পঞ্চগড়ের দর্শনীয় স্থান- Poncogor, Bangladesh Tour

পঞ্চগড়ের দর্শনীয় স্থান
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট তেঁতুলিয়া
দেশের সর্ব উত্তরের সীমানা তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট। ওপারে ভারতের ফুলবাড়ী। এটি একটি স্থলবন্দর। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারত_ত্রিদেশীয় বাণিজ্য কার্যক্রম দেখা যায় এখান থেকে। শহর থেকে লোকাল বাসে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভাড়া ৮০ টাকা।
রকস মিউজিয়াম, পঞ্চগড় সদর
পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে আছে দেশের একমাত্র পাথরের জাদুঘর বা রকস মিউজিয়াম। কোনো কোনো পাথরের বয়স হাজার বছরেরও বেশি। ভেতরের গ্যালারিতে বিভিন্ন আকৃতি, রং ও বৈশিষ্ট্যের পাথর আছে। আরো আছে পুরনো ইমারতের ইট,পাথর ও পোড়ামাটির মূর্তি। আদিবাসীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সম্ভার আছে জাতিতাত্তি্বক সংগ্রহশালায়। উন্মুক্ত গ্যালারিও আছে। এখানে আছে বড় বড় সব পাথর এবং দুটি নৌকা। একটিমাত্র শালগাছ থেকে তৈরি প্রতিটি নৌকার দৈর্ঘ্য সাড়ে ২২ ফুট। শহরের কোচস্ট্যান্ড থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত রিকশায় ভাড়া ১০ টাকা।
মির্জাপুর শাহি মসজিদ আটোয়ারী
মুঘল আমলে নির্মিত আয়তাকার মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৪০ ফুট, প্রস্থে ২৪ ফুট। এক সারিতে গম্বুজ আছে তিনটি,প্রবেশপথও তিনটি। মাঝখানের প্রবেশপথের উপরিভাগে একটি কালো ফলকে ফারসি লিপিতে সন-তারিখ লেখা আছে। সামনের পুরোটাই টেরাকোটা প্লাক দিয়ে সুসজ্জিত। প্লাকের ওপর ফুল ও লতাপাতা আঁকা। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটির দেখভাল করে। সদর থেকে লোকাল বাসে চড়ে মির্জাপুর বাজারে নামতে হবে। ভাড়া ২৫ টাকা। এরপর রিকশায় মসজিদ পর্যন্ত ভাড়া ১৫-২০ টাকা।
ভিতরগড়ঃ
পঞ্চগড় শহর থেকে ১০ মাইল উত্তরে বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত বরাবর পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন অমরখানা ইউনিয়নে অবস্থিত এই গড়।
মহারাজার দিঘীঃ পঞ্চগড় শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তরে পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন অমরখানা ইউনিয়নে অবস্থিত একটি বড় পুকুর বর্তমানে যা মহারাজার দিঘী নামে পরিচিতি
সমতল ভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা বাগান : পঞ্চগড় জেলার সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় সাম্প্রতিকালে সমতল ভূমিতে চা গাছের চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে।
বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর ঃহিমালয়ের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া। এই উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশ মানচিত্রের সর্বউত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
দেবীগঞ্জের গোলকধাম মন্দির, সদরের মহারাজার দীঘি ও ভিতরগড় দুর্গনগরী, আটোয়ারীর মির্জাপুরের ইমামবাড়া এবং তেঁতুলিয়ার জেলা পরিষদ ডাকবাংলো
নদী সমূহ করতোয়া, আত্রাই, তিস্তা, মহানন্দা,টাংগন, ডাহুক, পাথরাজ, ভুল্লী, তালমা, নাগর,চাওয়াই, কুরুম, ভেরসা, তিরনই ও চিলকা।
কীভাবে যাবেন : সড়কপথ। তেঁতুলিয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত হানিফ এন্টারপ্রাইজ, কেয়া পরিবহন, কান্তি পরিবহন ও শ্যামলী এন্টারপ্রাইজের বাস নিয়মিত যাতায়াত করে।। সেখান থেকে বিডিআরের অনুমতি সাপেক্ষে ভ্যানযোগে জিরো পয়েন্ট দর্শন করা যায়। যাতায়াতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা খরচ হবে।
কোথায় থাকবেন : তেঁতুলিয়ায় আবাসিক কোনো হোটেল না থাকায় জেলা পরিষদের প্রাচীন ডাকবাংলো ও পিকনিক কর্নার রাতযাপনের একমাত্র ভরসা।

0 মন্তব্য(গুলি):