গুগল যে ১০ কারনে সাইটকে প্রাধান্য দেয়

গুগল যে ১০ কারনে সাইটকে প্রাধান্য দেয়

ওয়েবসাইট নির্মাতাদের প্রধান লক্ষ ওয়েবসাইটকে গুগল র‌্যাংকিং এর প্রথমদিকে রাখা। সাইটের নাম যত ওপরের দিকে থাকবে সেটা তত সহজে সার্চ করে পাওয়া যাবে, ফলে ভিজিটর বাড়বে। গুগল নিজে কিভাবে এই হিসেব করে সেটা তারা প্রকাশ তরে না কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যারা কাজ করেন তারা গবেষনা করে কিছু কারন বের করেছেন।
আপনার নিজের সাইটের জন্য অথবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন পেশার জন্য এই নিয়মগুলি কাজে লাগাতে পারেন।
.          ডোমেন এর সময়
আপনি ওয়েবসাইটের যে ঠিকানা ব্যবহার করছেন সেটা কতদিনের পুরনো বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন। কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাসের সাইট র‌্যাংকিং এর শুরুতে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। মুলত প্রথমে নাম পাওয়ার জন্য সাইটকে কয়েক বছর পুরনো হতে হয়।
.          ডোমেন হোষ্টিং
আপনার সাইট কোন সার্ভারে রাখা হয়েছে সেটা গুরুত্বপুর্ন। দীর্ঘদিন ধরে যারা হোষ্টিং কাজ করছেন তাদের মাধ্যমে র‌্যাংকিং এ ভাল করা তুলনামুলক সহজ। আপনি যে দেশের ভিজিটর আশা করেন সেই দেশের হোষ্টিং কোম্পানী ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। আর খরচ কমানোর জন্য পরিচয়হীন হোষ্টিং ব্যবহার না করাই ভাল।
.          প্রতিবেশি সাইটগুলির প্রভাব
আপনি যে হোষ্টিং ব্যবহার করছেন সেখানে অন্য সাইটগুলির প্রভাব কাজ করে। অন্যকথায় যে হোষ্টিং সার্ভিসে নামি কোম্পানী রয়েছে সেকানে হোষ্টিং করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
.          সহজ এড্রেস ব্যবহার
পেজের ঠিকানা যত পরিস্কার হবে সেটা তত সহজে খুজে পাওয়া যাবে। কোন পেজের এড্রেসে সংখ্যা জাতিয় অতিরিক্ত কিছু থাকলে তাকে ছোট করার চেষ্টা করে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
.          সাইটের বিষয়
সাইটে যে টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও ইত্যাদি রাখা হবে সেগুলি উচুমানের হলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। এরওপর নির্ভর করে ভিজিটর কতক্ষন সাইটে থাকেন। গুগল এটা লক্ষ করে সাইটের গুরুত্ব ঠিক করে।
.          সাইটের ভেতরের লিংক
সাইটের ভেতরে নির্দিষ্ট আর্টিকেল ব্যবহার কতটা সহজ তার ওপর র‌্যাংকিং নির্ভর করে। গুগলের ভাষায় দুবার ক্লিক করে যে কোন পেজে পাওয়া যাবে। সাইটম্যাপ, ইনডেক্স ইত্যাদি ব্যবহার করে একাজ করা যায়।
.          যোগাযোগের ব্যবস্থা
ভিজিটর যেন যোগাযোগ করতে পারেন এজন্য অন্তত ইমেইল এড্রেস থাকা জরুরী।
.          সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার
টাইটেল, মেটাট্যাগ, ইমেজ এর জন্য অলট ট্যাগ ইত্যাদিতে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে সাইটের পরিচিতি বাড়ে। নির্দিষ্ট কিছু কি ওয়ার্ড বাছাই করে সেগুলি নিয়মিত ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া যায়।
.          বাউন্স রেট
কোন ভিজিটর সাইটে ঢুকেই সেখান থেকে চলে যাওয়াকে বলা হয় বাউন্স। এর শতকরা হার হচ্ছে বাউন্স রেট। এই বিষয়টি গুগল হিসেব করে। সাইটে এমনকিছু রাখুন যেন ভিজিটর কিছুটা সময় কাটায়।
.          লিংক
ওয়েবসাইটে ইনবাউন্ড এবং আউটবাউন্ড দুধরনের লিংক কাজ করে। এর মাধ্যমে ভিজিটর এক সাইট থেকে অন্য সাইটে যেতে পারেন। কারো সাথে লিংক ব্যবহারের সময় একই ধরনের সাইট ব্যবহার করুন। ভিন্ন ধরনের সাইটের সাথে লিংক ব্যবহারকে খারাপ অভ্যেস বলে ধরা হয়।
উল্লেখ করা যেতে পারে গুগল (এবং অন্য প্রধান দুটি সার্চ ইঞ্জিন) নিয়মিত সার্চের ফর্মূলায় পরিবর্তন আনে। তারপরও মুল এই নীতিগুলো সবাই মেনে চলে।

0 মন্তব্য(গুলি):