৩৫১-৬৩১২৬। ঢাকা থেকে এ হোটেলেরও বুকিং দিতে পারেন। যোগাযোগ :বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, ফোন :৮১১৭৮৫৫-৯, ৮১১৯১৯২। এ ছাড়াও রাঙ্গামাটির সাধারণ মানের কয়েকটি হোটেল হলো—রিজার্ভ বাজারে হোটেল লেক ভিউ, ফোন :০৩৫১-৬৩৩৭৩, কোর্ট বিল্ডিং বনরূপা এলাকায় হোটেল শাপলা, ফোন :০৩৫১-৬৩৩৯৬
খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থান
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান আর্য বনবিহার বৌদ্ধমন্দির। যেখানে রয়েছে বুদ্ধদেবের সুদৃশ্য একটি মূর্তি। আরও রয়েছে পিকনিক স্পট আলুটিলা, মং উপজাতিদের প্রধান আবাসস্থল মানিকছড়ি, রামগড়,নিবিড় অরণ্য, দুর্গম পাহাড় ও আপন খেয়ালে বয়ে চলা ঝরনাøাত (তৈদুছড়া ঝরনা)অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান দীঘিনালা, বড় বৌদ্ধমূর্তি সমৃদ্ধ শান্তিপুর অরণ্য কুটির।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং দেশের বেশকিছু এলাকা থেকে খাগড়াছড়িতে বাস যাতায়াত করে। তবে নির্ভরযোগ্য পরিবহন হচ্ছেÑ সৌদিয়া, এস আলম, শান্তি পরিবহন ইত্যাদি। চট্টগ্রামের দামপাড়া,ঢাকার কমলাপুর থেকে খাগড়াছড়ির বাস ছাড়ে।
কোথায় থাকবেন : খাগড়াছড়ি সদরে এবং বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আবাসিক হোটেল। এসব হোটেল অবস্থানকারীরা মুগ্ধ হবেন হোটেল কর্তৃপরে আতিথেয়তায়।
রাঙ্গামাটি এবং ঝুলন্ত ব্রিজ দুটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঝুলন্ত ব্রিজের অবস্থান পর্যটন কমপেক্সে। দেখতে পারেন কাপ্তাই লেক। নানা শ্রেণীর উপজাতিরÑ মুরং, বম, পাংখো, খেয়াং, বনযোগী প্রভৃতি উপজাতির বাসস্থান কাসালং । কর্ণফুলি পেপার মিল, চাকমা উপজাতি অধ্যুষিত বরকল, কাপ্তাই লেকের দ্বীপজুড়ে চাকমা রাজার বাড়ি।
দিনে শহর ও এর আশ-পাশের দর্শনীয় জায়গাগুলোতে বেড়ানো যেতে পারে। রাঙ্গামাটি শহরের শুরুর দিকটায় রয়েছে উপজাতীয় জাদুঘর। বেবিটেক্সিওয়ালাকে বললেই আপনাকে নিয়ে যাবে জাদুঘরের দুয়ারে। এখানে রয়েছে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত নানান আদিবাসীদের ব্যবহূত বিভিন্ন সময়ের নানা সরঞ্জামাদি, পোশাক,জীবনাচরণ এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য। ছোট অথচ অত্যন্ত সমৃদ্ধ এ জাদুঘরটি খোলা থাকে সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। শনি, রবি ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতে জাদুঘর বন্ধ থাকে। জাদুঘরে প্রবেশে বড়দের জন্য পাঁচ টাকা ও ছোটদের জন্য দুই টাকা লাগে।
উপজাতীয় জাদুঘর দেখে চলে যেতে পারেন পাশ্ববর্তী রাজ বন বিহারে। এ অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি তীর্থস্থান এই রাজবন বিহার। এখানে আছে একটি প্রার্থনালয়, একটি প্যাগোডা, বনভান্তের (বৌদ্ধ ভিক্ষু) আবাসস্থল ও বনভান্তের ভোজনালয়। প্রতি শুক্রবার ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এখানে চলে প্রার্থনা। রাজ বন বিহারে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারেন কাপ্তাই লেকের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।
রাজবনবিহারের পাশেই কাপ্তাই লেকের ছোট্ট একটি দ্বীপজুড়ে রয়েছে চাকমা রাজার রাজবাড়ি। নৌকায় পার হয়ে খুব সহজেই যাওয়া যায় এই রাজবাড়িতে। আঁকাবাঁকা সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে গাছের ছায়ায় ইট বাঁধানো পথের মাথায় এ সুন্দর বাড়িটি। এখানে আরও রয়েছে চাকমা সার্কেলের প্রশাসনিক দপ্তর।
এবার লেক পাড় হয়ে বেবি টেক্সি করে চলে আসুন রিজার্ভ বাজারে। ঘুরে ফিরে দেখুন রাঙ্গামাটির ব্যস্ততম এই জায়গাটি। রিজার্ভ বাজার থেকেই রাঙ্গামাটির বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার লঞ্চ ছাড়ে।
রিজার্ভ বাজার থেকে এবার চলুন পর্যটন কমপ্লেক্সে। তবলছড়ি বাজার থেকে এখানকার দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। রাস্তা সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এই অল্প পথ নিমিষেই ফুরিয়ে যাবে। পর্যটন কমপ্লেক্সের ভেতরেই রয়েছে সবার চেনা সুন্দর ঝুলন্ত সেতুটি। দশ টাকার টিকেট কিনে এখানে ঢুকে পড়ুন। ঝুলন্ত সেতু ধরে যতই সামনে এগোবেন ততই ছবির মতো দৃশ্য আপনার দু’চোখকে হাতছানি দিবে। এখান থেকে কাপ্তাই লেকে নৌ ভ্রমণ করতে পারেন। নৌ ভ্রমণের জন্য এখানেই পেয়ে যাবেন নানা রকম বাহন। এ জায়গায় প্রথম দিনের ভ্রমণ শেষ করে হোটেলে ফিরে যান।
পরের পুরো দিনটি রাখনু কাপ্তাই লেক ভ্রমণের জন্য। শহরের রিজার্ভ বাজার ঘাটেই পাবেন কাপ্তাই লেকে ভ্রমণের নানা রকম ইঞ্জিন বোট। ঝুলন্ত সেতুর কাছেও এ রকম অনেক বোট পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে একটু বাড়তি টাকা গুনতে হবে শুধু শুধু। সারাদিনের জন্য একটি বোট ভাড়া করে সকালে সোজা চলে যান শুভলং বাজার। শুভলংয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে এবার ফিরতে শুরু করুন। ফিরতি পথের শুরুতেই হাতের বাঁয়ে পেয়ে যাবেন শুভলং ঝরনা। এখন শীত বলে ঝরনায় পানি নেই বললেই চলে। তারপরেও অল্প-স্বল্প যা আছে তাতে শরীরটা ভিজিয়ে নিতে পারেন। কাপ্তাই লেকের দুপাশের আকাশ ছোঁয়া পাহাড়গুলোর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে চলতে থাকুন। পথে দুপুরের খাবার সেরে নিতে পারেন টুকটুক ইকো ভিলেজ কিংবা পেদা টিংটিংয়ে। শুরুতেই পড়বে টুকটুক ইকো ভিলেজ। কাপ্তাই লেকের একেবারে মাঝে এই ইকো ভিলেজটির সুন্দর সুন্দর কটেজে রাতও কাটাতে পারেন। এর রেস্তোরাঁটিতে পাবেন বিভিন্ন রকম পাহাড়ি মেন্যু। সারাদিন কাপ্তাই লেকের এসব জায়গা ভ্রমণের জন্য একটি ইঞ্জিন বোটের ভাড়া পড়বে ১০০০-২৫০০ টাকা। এ ছাড়া রাঙ্গামাটি শহর থেকে এখন প্রতিদিন শুভলং ছেড়ে যায় আধুনিক ভ্রমণতরী কেয়ারী কর্ণফুলী। প্রতিদিন সকালে ছেড়ে আবার বিকেলে ফিরে আসে। ফিরতি পথে টুকটুক ইকো ভিলেজ কিংবা পেদা টিংটিংয়ে থাকে বিরতি। যাওয়া আসার ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা।
কাপ্তাই হ্রদ,
রাজা জং বসাক খানের দীঘি ও মসজিদ,
রাজা হরিশ চন্দ্র রায়ের আবাসস্থলের ধবংসাবশেষ,
ঝুলন্ত সেতু,
বুদ্ধদের প্যাগোডা,
রাজ বনবিহার,
শুভলং ঝর্ণা।
বিখ্যাত খাবারের নাম রাঙ্গামাটির জুম রেস্তোরার বাঁশের ভেতর তৈরী খাবার।
নদী সমূহ : কর্ণফুলি, থেগা, হরিনা, কাসালং, শুভলং,চিঙ্গড়ি, কাপ্তাই
কীভাবে যাবেন
ঢাকার কলাবাগান, ফকিরাপুল ও কমলাপুর থেকে সরাসরি রাঙ্গামাটির উদ্দেশে ছেড়ে যায় ডলফিন, এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী ইত্যাদি পরিবহনের বাস। ভাড়া জনপ্রতি টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য বাস, ট্রেন কিংবা বিমানে চট্টগ্রাম এসে সেখান থেকেও রাঙ্গামাটি আসতে পারেন। চট্টগ্রাম শহরের সিনেমা প্যালেস এবং বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতি বিশ মিনিট পর পর রাঙ্গামাটির উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিরতিহীন বাস। ভাড়া জনপ্রতি টাকা।
কোথায় থাকবেন
রাঙ্গামাটি শহরে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো হোটেল হলো হোটেল কাঁঠালতলীতে হোটেল সুফিয়া, ফোন :০৩৫১-৬২১৪৫। রিজার্ভ বাজারে হোটেল গ্রীন ক্যাসেল, ফোন :০৩৫১-৬৩২৮২ এবং পর্যটন কমপ্লেক্সের ভেতরে পর্যটন মোটেল, ফোন :০৩৫১-৬৩১২৬। ঢাকা থেকে এ হোটেলেরও বুকিং দিতে পারেন। যোগাযোগ :বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, ফোন :৮১১৭৮৫৫-৯, ৮১১৯১৯২। এ ছাড়াও রাঙ্গামাটির সাধারণ মানের কয়েকটি হোটেল হলো—রিজার্ভ বাজারে হোটেল লেক ভিউ, ফোন :০৩৫১-৬৩৩৭৩, কোর্ট বিল্ডিং বনরূপা এলাকায় হোটেল শাপলা, ফোন :০৩৫১-৬৩৩৯৬
খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থান
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান আর্য বনবিহার বৌদ্ধমন্দির। যেখানে রয়েছে বুদ্ধদেবের সুদৃশ্য একটি মূর্তি। আরও রয়েছে পিকনিক স্পট আলুটিলা, মং উপজাতিদের প্রধান আবাসস্থল মানিকছড়ি, রামগড়,নিবিড় অরণ্য, দুর্গম পাহাড় ও আপন খেয়ালে বয়ে চলা ঝরনাøাত (তৈদুছড়া ঝরনা)অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান দীঘিনালা, বড় বৌদ্ধমূর্তি সমৃদ্ধ শান্তিপুর অরণ্য কুটির।
ফটিকছড়ির ভূজপুর হালদা নদী রাবার ড্যাম
ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার বৃহত্তম সেচ প্রকল্প হালদা নদী রাবার ড্যাম
(সেচ প্রকল্প) গত ২৮ মার্চ টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সার্কিট
হাউজ থেকে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেচ প্রকল্প
ফটিকছড়ির উত্তরাঞ্চলের ৪০হাজার বিঘা জমির কৃষি বিপ্লব ঘটানোর পাশা-পাশি
পর্যটন শিল্প বিকাশের এক বিপুল সম্ভবনার ধার উম্মোচিত করেছে।
উপজেলার ভূজপুর থানার পূর্ব পাশ্বস্থ ডলু কৈয়া ছড়া-আছিয়া চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হালদা নদীর উপর এ রাবার ড্যাম তৈরি করা হয়। পাশা-পাশি নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর এই রাবার ড্যাম এলাকায় পর্যটন শিল্প বিকাশের বিপুল সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভ্রমন পিপাসু ও প্রকৃতি প্রেমীরা এই এলাকাটিকে বেছে নিয়েছে। প্রতিদিন এখানে শত শত ভ্রমন পিপাসুরা এসে ভিড় জমায়।
দক্ষিনে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা, পশ্চিমে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড, পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি, উত্তরে ভারতীয় সীমান্ত ও রামগড় উপজেলা। সবুজের বিস্তীর্ণ সমারোহে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সাজিয়েছে ফটিকছড়িকে। পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ এ উপজেলার ১৭টি চা-বাগান। চা-বাগান, রাবার বাগান, চিরযৌবনা খাল, নদী, ছড়া,সবুজেঘেরা পাহাড় ও পুরনো স্থাপনাগুলো ফটিকছড়ির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়েছে।
জানা যায়, ৩০৮ বর্গমাইলের এ উপজেলায় ১৫ হাজার ৫৫৩ একর টিলা পাহাড়ি ভূমির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে এসব চা-বাগান। এশিয়ার বৃহত্তম কর্ণফুলী, উদালিয়া, রামগড়, দাঁতমারা, নিউ দাঁতমারা, নাছেহা, মা জান, পঞ্চবটি, হালদা ভ্যালি,নেপচুন, আঁধার মানিক, বারমাসিয়া, কৈয়াছড়া,আছিয়া, রাংগাপানি, মুহাম্মদ নগরসহ ১৭টি চা-বাগান।
প্রতিটি চা-বাগানই আপন সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। চা-পাতা তোলার অপরূপ দৃশ্য, নজরকাড়া বাংলো এবং চা-বাগানের যাতায়াতব্যবস্থা অত্যন্ত সুন্দর। সব কিছু মিলিয়ে এসব চা-বাগনকে পর্যটন শিল্পের আওতায় আনা যায়। এ ছাড়া ফটিকছড়িতে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে রাবার বাগান। রাবার বাগানগুলোর সারিবদ্ধ গাছ, রাবার গাছের কষপড়া দৃশ্য খুব সহজে মনকে রাঙিয়ে তোলে। পাহাড়-পর্বত ও সবুজেরঝোপঝাড়ঘেরা বৃরাজি, নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রকৃতির একান্ত সুর এখানে পাওয়া যায়। ফটিকছড়ির বুক চিরে বয়ে যাওয়া দুরন্ত নাগিনী কর্ণফুলী, চির যৌবনা হালদা, ধুরুং, সত্তা নদীসহ অসংখ্য নদী-খাল যেন সৌন্দর্যের সমারোহ।
নদী সমূহ চিংগ্রী, মাইনি, ফেনী ও হালদাউপজেলার ভূজপুর থানার পূর্ব পাশ্বস্থ ডলু কৈয়া ছড়া-আছিয়া চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হালদা নদীর উপর এ রাবার ড্যাম তৈরি করা হয়। পাশা-পাশি নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর এই রাবার ড্যাম এলাকায় পর্যটন শিল্প বিকাশের বিপুল সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভ্রমন পিপাসু ও প্রকৃতি প্রেমীরা এই এলাকাটিকে বেছে নিয়েছে। প্রতিদিন এখানে শত শত ভ্রমন পিপাসুরা এসে ভিড় জমায়।
দক্ষিনে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা, পশ্চিমে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড, পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি, উত্তরে ভারতীয় সীমান্ত ও রামগড় উপজেলা। সবুজের বিস্তীর্ণ সমারোহে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সাজিয়েছে ফটিকছড়িকে। পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ এ উপজেলার ১৭টি চা-বাগান। চা-বাগান, রাবার বাগান, চিরযৌবনা খাল, নদী, ছড়া,সবুজেঘেরা পাহাড় ও পুরনো স্থাপনাগুলো ফটিকছড়ির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়েছে।
জানা যায়, ৩০৮ বর্গমাইলের এ উপজেলায় ১৫ হাজার ৫৫৩ একর টিলা পাহাড়ি ভূমির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে এসব চা-বাগান। এশিয়ার বৃহত্তম কর্ণফুলী, উদালিয়া, রামগড়, দাঁতমারা, নিউ দাঁতমারা, নাছেহা, মা জান, পঞ্চবটি, হালদা ভ্যালি,নেপচুন, আঁধার মানিক, বারমাসিয়া, কৈয়াছড়া,আছিয়া, রাংগাপানি, মুহাম্মদ নগরসহ ১৭টি চা-বাগান।
প্রতিটি চা-বাগানই আপন সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। চা-পাতা তোলার অপরূপ দৃশ্য, নজরকাড়া বাংলো এবং চা-বাগানের যাতায়াতব্যবস্থা অত্যন্ত সুন্দর। সব কিছু মিলিয়ে এসব চা-বাগনকে পর্যটন শিল্পের আওতায় আনা যায়। এ ছাড়া ফটিকছড়িতে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে রাবার বাগান। রাবার বাগানগুলোর সারিবদ্ধ গাছ, রাবার গাছের কষপড়া দৃশ্য খুব সহজে মনকে রাঙিয়ে তোলে। পাহাড়-পর্বত ও সবুজেরঝোপঝাড়ঘেরা বৃরাজি, নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রকৃতির একান্ত সুর এখানে পাওয়া যায়। ফটিকছড়ির বুক চিরে বয়ে যাওয়া দুরন্ত নাগিনী কর্ণফুলী, চির যৌবনা হালদা, ধুরুং, সত্তা নদীসহ অসংখ্য নদী-খাল যেন সৌন্দর্যের সমারোহ।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং দেশের বেশকিছু এলাকা থেকে খাগড়াছড়িতে বাস যাতায়াত করে। তবে নির্ভরযোগ্য পরিবহন হচ্ছেÑ সৌদিয়া, এস আলম, শান্তি পরিবহন ইত্যাদি। চট্টগ্রামের দামপাড়া,ঢাকার কমলাপুর থেকে খাগড়াছড়ির বাস ছাড়ে।
কোথায় থাকবেন : খাগড়াছড়ি সদরে এবং বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আবাসিক হোটেল। এসব হোটেল অবস্থানকারীরা মুগ্ধ হবেন হোটেল কর্তৃপরে আতিথেয়তায়।
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment