প্রচারের জন্য সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

প্রচারের জন্য সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

আপনি পছন্দ করুন বা নাই করুন, সোস্যাল মিডিয়া আছে এবং থাকবে। ফেসবুক বলে তাদের ব্যবহারকারী ৬০ কোটির বেশি, টুইটারের দাবী তাদের ব্যবহারকারী ২০ কোঠি ছাড়িয়ে গেছে, লিংকড-ইন এর ব্যবহারকারীও ছাড়িয়ে গেছে ১০ কোটি। গুগল তাদের সোস্যাল নেটওযার্কিং সাইট নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামছে। ইন্টারনেট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এদের ভুমিকা আপনি কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেন না।
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন ফেসবুকে একসময় ব্যক্তিগত বন্ধুত্বই প্রধান ছিল। বর্তমানে বিষয়টি সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। প্রতিটি কোম্পানী এমনকি ব্যক্তিগতভাবে যারা ব্যবসায় বা বিভিন্ন পেশায় জড়িত তারা তাদের ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করছেন মুলত প্রচারের কাজে।  একজন সঙ্গিতশিল্পী ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ভক্তদের সাথে যোগাযোগ করছেন একে নিতান্ত ভক্তদের সাথে যোগাযোগ বলে মনে করছেন না নিষ্চয়ই। এর ব্যবসায়িক দিকটাই মুখ্য। এমনকি বারাক ওবামা নির্বাচনের সময় দেখিয়েছেন এদেরকে ব্যবহার করে কিভাবে পরিচিতি বাড়ানো যায়। তাহলে আপনি পিছিয়ে থাকবেন কেন ?
আপনার পেশা যাই হোক না কেন (একমাত্র সরকারী চাকুরে বাদ দিয়ে),  আপনাকে নিশ্চয়ই অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। ইন্টারনেট ভিত্তিক কিছু হলে সে সম্ভাবনা আরো বেশি। এই সাইটে যারা স্বাধীন ভাবে কাজ/ব্যবসা করেন তাদের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। অন্য কথায় ফ্রিল্যান্সারদের। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে আপনার জন্য সেটা আরো বেশি গুরুত্বপুর্ন। যদি নিজস্ব ব্লগ (ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত) ব্যবহার করেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত ভাল ফল দেয়।
এখানে প্রধান ৩টি সোস্যাল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থারন নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আপনায় হয়ত ধারনা আছে এর বাইরে আরো বহু সাইট রয়েছে যা আপনাকে সহায়তা করতে পারে। এদের সম্পর্কে জানার জন্য উইকিপিডিয়ার এই পেজটি একবার দেখে নিন।
শেষকথা, এখানে আপনি নিজের পরিচিতি তুলে ধরবেন। প্রচলিত শব্দে আপনার প্রোফাইল রাখবেন। এর ওপর নির্ভর করে অন্যরা আপনার সম্পর্কে জানবে। প্রোফাইল এমনভাবে তৈরী করুন যেন তা সহজেই অন্যকে আকৃষ্ট করতে পারে। প্রয়োজনে অন্যদের প্রোফাইল দেখুন, সময় নিন, তারপর নিজেকে উপস্থাপন করুন।

0 মন্তব্য(গুলি):