ঠাকুরগাওএর দর্শনীয় স্থান
জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জহাট। হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ।
রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি : রানীশংকৈল উপজেলার পূর্বপ্রান্তে কুলিক নদীর তীরে মালদুয়ার জমিদার রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি।
দিঘি : ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে প্রাচীনকালে বেশ কিছু নদী ও নিচু জলাভূমি ছিল।
হরিণমারীর আমগাছ :প্রায় দুই বিঘা জায়গাজুড়ে শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে আছে ২০০ বছরের বেশি বয়সী এক আমগাছ। মাটিতে নেমে এসেছে ১৯টি মোটা মোটা ডাল। গাছটির উচ্চতা আনুমানিক ৮০ ফুট আর ঘের ৩০ ফুট।ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে হরিণমারী।
রাউতনগর সাঁওতালপল্লী রানীশংকৈল: ঠাকুরগাঁও সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রাউতনগর গ্রাম।
নেকমরদের মাজার দেখতে গিয়েছিলাম রানীশংকৈল। ঠাকুরগাঁও সদর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ২০ কিলোমিটারের বেশি হবে। সেখানেই জানলাম গোরকুই কূপের কথা। লোকজন বলছিল, ‘তাজ্জব হয়া যাবেন, ভাই। আজব কুয়া। এর জল সারা বছর এক মাপে থাকে। শীতে কমে না, বর্ষায় বাড়ে না। তার ওপর আবার পাথরে তৈরি।’ কথার জালে মন আটকে গেল। দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। নেকমরদ থেকে আরো আট কিলোমিটার পশ্চিমে গোরকুই। সহজে যাওয়ার জো নেই। প্রথমে নছিমনে চড়ে গেলাম পারকুণ্ডা। এরপর শুরু হলো মেঠো পথ। একটা ভ্যানে চড়ে বসলাম। চালকের নাম মজনু। নাকের নিচে তাঁর কালো রেখা উঁকি দিতে শুরু করেছে সবে। সে গোরকুইয়ের গল্পগাথার ভাঁড়ার খুলে দিল। শ্রোতা বলতে আমি আর দিগন্তবিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেত। দিনাজপুরকে শস্যভাণ্ডার বলার কারণ খুঁজে পেলাম এখানে এসে। চোখ যেদিকে যায় সবুজের অবারিত বিপুল বিস্তৃতি। বসতি খুবই কম। অনেক দূরে দূরে দু-তিনটি ঘর। মজনু কিছুক্ষণ পর গাড়ি থামাল একটা টং দোকানের সামনে। তেঁতুলগাছ ছায়া বিছিয়ে রেখেছে চারধারে। চা-বিস্কুট পাওয়া যাবে শুনে খানিক জিরানোর কথা ভাবলাম। চা খেতে খেতে দেখলাম সাঁওতাল শিশু-কিশোরদের উচ্ছল শৈশব। এখানে বেশ কয়েক ঘর সাঁওতাল আাছে। দোকান থেকেই একটা দেয়ালঘেরা স্থাপনার চূড়া দেখতে পেলাম। দোকানদার বলল, এটিই গোরক্ষনাথের মন্দির। এরপর আর তর সইল না, দামটাম মিটিয়ে মন্দিরে রওনা দিলাম।
ঢোকার মুখে একটি ছোট দরজা। এটি পেরোনোর পরই পেলাম সাদা চুনকাম করা ছোট একটি মন্দির। সিমেন্টের একটি শিবলিঙ্গ আছে মন্দিরগৃহের মধ্যখানে। বোঝা গেল, মহাদেবের মন্দির। পূর্ব দিকের দেয়াল ঘেঁষে একই সারিতে আছে আরো তিনটি মন্দির। শিবমন্দিরের পাশেরটি কালীমন্দির। শিবমন্দির থেকে এটি একটু বড়। দক্ষিণেরটি মৎস্যেন্দ্রনাথের সমাধিমন্দির। তিনটি মন্দিরেরই চূড়া গম্বুজ আকৃতির। সাধারণত মন্দিরে গম্বুজ দেখা যায় না, সেদিক থেকে এগুলো ব্যতিক্রম
বিখ্যাত খাবারের নাম
নদী সমূহ টাঙ্গন নদী,ভুল্লী নদী,নাগর নদী
জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জহাট। হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ।
রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি : রানীশংকৈল উপজেলার পূর্বপ্রান্তে কুলিক নদীর তীরে মালদুয়ার জমিদার রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি।
দিঘি : ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে প্রাচীনকালে বেশ কিছু নদী ও নিচু জলাভূমি ছিল।
হরিণমারীর আমগাছ :প্রায় দুই বিঘা জায়গাজুড়ে শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে আছে ২০০ বছরের বেশি বয়সী এক আমগাছ। মাটিতে নেমে এসেছে ১৯টি মোটা মোটা ডাল। গাছটির উচ্চতা আনুমানিক ৮০ ফুট আর ঘের ৩০ ফুট।ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে হরিণমারী।
রাউতনগর সাঁওতালপল্লী রানীশংকৈল: ঠাকুরগাঁও সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রাউতনগর গ্রাম।
নেকমরদের মাজার দেখতে গিয়েছিলাম রানীশংকৈল। ঠাকুরগাঁও সদর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ২০ কিলোমিটারের বেশি হবে। সেখানেই জানলাম গোরকুই কূপের কথা। লোকজন বলছিল, ‘তাজ্জব হয়া যাবেন, ভাই। আজব কুয়া। এর জল সারা বছর এক মাপে থাকে। শীতে কমে না, বর্ষায় বাড়ে না। তার ওপর আবার পাথরে তৈরি।’ কথার জালে মন আটকে গেল। দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। নেকমরদ থেকে আরো আট কিলোমিটার পশ্চিমে গোরকুই। সহজে যাওয়ার জো নেই। প্রথমে নছিমনে চড়ে গেলাম পারকুণ্ডা। এরপর শুরু হলো মেঠো পথ। একটা ভ্যানে চড়ে বসলাম। চালকের নাম মজনু। নাকের নিচে তাঁর কালো রেখা উঁকি দিতে শুরু করেছে সবে। সে গোরকুইয়ের গল্পগাথার ভাঁড়ার খুলে দিল। শ্রোতা বলতে আমি আর দিগন্তবিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেত। দিনাজপুরকে শস্যভাণ্ডার বলার কারণ খুঁজে পেলাম এখানে এসে। চোখ যেদিকে যায় সবুজের অবারিত বিপুল বিস্তৃতি। বসতি খুবই কম। অনেক দূরে দূরে দু-তিনটি ঘর। মজনু কিছুক্ষণ পর গাড়ি থামাল একটা টং দোকানের সামনে। তেঁতুলগাছ ছায়া বিছিয়ে রেখেছে চারধারে। চা-বিস্কুট পাওয়া যাবে শুনে খানিক জিরানোর কথা ভাবলাম। চা খেতে খেতে দেখলাম সাঁওতাল শিশু-কিশোরদের উচ্ছল শৈশব। এখানে বেশ কয়েক ঘর সাঁওতাল আাছে। দোকান থেকেই একটা দেয়ালঘেরা স্থাপনার চূড়া দেখতে পেলাম। দোকানদার বলল, এটিই গোরক্ষনাথের মন্দির। এরপর আর তর সইল না, দামটাম মিটিয়ে মন্দিরে রওনা দিলাম।
ঢোকার মুখে একটি ছোট দরজা। এটি পেরোনোর পরই পেলাম সাদা চুনকাম করা ছোট একটি মন্দির। সিমেন্টের একটি শিবলিঙ্গ আছে মন্দিরগৃহের মধ্যখানে। বোঝা গেল, মহাদেবের মন্দির। পূর্ব দিকের দেয়াল ঘেঁষে একই সারিতে আছে আরো তিনটি মন্দির। শিবমন্দিরের পাশেরটি কালীমন্দির। শিবমন্দির থেকে এটি একটু বড়। দক্ষিণেরটি মৎস্যেন্দ্রনাথের সমাধিমন্দির। তিনটি মন্দিরেরই চূড়া গম্বুজ আকৃতির। সাধারণত মন্দিরে গম্বুজ দেখা যায় না, সেদিক থেকে এগুলো ব্যতিক্রম
বিখ্যাত খাবারের নাম
নদী সমূহ টাঙ্গন নদী,ভুল্লী নদী,নাগর নদী
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment